৯/১১ হামলা নিয়ে মিথ্যাচার হয়েছে: আহমাদিনেজাদ
ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর (৯/১১) যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে বড় ধরনের মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে আফগানিস্তানে আক্রমণ চালাতে এই মিথ্যাকে ব্যবহার করা হয়েছে। গত শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ কথা প্রচার করে।
শনিবার তেহরানে গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘ওই হামলাটি একটি জটিল গোয়েন্দা-কারসাজি ছিল।’ এর আগেও টুইন টাওয়ারে হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট। এবার পুরো ঘটনাকে ‘বড় মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করলেন তিনি।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, পেনসিলভানিয়া ও সামরিক সদর দপ্তর পেন্টাগনে যাত্রীবাহী বিমান নিয়ে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ওই হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ২০০৭ সালে জাতিসংঘের একটি বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে টুইন টাওয়ার এলাকা পরিদর্শন করতে চাইলে আহমাদিনেজাদকে অনুমতি দেয়নি মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গতকাল ইরানের বার্তা সংস্থা মেহর জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ আজ সোমবার আফগানিস্তান সফর করবেন। সেখানে তিনি আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে দেখা করবেন।
অবরোধ লঙ্ঘনকারীদের অর্থ সরবরাহ: ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত অবরোধ লঙ্ঘনকারী ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোটি কোটি ডলার দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। গত শনিবার প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়। পত্রিকাটি জানিয়েছে, অবরোধ লঙ্ঘন করে ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করছে, এমন মার্কিন ও বিদেশি কোম্পানিগুলোকে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন অবরোধ উপেক্ষা করে ইরানের শুধু তেল ও গ্যাস খাতে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে, এমন কেম্পানিগুলোকে প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলার দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। সরকারি পর্যালোচনা প্রতিবেদন ও ব্যবসায়িক নথিপত্র থেকে এই হিসাব পাওয়ার কথা জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। ওবামা ও তাঁর পূর্বসূরি জর্জ বুশের প্রশাসন এ ব্যাপারে মিশ্র আচরণ করেছে উল্লেখ করে পত্রিকাটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ নীতি অবলম্বনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করেছে দুটি সরকারই।
জ্বালানি খাত ছাড়া ইরানে গাড়ি নির্মাণ ও সরবরাহ খাতের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোও আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছে। ইরানের গ্যাস খাতে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে স্থল ও সমুদ্রে এক কোটি ৪০ লাখ একর এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি পেয়েছে। অন্যদিকে তেহরানের সঙ্গে ক্যানসার গবেষণা ও কৃষি নিয়ে কাজ করছে, এমন প্রতিষ্ঠানগুলোও মার্কিন সরকারের কাছ থেকে বিপুল অনুদান ও ঋণ পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে বেশির ভাগ ব্যবসা পরিচালনার ব্যাপারে মার্কিন কোম্পানির ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে।
চীনের বিরোধিতা: পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করার ব্যাপারে বিরোধিতা করেছে চীন। গতকাল রোববার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জাইচি বলেন, ‘পরমাণু কর্মসূচি থেকে ইরানকে সরিয়ে আনতে অবরোধ বা চাপ কার্যকর পন্থা নয়। তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে এখন কিছুটা সংকটজনক পরিস্থিতি চলছে, কিন্তু আমরা মনে করি কূটনৈতিক উপায়ে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ এখনো খোলা আছে।’ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত-বর্ধনশীল অর্থনীতি চীনের অশোধিত তেলের তৃতীয় বৃহত্তম উত্স তেহরান।
ক্ষেপণাস্ত্র উত্পাদন: ইরান গতকাল রাডারকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন স্বল্প পাল্লার ‘ক্রুজ মিসাইল’ উত্পাদনের জন্য নতুন ‘প্রোডাকশন লাইন’ চালু করেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ কথা জানানো হয়। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আহমাদ ভাহিদির বরাত দিয়ে টেলিভিশনে জানানো হয়, নাসর-১ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি এক হাজার টন ওজনের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারবে। স্থলভাগ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যাবে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ডুবোজাহাজ ও হেলিকপ্টার থেকে ছোড়ার উপযোগী করেও তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ইরানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
শনিবার তেহরানে গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘ওই হামলাটি একটি জটিল গোয়েন্দা-কারসাজি ছিল।’ এর আগেও টুইন টাওয়ারে হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট। এবার পুরো ঘটনাকে ‘বড় মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করলেন তিনি।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, পেনসিলভানিয়া ও সামরিক সদর দপ্তর পেন্টাগনে যাত্রীবাহী বিমান নিয়ে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ওই হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ২০০৭ সালে জাতিসংঘের একটি বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে টুইন টাওয়ার এলাকা পরিদর্শন করতে চাইলে আহমাদিনেজাদকে অনুমতি দেয়নি মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গতকাল ইরানের বার্তা সংস্থা মেহর জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ আজ সোমবার আফগানিস্তান সফর করবেন। সেখানে তিনি আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে দেখা করবেন।
অবরোধ লঙ্ঘনকারীদের অর্থ সরবরাহ: ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত অবরোধ লঙ্ঘনকারী ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোটি কোটি ডলার দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। গত শনিবার প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়। পত্রিকাটি জানিয়েছে, অবরোধ লঙ্ঘন করে ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করছে, এমন মার্কিন ও বিদেশি কোম্পানিগুলোকে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন অবরোধ উপেক্ষা করে ইরানের শুধু তেল ও গ্যাস খাতে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে, এমন কেম্পানিগুলোকে প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলার দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। সরকারি পর্যালোচনা প্রতিবেদন ও ব্যবসায়িক নথিপত্র থেকে এই হিসাব পাওয়ার কথা জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। ওবামা ও তাঁর পূর্বসূরি জর্জ বুশের প্রশাসন এ ব্যাপারে মিশ্র আচরণ করেছে উল্লেখ করে পত্রিকাটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ নীতি অবলম্বনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করেছে দুটি সরকারই।
জ্বালানি খাত ছাড়া ইরানে গাড়ি নির্মাণ ও সরবরাহ খাতের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোও আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছে। ইরানের গ্যাস খাতে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে স্থল ও সমুদ্রে এক কোটি ৪০ লাখ একর এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি পেয়েছে। অন্যদিকে তেহরানের সঙ্গে ক্যানসার গবেষণা ও কৃষি নিয়ে কাজ করছে, এমন প্রতিষ্ঠানগুলোও মার্কিন সরকারের কাছ থেকে বিপুল অনুদান ও ঋণ পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে বেশির ভাগ ব্যবসা পরিচালনার ব্যাপারে মার্কিন কোম্পানির ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে।
চীনের বিরোধিতা: পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করার ব্যাপারে বিরোধিতা করেছে চীন। গতকাল রোববার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জাইচি বলেন, ‘পরমাণু কর্মসূচি থেকে ইরানকে সরিয়ে আনতে অবরোধ বা চাপ কার্যকর পন্থা নয়। তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে এখন কিছুটা সংকটজনক পরিস্থিতি চলছে, কিন্তু আমরা মনে করি কূটনৈতিক উপায়ে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ এখনো খোলা আছে।’ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত-বর্ধনশীল অর্থনীতি চীনের অশোধিত তেলের তৃতীয় বৃহত্তম উত্স তেহরান।
ক্ষেপণাস্ত্র উত্পাদন: ইরান গতকাল রাডারকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন স্বল্প পাল্লার ‘ক্রুজ মিসাইল’ উত্পাদনের জন্য নতুন ‘প্রোডাকশন লাইন’ চালু করেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ কথা জানানো হয়। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আহমাদ ভাহিদির বরাত দিয়ে টেলিভিশনে জানানো হয়, নাসর-১ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি এক হাজার টন ওজনের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারবে। স্থলভাগ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যাবে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ডুবোজাহাজ ও হেলিকপ্টার থেকে ছোড়ার উপযোগী করেও তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ইরানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
No comments