হাসি-ক্যাটিচের ‘ফিফটি’ ভেট্টোরির ‘সেঞ্চুরি’
শৈশবে দুজন দুদলে খেলতেন, কিন্তু এসব কি আর বন্ধুত্বে বাধা হতে পারে! বন্ধুত্ব সেই তখন থেকেই। পরে রাজ্যদলে একসঙ্গে খেলেছেন, খেলছেন জাতীয় দলেও। মাঠের বাইরেও দুজনের ঘনিষ্ঠতা দারুণ। মাইকেল হাসি ও সাইমন ক্যাটিচকে এক বিন্দুতে মিলিয়ে দিল ক্যারিয়ারের বড় এক অর্জনও, কাল হ্যামিল্টনে শুরু ট্রান্স-তাসমান ট্রফির সিরিজ নির্ধারণী টেস্টটা দুজনেরই ৫০তম টেস্ট। দুই বন্ধুর ‘হাফ সেঞ্চুরি’ একসঙ্গে হতে যাচ্ছে বলেই শুরুতে বলা, না হলে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি তো দাঁড়িয়ে আরও বড় অর্জনের সামনে। কিউই ক্রিকেটের ‘সর্বেসর্বা’ কাল খেলতে নামছেন শততম টেস্ট। যদিও নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৯৯তম, একটি টেস্ট খেলেছিলেন আইসিসি বিশ্ব একাদশের হয়ে।
দুজনেরই এখন ৩৪ চলছে (৮৬ দিনের বড় হাসি), কিন্তু শৈশবের দিনগুলো এখনো মন রাঙায় দুজনেরই। ১২ বছর বয়সেই নিজের গালভরা দাড়ি, আর তখনো হাসির কণ্ঠ ছিল বাচ্চাদের মতো—এসব মনে করে হেসেই বাঁচেন না ক্যাটিচ। আর হাসির মনে পড়ছে ক্যাটিচের মিডল্যান্ড-গিল্ডফোর্ড ক্লাবের কাছে নিজের দল ওয়ানারু বয়েজের হারের পরও উত্সব করার কথা, ‘অনূর্ধ্ব-১৩ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল সেটা, ক্যাটিচের মা বড় একটা কেক বানিয়ে এনেছিলেন। খেলা শেষে দুদলই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম ওই চকলেট কেকের ওপর।’
টেস্ট দলে দুজনের সূচনায় কিন্তু আকাশ-পাতাল ব্যবধান। একসময় অস্ট্রেলিয়ার সেরা তরুণপ্রতিভা বলে বিবেচিত ক্যাটিচের টেস্ট অভিষেক হয়ে যায় ২০০১ সালে, ২৫ বছর বয়সে। টানা বছর চারেক খেলেছেন, ২০০৫ অ্যাশেজে জঘন্য পারফরম্যান্সের পর প্রশ্ন উঠে দলে জায়গা নিয়ে। নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্রিসবেন টেস্টে শূন্য করার পর দল থেকেই বাদ। ক্যাটিচের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম অধ্যায়ের সমাপ্তি যেখানে, সেই ব্রিসবেন টেস্টেই অভিষেক হাসির। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়ার পরও বহু তপস্যায় অভিষেক, হাসি তাই সুযোগটাকে লুফে নিয়েছেন দুই হাতে। প্রথম ১৪ টেস্টের পর গড় ছিল ৮৬.৩৩, দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্নই ওঠেনি কখনো।
ঘরোয়া ক্রিকেটে এক মৌসুমে রেকর্ড ১৫০৪ রান করার পর ২০০৮ সালে ক্যাটিচ আবার ফিরেছেন। জানালেন বন্ধুকে দেখেই পেয়েছিলেন দলে ফেরার লড়াইয়ের প্রেরণা, ‘তিন বছর আগেও ভাবতে পারিনি আবার টেস্ট খেলব। হাসির জন্য ব্যাপারটা ভিন্ন, চার বছর ধরেই সে অসাধারণ খেলছে। সত্যি বলতে, ওকে দেখেই আমি অনুপ্রাণিত। বছরের পর বছর পরিশ্রম করে গেছে, যখন সুযোগ পেয়েছে, কাজে লাগিয়েছে।’
এই দুজন মিলে যা খেলেছেন, কাল সেটা একাই পূরণ করতে যাচ্ছেন ভেট্টোরি। ১৯৯৭ সালে নিউজিল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার (১৮ বছর ১০ দিন) হিসেবে অভিষেক, ৩১ বছর ৫৯ দিন বয়সে কাল ছুঁতে যাচ্ছেন শতক।
এতসব উত্সবের উপলক্ষের মাঝেও একটু মন খারাপ হতে পারে ফিলিপ হিউজের। ওয়েলিংটনে ৭৫ বলে অপরাজিত ৮৬ করার পরও একাদশের বাইরে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। যাঁর ইনজুরিতে সুযোগ পেয়েছিলেন সেই শেন ওয়াটসন কাল নেটে ব্যাটিং করেছেন কোনো সমস্যা ছাড়াই। নিউজিল্যান্ডে ব্যাটিং-অর্ডারের তিন নম্বর জায়গা নিয়ে লড়াই চলছে পিটার ইনগ্রাম ও ম্যাথু সিনক্লেয়ারের। ৬ নম্বরে খেলানো হবে ভেবেই ডাকা হয়েছিল তরুণ কেন উইলিয়ামসকে। তবে সেডন পার্কের সবুজ উইকেট অলরাউন্ডার জেমস ফ্রাঙ্কলিনকে ঢুকিয়ে দিতে পারে দলে।
দুজনেরই এখন ৩৪ চলছে (৮৬ দিনের বড় হাসি), কিন্তু শৈশবের দিনগুলো এখনো মন রাঙায় দুজনেরই। ১২ বছর বয়সেই নিজের গালভরা দাড়ি, আর তখনো হাসির কণ্ঠ ছিল বাচ্চাদের মতো—এসব মনে করে হেসেই বাঁচেন না ক্যাটিচ। আর হাসির মনে পড়ছে ক্যাটিচের মিডল্যান্ড-গিল্ডফোর্ড ক্লাবের কাছে নিজের দল ওয়ানারু বয়েজের হারের পরও উত্সব করার কথা, ‘অনূর্ধ্ব-১৩ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল সেটা, ক্যাটিচের মা বড় একটা কেক বানিয়ে এনেছিলেন। খেলা শেষে দুদলই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম ওই চকলেট কেকের ওপর।’
টেস্ট দলে দুজনের সূচনায় কিন্তু আকাশ-পাতাল ব্যবধান। একসময় অস্ট্রেলিয়ার সেরা তরুণপ্রতিভা বলে বিবেচিত ক্যাটিচের টেস্ট অভিষেক হয়ে যায় ২০০১ সালে, ২৫ বছর বয়সে। টানা বছর চারেক খেলেছেন, ২০০৫ অ্যাশেজে জঘন্য পারফরম্যান্সের পর প্রশ্ন উঠে দলে জায়গা নিয়ে। নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্রিসবেন টেস্টে শূন্য করার পর দল থেকেই বাদ। ক্যাটিচের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম অধ্যায়ের সমাপ্তি যেখানে, সেই ব্রিসবেন টেস্টেই অভিষেক হাসির। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়ার পরও বহু তপস্যায় অভিষেক, হাসি তাই সুযোগটাকে লুফে নিয়েছেন দুই হাতে। প্রথম ১৪ টেস্টের পর গড় ছিল ৮৬.৩৩, দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্নই ওঠেনি কখনো।
ঘরোয়া ক্রিকেটে এক মৌসুমে রেকর্ড ১৫০৪ রান করার পর ২০০৮ সালে ক্যাটিচ আবার ফিরেছেন। জানালেন বন্ধুকে দেখেই পেয়েছিলেন দলে ফেরার লড়াইয়ের প্রেরণা, ‘তিন বছর আগেও ভাবতে পারিনি আবার টেস্ট খেলব। হাসির জন্য ব্যাপারটা ভিন্ন, চার বছর ধরেই সে অসাধারণ খেলছে। সত্যি বলতে, ওকে দেখেই আমি অনুপ্রাণিত। বছরের পর বছর পরিশ্রম করে গেছে, যখন সুযোগ পেয়েছে, কাজে লাগিয়েছে।’
এই দুজন মিলে যা খেলেছেন, কাল সেটা একাই পূরণ করতে যাচ্ছেন ভেট্টোরি। ১৯৯৭ সালে নিউজিল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার (১৮ বছর ১০ দিন) হিসেবে অভিষেক, ৩১ বছর ৫৯ দিন বয়সে কাল ছুঁতে যাচ্ছেন শতক।
এতসব উত্সবের উপলক্ষের মাঝেও একটু মন খারাপ হতে পারে ফিলিপ হিউজের। ওয়েলিংটনে ৭৫ বলে অপরাজিত ৮৬ করার পরও একাদশের বাইরে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। যাঁর ইনজুরিতে সুযোগ পেয়েছিলেন সেই শেন ওয়াটসন কাল নেটে ব্যাটিং করেছেন কোনো সমস্যা ছাড়াই। নিউজিল্যান্ডে ব্যাটিং-অর্ডারের তিন নম্বর জায়গা নিয়ে লড়াই চলছে পিটার ইনগ্রাম ও ম্যাথু সিনক্লেয়ারের। ৬ নম্বরে খেলানো হবে ভেবেই ডাকা হয়েছিল তরুণ কেন উইলিয়ামসকে। তবে সেডন পার্কের সবুজ উইকেট অলরাউন্ডার জেমস ফ্রাঙ্কলিনকে ঢুকিয়ে দিতে পারে দলে।
No comments