অব্যাহত খুন, অব্যাহত নিরাপত্তাহীনতা -জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
মেয়েকে বখাটের সঙ্গে বিয়ে দিতে না চাওয়ায় ঢাকার গুলশানে নিজ বাড়িতে প্রকাশ্যে খুন হলো এক দম্পতি। এর দুই দিন আগে চট্টগ্রামে স্কুলছাত্র খুন হয়েছে তারই সহপাঠীদের হাতে। কদিন আগে খিলগাঁওয়ের এক দরিদ্র বসতিতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিল এক কিশোরী। কেউ কি আর ঘরের মধ্যেও নিরাপদ নয়? প্রতিদিনের সংবাদপত্রে কেবল খুন আর খুনের খবর। বাংলাদেশে এখন কেউ খুন হচ্ছে আর কেউ খুনের খবর পড়তে পড়তে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত থাকছে।
আইন, সমাজতত্ত্ব আর নৈতিকতার মাপকাঠি যে সংকটে গিয়ে থই হারায়, সেটা এই লাগাতার খুনের ধারাবাহিকতা। অর্থের জন্য, জমির জন্য, প্রেমের জন্য, দলাদলির জন্য, তুচ্ছ ঝগড়াঝাঁটির জন্য; কত বিচিত্র কারণে প্রতিদিন মানুষ খুনের ঘটনা ঘটছে, তার ইয়ত্তা নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী থেকে পুরুষ—কেউই বাদ পড়ছে না। মানুষ খুন করার যত রকম পদ্ধতি আছে, সবই প্রয়োগ হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে এ রকম খুনোখুনির পরিস্থিতি তৈরি হলে বিপর্যয় নামে। সামাজিক স্তরে খুনের এই মহামারিকে মারাত্মক সামাজিক বিপর্যয়ের লক্ষণই বলতে হয়।
সহিংসতার সংস্কৃতি আর অসহিষ্ণুতার মনোভাব এতই ছড়িয়ে পড়েছে, যে-কেউ যেকোনো মুহূর্তে খুনের উন্মত্ততায় মাততে পারে, আবার কোনো মাথা-গরম ব্যক্তির হাতে খুনও হয়ে যেতে পারে যে-কেউ। পরিবারের আদরের সন্তানটি খুন হয়ে যেতে পারে, কিংবা হয়ে উঠতে পারে কারও খুনি। কী ভয়াবহ এই বাস্তবতা, তা কি দেশের কর্তাব্যক্তিরা উপলব্ধি করতে পারছেন?
খুন করে কেউ পার পাচ্ছে, কারও বা শাস্তিও হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দুর্বল অভিযোগপত্র ও তদন্তের কারণে এবং প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে খুনিদের অনেকে রেহাই পেয়ে যায়। খুনি-অপরাধীরা রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে আশ্রয়-প্রশ্রয়ও পেয়ে থাকে। একশ্রেণীর অসাধু পুলিশের শিথিলতা ও দুর্নীতির জন্যও অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তবে খেয়াল করার বিষয়, সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর হোতাদের সবাই কিন্তু পেশাদার অপরাধী নয়।
যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গলদের জন্য আজ জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, দ্রুত তার নিরাময় প্রয়োজন। সেটা দীর্ঘমেয়াদি কাজ। কিন্তু এই মুহূর্তে প্রতিটি খুনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। পুলিশ এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতাদের নিজ নিজ এলাকায় সতর্ক থাকা দরকার। কোথাও কেউ নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা করলে বা হুমকির মধ্যে থাকলে বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেওয়া দরকার। দরকার যত রকম বখাটে, সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী ক্যাডার ও অপরাধী আছে, তাদের হুঁশিয়ার করে দেওয়া যে অপরাধের দণ্ড সুনিশ্চিত।
আইন, সমাজতত্ত্ব আর নৈতিকতার মাপকাঠি যে সংকটে গিয়ে থই হারায়, সেটা এই লাগাতার খুনের ধারাবাহিকতা। অর্থের জন্য, জমির জন্য, প্রেমের জন্য, দলাদলির জন্য, তুচ্ছ ঝগড়াঝাঁটির জন্য; কত বিচিত্র কারণে প্রতিদিন মানুষ খুনের ঘটনা ঘটছে, তার ইয়ত্তা নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী থেকে পুরুষ—কেউই বাদ পড়ছে না। মানুষ খুন করার যত রকম পদ্ধতি আছে, সবই প্রয়োগ হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে এ রকম খুনোখুনির পরিস্থিতি তৈরি হলে বিপর্যয় নামে। সামাজিক স্তরে খুনের এই মহামারিকে মারাত্মক সামাজিক বিপর্যয়ের লক্ষণই বলতে হয়।
সহিংসতার সংস্কৃতি আর অসহিষ্ণুতার মনোভাব এতই ছড়িয়ে পড়েছে, যে-কেউ যেকোনো মুহূর্তে খুনের উন্মত্ততায় মাততে পারে, আবার কোনো মাথা-গরম ব্যক্তির হাতে খুনও হয়ে যেতে পারে যে-কেউ। পরিবারের আদরের সন্তানটি খুন হয়ে যেতে পারে, কিংবা হয়ে উঠতে পারে কারও খুনি। কী ভয়াবহ এই বাস্তবতা, তা কি দেশের কর্তাব্যক্তিরা উপলব্ধি করতে পারছেন?
খুন করে কেউ পার পাচ্ছে, কারও বা শাস্তিও হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দুর্বল অভিযোগপত্র ও তদন্তের কারণে এবং প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে খুনিদের অনেকে রেহাই পেয়ে যায়। খুনি-অপরাধীরা রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে আশ্রয়-প্রশ্রয়ও পেয়ে থাকে। একশ্রেণীর অসাধু পুলিশের শিথিলতা ও দুর্নীতির জন্যও অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তবে খেয়াল করার বিষয়, সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর হোতাদের সবাই কিন্তু পেশাদার অপরাধী নয়।
যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গলদের জন্য আজ জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, দ্রুত তার নিরাময় প্রয়োজন। সেটা দীর্ঘমেয়াদি কাজ। কিন্তু এই মুহূর্তে প্রতিটি খুনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। পুলিশ এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতাদের নিজ নিজ এলাকায় সতর্ক থাকা দরকার। কোথাও কেউ নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা করলে বা হুমকির মধ্যে থাকলে বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেওয়া দরকার। দরকার যত রকম বখাটে, সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী ক্যাডার ও অপরাধী আছে, তাদের হুঁশিয়ার করে দেওয়া যে অপরাধের দণ্ড সুনিশ্চিত।
No comments