দালাই লামার সঙ্গে বৈঠক করলেন ওবামা
চীনের প্রতিবাদ সত্ত্বেও তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্স অনলাইন।
ওবামা ও দালাই লামার মধ্যে ৪৫ মিনিট স্থায়ী এ বৈঠকে তাঁরা তিব্বতি এবং চীনের জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। পরে দালাই লামা সাংবাদিকদের বলেন, ওবামা একজন সহায়ক ব্যক্তি। তিনি (দালাই লামা) লড়ছেন ন্যায় ও শান্তির জন্য। এ বৈঠকের ব্যাপারে তিনি খুবই খুশি।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেন, বৈঠকে ওবামা তিব্বতে মানবাধিকার এবং তিব্বতি ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্যের প্রতি তাঁর দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন।
চীন সরকার দালাই লামাকে একজন বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করে। দেশটির মতে, এ বৈঠকের কারণে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। তবে ওবামা প্রশাসনের বক্তব্য, দালাই লামা একজন গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বনেতা। তিব্বতের মানবাধিকার নিয়ে তিনি সোচ্চার। এ বৈঠক নিয়ে চীনের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
দালাই লামা গত বছরও যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার ব্যস্ততার কারণে সে সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি।
দালাই লামার বিশেষ দূত লোদি গায়ারি বলেন, এ বৈঠক খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিব্বতি এবং চীনের জনগণের জন্য একটি হিতকর সমাধান বের করতে দালাই লামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে এ বৈঠক করেন। দালাই লামার মুখপাত্র সিমে সোয়া লিয়াকো বলেন, রাজনৈতিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র তিব্বতিদের সাহায্য করেছে। উভয় পক্ষের ভালো হয়, এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করতে দালাই লামার সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন—মার্কিন সরকার এ কথা চীনকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চীন সরকারের সঙ্গে নয়বার আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তিনি মনে করেন, এটা এক ধরনের অগ্রগতি। তিনি আরও বলেন, চীন সরকার যে মনে করে এটা নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন এবং একটি সমাধান খুঁজে বের করা দরকার, সেটাই অগ্রগতি।
ওবামা-দালাই লামা বৈঠক নিয়ে চীনের আপত্তি প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেন, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অনেক পরিণত। বিভ্নি বিষয়ে মতানৈক্য থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে তারা একমত পোষণ করতে পারবে।
এদিকে এ বৈঠককে স্বাগত জানাতে আতশবাজি পুড়িয়ে উত্সব করেছে তিব্বতিরা।
২০০৭ সালে তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশও দালাই লামার সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁকে বিশেষ পদকও দেন। ওই সময়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল চীন। তবে গত এক বছরে তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও বাণিজ্য চুক্তি বেইজিং-ওয়াশিংটনের মতানৈক্য অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
ওবামা ও দালাই লামার মধ্যে ৪৫ মিনিট স্থায়ী এ বৈঠকে তাঁরা তিব্বতি এবং চীনের জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। পরে দালাই লামা সাংবাদিকদের বলেন, ওবামা একজন সহায়ক ব্যক্তি। তিনি (দালাই লামা) লড়ছেন ন্যায় ও শান্তির জন্য। এ বৈঠকের ব্যাপারে তিনি খুবই খুশি।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেন, বৈঠকে ওবামা তিব্বতে মানবাধিকার এবং তিব্বতি ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্যের প্রতি তাঁর দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন।
চীন সরকার দালাই লামাকে একজন বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করে। দেশটির মতে, এ বৈঠকের কারণে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। তবে ওবামা প্রশাসনের বক্তব্য, দালাই লামা একজন গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বনেতা। তিব্বতের মানবাধিকার নিয়ে তিনি সোচ্চার। এ বৈঠক নিয়ে চীনের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
দালাই লামা গত বছরও যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার ব্যস্ততার কারণে সে সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি।
দালাই লামার বিশেষ দূত লোদি গায়ারি বলেন, এ বৈঠক খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিব্বতি এবং চীনের জনগণের জন্য একটি হিতকর সমাধান বের করতে দালাই লামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে এ বৈঠক করেন। দালাই লামার মুখপাত্র সিমে সোয়া লিয়াকো বলেন, রাজনৈতিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র তিব্বতিদের সাহায্য করেছে। উভয় পক্ষের ভালো হয়, এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করতে দালাই লামার সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন—মার্কিন সরকার এ কথা চীনকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চীন সরকারের সঙ্গে নয়বার আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তিনি মনে করেন, এটা এক ধরনের অগ্রগতি। তিনি আরও বলেন, চীন সরকার যে মনে করে এটা নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন এবং একটি সমাধান খুঁজে বের করা দরকার, সেটাই অগ্রগতি।
ওবামা-দালাই লামা বৈঠক নিয়ে চীনের আপত্তি প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেন, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অনেক পরিণত। বিভ্নি বিষয়ে মতানৈক্য থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে তারা একমত পোষণ করতে পারবে।
এদিকে এ বৈঠককে স্বাগত জানাতে আতশবাজি পুড়িয়ে উত্সব করেছে তিব্বতিরা।
২০০৭ সালে তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশও দালাই লামার সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁকে বিশেষ পদকও দেন। ওই সময়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল চীন। তবে গত এক বছরে তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও বাণিজ্য চুক্তি বেইজিং-ওয়াশিংটনের মতানৈক্য অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
No comments