সবার জন্য স্বাস্থ্য -সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান ও আওতা বাড়াতে হবে
বাঙালি অমর্ত্য সেন ও মুহাম্মদ ইউনূস—নোবেল বিজয়ী দুই বাঙালি গত শনিবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নয়ন বিষয়ে কিছু নতুন দিক উত্থাপন করেছেন, যা সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতে নতুন উদ্যোগের সূচনা ঘটাতে পারে।
ব্র্যাক সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), প্রতীচী ট্রাস্ট ও ইউনিসেফ আয়োজিত ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় অমর্ত্য সেন স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে গণতন্ত্রের সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। গণতন্ত্রচর্চার সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পায় না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘সরকারি খাতে স্বাস্থ্যসেবার মান ও আওতা বাড়ানো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নয়নে এটিই সবচেয়ে মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি বলে আমাদের মনে হয়।’
বাংলাদেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি দরিদ্র মানুষের পক্ষে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা দুর্লভ। কারণ তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সরকারি খাতের স্বাস্থ্যসেবাই তাদের সবচেয়ে বড় ভরসা। কিন্তু সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে চিকিত্সকসহ সংশ্লিষ্ট লোকবল, চিকিত্সা-সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও চিকিত্সাসামগ্রীর অপর্যাপ্ততা; ব্যবস্থাপনাও ভয়ানক দুর্বল; অনিয়ম-দুর্নীতি, দায়িত্ব পালনে অবহেলা গুরুতর। এ কারণে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান মোটেও ভালো নয়। এর আওতাও সীমিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষকে চিকিত্সার জন্য ছুটতে হয় ছোট-বড় শহরগুলোতে। এসব ছাড়া সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার আরও যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতি জোর দিয়েছেন অমর্ত্য সেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনপ্রশাসনের অন্যান্য খাতের মতো স্বাস্থ্য খাতেও ব্যাপক রাজনৈতিক দলীয়করণ ঘটেছে; যা দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, বিশৃঙ্খলা ইত্যাদির কারণ হয়েছে। চিকিত্সা-শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর পরিবর্তে নানা পন্থায় পদ-পদবি অর্জনের প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে। সরকারি চিকিত্সকদের মূল দায়িত্ব পালনের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে প্রাইভেট প্র্যাকটিস। বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন অনেক সরকারি চিকিত্সক। এ কারণে রাজধানী ও বড় শহরগুলোর বাইরে তাঁরা পারতপক্ষে যেতে চান না। বেসরকারি স্বাস্থ্য খাত এমনিতেই বেশ ব্যয়বহুল, দিন দিন আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ বস্তুত নেই।
পুরো ব্যবস্থাটির বড় রকমের সংস্কার প্রয়োজন।
ব্র্যাক সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), প্রতীচী ট্রাস্ট ও ইউনিসেফ আয়োজিত ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় অমর্ত্য সেন স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে গণতন্ত্রের সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। গণতন্ত্রচর্চার সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পায় না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘সরকারি খাতে স্বাস্থ্যসেবার মান ও আওতা বাড়ানো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নয়নে এটিই সবচেয়ে মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি বলে আমাদের মনে হয়।’
বাংলাদেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি দরিদ্র মানুষের পক্ষে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা দুর্লভ। কারণ তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সরকারি খাতের স্বাস্থ্যসেবাই তাদের সবচেয়ে বড় ভরসা। কিন্তু সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে চিকিত্সকসহ সংশ্লিষ্ট লোকবল, চিকিত্সা-সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও চিকিত্সাসামগ্রীর অপর্যাপ্ততা; ব্যবস্থাপনাও ভয়ানক দুর্বল; অনিয়ম-দুর্নীতি, দায়িত্ব পালনে অবহেলা গুরুতর। এ কারণে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান মোটেও ভালো নয়। এর আওতাও সীমিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষকে চিকিত্সার জন্য ছুটতে হয় ছোট-বড় শহরগুলোতে। এসব ছাড়া সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার আরও যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতি জোর দিয়েছেন অমর্ত্য সেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনপ্রশাসনের অন্যান্য খাতের মতো স্বাস্থ্য খাতেও ব্যাপক রাজনৈতিক দলীয়করণ ঘটেছে; যা দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, বিশৃঙ্খলা ইত্যাদির কারণ হয়েছে। চিকিত্সা-শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর পরিবর্তে নানা পন্থায় পদ-পদবি অর্জনের প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে। সরকারি চিকিত্সকদের মূল দায়িত্ব পালনের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে প্রাইভেট প্র্যাকটিস। বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন অনেক সরকারি চিকিত্সক। এ কারণে রাজধানী ও বড় শহরগুলোর বাইরে তাঁরা পারতপক্ষে যেতে চান না। বেসরকারি স্বাস্থ্য খাত এমনিতেই বেশ ব্যয়বহুল, দিন দিন আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ বস্তুত নেই।
পুরো ব্যবস্থাটির বড় রকমের সংস্কার প্রয়োজন।
No comments