এনজিওর আচরণবিধি -উদ্দেশ্য, ঘোষণা ও কাজের মধ্যে সংগতি থাকা প্রয়োজন
যার পরিচয় কাজে, তাকে নাম দিয়ে চেনা কঠিন। শিশুর অধিকারের পক্ষে কাজ করার জন্য ২৬৩টি এনজিও নিয়ে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম। অথচ সদস্য সংস্থাগুলোর ৭৫টিরই কোনো শিশু-কার্যক্রম নেই! বুধবারের প্রথম আলোয় এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ফোরামের সদস্য হওয়ার সুবিধা ওই এনজিওগুলো যতই পাক, তাদের দ্বারা অন্তত শিশুরা কোনোভাবে উপকৃত হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। কথা ও কাজের অমিলের মিছিলে বেশ কিছু এনজিওর এই যোগদান দুঃখজনক।
এনজিও তথা সেবার উদ্দেশ্যে গঠিত বেসরকারি সংস্থা মাত্রই জনসেবায় নিয়োজিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান; প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতায় এ কথা বলার আর জো নেই। জনস্বার্থে কাজ করার পাশাপাশি এনজিও প্রতিষ্ঠান অনেক অসাধু উদ্দেশ্যেও ব্যবহূত হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে, বিদেশি অনুদান এনে তা অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা, ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠায় লাগানো, এমনকি রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালানোর চর্চাও আর গোপন নয়। এনজিওর স্বত্বাধিকারী হওয়া অনেকের জন্যই ক্ষমতাবান হওয়ার সিঁড়ি। অন্যদিকে দেশে অজস্র এনজিও রয়েছে, যাদের নিবন্ধন নেই। সম্প্রতি প্রথম আলোর এক সংবাদ থেকে জানা গেছে, বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট আড়াই হাজার এনজিওর মধ্যে এক হাজার ৩০৯টিই অবৈধভাবে চলছে। এগুলো হয় কখনো নিবন্ধিতই হয়নি, অথবা তাদের নিবন্ধনের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও নবায়ন করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবারের প্রথম আলো থেকে দেখা যাচ্ছে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সমাজসেবামূলক কাজের জন্য নিবন্ধিত এনজিওদের কোনো কোনোটি এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসাতেও জড়িয়ে পড়ছে।
এসব কারণেই বেসরকারি সংস্থা তথা এনজিও প্রতিষ্ঠা, পরিচালনাসহ এদের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের নজর থাকা দরকার। বিশেষ করে, বিদেশি অর্থসাহায্যের ব্যবহার আইনানুগভাবে ও ঘোষিত উদ্দেশ্যে হচ্ছে কি না, দুর্নীতি হচ্ছে কি না এবং সর্বোপরি দেশবিরোধী কাজে এই অর্থ ব্যবহূত হচ্ছে কি না, তা তদারকির প্রয়োজন রয়েছে।
তবে নিয়মবদ্ধ বা নিবন্ধিত করার নামে এ ক্ষেত্রে যেন সরকারি খবরদারি না চলে আসে, সেটাও দেখা জরুরি। হিতের নামে যা বিপরীতটা ঘটায়, তা কাঙ্ক্ষিত নয়।
এনজিও তথা সেবার উদ্দেশ্যে গঠিত বেসরকারি সংস্থা মাত্রই জনসেবায় নিয়োজিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান; প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতায় এ কথা বলার আর জো নেই। জনস্বার্থে কাজ করার পাশাপাশি এনজিও প্রতিষ্ঠান অনেক অসাধু উদ্দেশ্যেও ব্যবহূত হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে, বিদেশি অনুদান এনে তা অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা, ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠায় লাগানো, এমনকি রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালানোর চর্চাও আর গোপন নয়। এনজিওর স্বত্বাধিকারী হওয়া অনেকের জন্যই ক্ষমতাবান হওয়ার সিঁড়ি। অন্যদিকে দেশে অজস্র এনজিও রয়েছে, যাদের নিবন্ধন নেই। সম্প্রতি প্রথম আলোর এক সংবাদ থেকে জানা গেছে, বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট আড়াই হাজার এনজিওর মধ্যে এক হাজার ৩০৯টিই অবৈধভাবে চলছে। এগুলো হয় কখনো নিবন্ধিতই হয়নি, অথবা তাদের নিবন্ধনের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও নবায়ন করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবারের প্রথম আলো থেকে দেখা যাচ্ছে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সমাজসেবামূলক কাজের জন্য নিবন্ধিত এনজিওদের কোনো কোনোটি এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসাতেও জড়িয়ে পড়ছে।
এসব কারণেই বেসরকারি সংস্থা তথা এনজিও প্রতিষ্ঠা, পরিচালনাসহ এদের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের নজর থাকা দরকার। বিশেষ করে, বিদেশি অর্থসাহায্যের ব্যবহার আইনানুগভাবে ও ঘোষিত উদ্দেশ্যে হচ্ছে কি না, দুর্নীতি হচ্ছে কি না এবং সর্বোপরি দেশবিরোধী কাজে এই অর্থ ব্যবহূত হচ্ছে কি না, তা তদারকির প্রয়োজন রয়েছে।
তবে নিয়মবদ্ধ বা নিবন্ধিত করার নামে এ ক্ষেত্রে যেন সরকারি খবরদারি না চলে আসে, সেটাও দেখা জরুরি। হিতের নামে যা বিপরীতটা ঘটায়, তা কাঙ্ক্ষিত নয়।
No comments