যুক্তরাষ্ট্রে হামলার নতুন পথ খুঁজছে সন্ত্রাসীরা
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা ও অন্যান্য চরমপন্থী সংগঠনের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে হামলার জন্য নতুন উপায় খুঁজছে। সন্ত্রাসীরা মার্কিন প্রতিরক্ষাব্যবস্থা যাচাই করে দেখতে দেশটিতে হামলার পরিকল্পনা করছে। গত বড়দিনে ডেট্রয়েটের আকাশে মার্কিন বিমানে ব্যর্থ জঙ্গি হামলার চেষ্টা আমাদের জন্য বড় ধরনের একটি সতর্কবার্তা।’
যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৫ জানিয়েছে, বড়দিনে মার্কিন বিমানে হামলার চেষ্টাকারী নাইজেরীয় নাগরিক ওমর ফারুক আবদুল মোতালেব সম্পর্কে তারা সবিশেষ অবগত ছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা মার্কিন কর্তৃপক্ষকে কোনো তথ্য দেয়নি। সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দ্য সানডে টাইমস-এর খবরে এ কথা বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নতুন করে হামলার আশঙ্কা সম্পর্কে ন্যাশনাল কাউন্টারটেরোরিজম সেন্টারের পরিচালক মাইকেল লেইটার শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, আল-কায়েদা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা তাদের হামলার ধরন পাল্টানোর চেষ্টা করছে। এর পরিণতি কী হতে পারে সে সম্পর্কেও মার্কিন কর্মকর্তারা অবহিত আছেন।
লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অপরাধ বিশেষজ্ঞ হার্ভে কুশনার বলেন, বড়দিনে যে কায়দায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটতে যাচ্ছিল, সে ধরনের হামলা থেকে ফ্লাইট সুরক্ষার মতো প্রযুক্তি বর্তমানে মার্কিন বিমানবন্দরগুলোর অনেকটিতেই নেই। হামলাকারী ওমর তাঁর অন্তর্বাসের মধ্যে বিশেষ কায়দায় ৮০ গ্রাম পেনট্রাইট (পিইটিএন) বিস্ফোরক নিয়ে বিমানটিতে উঠেছিলেন। পরে ওমর ওই বিস্ফোরক দিয়ে সিরিঞ্জের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে কয়েকজন যাত্রী ও ক্রুদের তত্পরতায় ওমরের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
কুশনার আক্ষেপ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১-এর হামলার প্রায় নয় বছর হয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে আকাশে যাত্রীবাহী বিমানের নিরাপত্তার জন্য ব্যয় করা হয়েছে কোটি কোটি ডলার। কিন্তু বিমানে এমন কোনো প্রযুক্তি এখনো আবিষ্কার করা যায়নি, যা দিয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত করা যায়।
ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৫ বলেছে, তারা নাইজেরীয় নাগরিক ওমরকে নজরদারিতে রেখেছিল। ওমর ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনে ছিলেন। ওই সময় তিনি সেখানে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজে পড়াশোনা করতেন। গোয়েন্দাদের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য সানডে টাইমস জানায়, অন্য যুবকদের মতোই ওমরও কিছুটা চরমপন্থী ভাবাদর্শী ছিলেন। কিন্তু তিনি সন্ত্রাসী পরিকল্পনায় জড়িত হওয়া কিংবা সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা দেওয়ার মতো কাজ করবেন—এমনটা ভাবেননি গোয়েন্দারা। এ কারণেই তাঁরা মার্কিন কর্তৃপক্ষকে ওমরের ব্যাপারে তথ্য সরবরাহ করেননি। তবে ওই হামলার চেষ্টার পর তাঁরা মার্কিন কর্তৃপক্ষকে এখন বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।
এদিকে ইয়েমেনে ওমরের ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা ম্যাথু সালমন বলেছেন, ‘বিমানে হামলা করতে যাওয়ার আগে ওমর তাঁর ঘরটি ধুয়ে-মুছে তকতকে পরিষ্কার করেছিলেন। ঘরটিতে তিনি আর কিছুই রেখে যাননি। পরে তিনি সেখানে নামাজ পড়েন। তিনি এত জোরে নামাজ পড়ছিলেন যে সেই শব্দ পাশের ঘর থেকেও শোনা যাচ্ছিল। নামাজের পর তিনি আমাকে বলেছিলেন, তিনি এমন একটি বিশ্ব দেখতে পাচ্ছেন, যেখানে মানুষজন মিলেমিশে শান্তিতে বাস করবে এবং সেখানে পরস্পরের হানাহানিরও কোনো দরকার পড়বে না।
যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৫ জানিয়েছে, বড়দিনে মার্কিন বিমানে হামলার চেষ্টাকারী নাইজেরীয় নাগরিক ওমর ফারুক আবদুল মোতালেব সম্পর্কে তারা সবিশেষ অবগত ছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা মার্কিন কর্তৃপক্ষকে কোনো তথ্য দেয়নি। সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দ্য সানডে টাইমস-এর খবরে এ কথা বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নতুন করে হামলার আশঙ্কা সম্পর্কে ন্যাশনাল কাউন্টারটেরোরিজম সেন্টারের পরিচালক মাইকেল লেইটার শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, আল-কায়েদা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা তাদের হামলার ধরন পাল্টানোর চেষ্টা করছে। এর পরিণতি কী হতে পারে সে সম্পর্কেও মার্কিন কর্মকর্তারা অবহিত আছেন।
লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অপরাধ বিশেষজ্ঞ হার্ভে কুশনার বলেন, বড়দিনে যে কায়দায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটতে যাচ্ছিল, সে ধরনের হামলা থেকে ফ্লাইট সুরক্ষার মতো প্রযুক্তি বর্তমানে মার্কিন বিমানবন্দরগুলোর অনেকটিতেই নেই। হামলাকারী ওমর তাঁর অন্তর্বাসের মধ্যে বিশেষ কায়দায় ৮০ গ্রাম পেনট্রাইট (পিইটিএন) বিস্ফোরক নিয়ে বিমানটিতে উঠেছিলেন। পরে ওমর ওই বিস্ফোরক দিয়ে সিরিঞ্জের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে কয়েকজন যাত্রী ও ক্রুদের তত্পরতায় ওমরের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
কুশনার আক্ষেপ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১-এর হামলার প্রায় নয় বছর হয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে আকাশে যাত্রীবাহী বিমানের নিরাপত্তার জন্য ব্যয় করা হয়েছে কোটি কোটি ডলার। কিন্তু বিমানে এমন কোনো প্রযুক্তি এখনো আবিষ্কার করা যায়নি, যা দিয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত করা যায়।
ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৫ বলেছে, তারা নাইজেরীয় নাগরিক ওমরকে নজরদারিতে রেখেছিল। ওমর ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনে ছিলেন। ওই সময় তিনি সেখানে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজে পড়াশোনা করতেন। গোয়েন্দাদের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য সানডে টাইমস জানায়, অন্য যুবকদের মতোই ওমরও কিছুটা চরমপন্থী ভাবাদর্শী ছিলেন। কিন্তু তিনি সন্ত্রাসী পরিকল্পনায় জড়িত হওয়া কিংবা সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা দেওয়ার মতো কাজ করবেন—এমনটা ভাবেননি গোয়েন্দারা। এ কারণেই তাঁরা মার্কিন কর্তৃপক্ষকে ওমরের ব্যাপারে তথ্য সরবরাহ করেননি। তবে ওই হামলার চেষ্টার পর তাঁরা মার্কিন কর্তৃপক্ষকে এখন বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।
এদিকে ইয়েমেনে ওমরের ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা ম্যাথু সালমন বলেছেন, ‘বিমানে হামলা করতে যাওয়ার আগে ওমর তাঁর ঘরটি ধুয়ে-মুছে তকতকে পরিষ্কার করেছিলেন। ঘরটিতে তিনি আর কিছুই রেখে যাননি। পরে তিনি সেখানে নামাজ পড়েন। তিনি এত জোরে নামাজ পড়ছিলেন যে সেই শব্দ পাশের ঘর থেকেও শোনা যাচ্ছিল। নামাজের পর তিনি আমাকে বলেছিলেন, তিনি এমন একটি বিশ্ব দেখতে পাচ্ছেন, যেখানে মানুষজন মিলেমিশে শান্তিতে বাস করবে এবং সেখানে পরস্পরের হানাহানিরও কোনো দরকার পড়বে না।
No comments