এনামুল-ইব্রাহিমের যুগলবন্দী
পিছিয়ে পড়া ম্যাচে আবাহনীকে জয় এনে দিল এনামুল-ইব্রাহিমের যুগলবন্দী। আবাহনীর স্ট্রাইকার জুটির সৌজন্যে কাল কমলাপুর স্টেডিয়াম দেখল গোছানো ফুটবল আর পরিকল্পিত আক্রমণ। আগের পাঁচ ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট পাওয়া রহমতগঞ্জ এগিয়ে গিয়েও হেরে গেল এ দুজনের কাছেই। আবাহনীর ৩-১ জয়ে এনামুলের গোল দুটি, ইব্রাহিমের একটি।
তিনটি গোলই ৪১-৪৭ মিনিটে। ওই সময়টা জ্বলে ওঠার দরকার ছিল আবাহনীর। ১০ মিনিটে ফেলিক্সের গোল রহমতঞ্জকে শুধু এগিয়েই দেয়নি, গতবারের দুঃস্বপ্ন-স্মৃতিটাই যেন ফিরিয়ে আনছিল। এই রহমতগঞ্জের কাছে হেরেই গতবার লিগ-যাত্রা শুরু হয়েছিল আবাহনীর। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হলেও আতঙ্কটা তো রয়েই গেছে।
গত লিগে মোহামেডানকেও একবার হারিয়ে দিয়েছিল রহমতগঞ্জ। এবার অবশ্য প্রথম সাক্ষাতে রহমতগঞ্জকে অঘটন ঘটতে দেয়নি সাদা-কালোরা। তবে মোহামেডানও এ ম্যাচে চাপে ছিল। এমন অবস্থায় দুই প্রধানই যখন ৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে, আবাহনী সপ্তম ম্যাচটা শুরু করেছিল রহমতগঞ্জের কাছে গোল হজম করে!
সেই গোল আবাহনীর দুর্বল রক্ষণ আর গোলকিপিংয়ের ফল। রাইটব্যাক নজরুল বলটা জমা দেন ফেলিক্সের পায়ে। সামনে পড়া সুজনকে সহজেই কাটিয়ে কোনাকুনি ঢুকে পড়লেন ফেলিক্স। গোলরক্ষক বিপ্লব প্রথম বারে এসে ফাঁকা জমিটা ভরাট করলে গোল খেলেন সবাইকে অবাক করে দিয়ে। এক ড্রপ খেয়ে বল তাঁর হাতের ফাঁক গলে জালে!
এই গোলে জেগে ওঠা আবাহনী এরপর প্রথমার্ধটা খেলল এবারের লিগে এখন পর্যন্ত সেরা ফুটবল। বল দেওয়া-নেওয়া, প্রান্ত বদল করা, আক্রমণে ওঠানামা—আবাহনীর মতোই খেলল আবাহনী। ইব্রাহিমই ছিলেন চালিকাশক্তি। ইনজুরির কারণে স্বদেশি শেরিফ খেলতে না পারায় তাঁর কাঁধে কাল ছিল বাড়তি দায়িত্ব। মৌসুমে এদিনই নিজের সেরা ফুটবলটা খেললেন ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার। আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেন, বল ছাড়লেন সময়মতো। এনামুলের দুটি গোলই তাঁর বানিয়ে দেওয়া।
এনামুল ছিলেন চটপটে এবং নিশানাভেদে নিখুঁত। ৪১ মিনিটে ইব্রাহিমের বক্সে তুলে দেওয়া বলটা বুক দিয়ে নামিয়ে দারুণ ভলি নিয়েছেন, রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক বলে হাত ছোঁয়ালেও আটকাতে পারেনি। উজ্জীবিত আবাহনীর বিরতিতে যায় ২-১ করে। এগিয়ে যাওয়ার গোলটা ইব্রাহিমকে দিয়ে করিয়েছেন উজ্জ্বল। ইব্রাহিমকে ফাঁকায় দাঁড়ানো দেখে কর্নার থেকে পাওয়া বলটা আলতো করে তুলে দেন বক্সে। ইব্রাহিমের হেড জালে।
বিরতির দুই মিনিট পরই ইব্রাহিমের ডিফেন্স-চেরা থ্রু ধরে ৩-১ করেন এনামুল। মাটি কামড়ানো কোনাকুটি শটে রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক হিমেলকে পরাস্ত করে পেয়ে যান এবারের লিগে নিজের ষষ্ঠ গোল। জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় বাকি সময়টা হালকা মোজাজেই খেলেছে আবাহনী। এই সুযোগে ফেলিক্স আবার পরীক্ষায় ফেলেন বিপ্লবকে। বিপ্লব পরাস্ত হলেও ফেলিক্সের তীব্র শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে।
তা হোক, এমন জয়ে আবাহনী কোচ অমলেশ সেন খুশি, ‘গোলটাই আমাদের জাগিয়ে দিয়েছে। গোল খাওয়ার পর খেলোয়াড়েরা বুঝতে পেরেছে সর্বশক্তি দিয়ে খেলতে হবে। প্রথমার্থে এই মৌসুমের সেরা ফুটবলটাই খেলেছি আমরা। ইব্রাহিম দারুণ খেলেছে।’
তিনটি গোলই ৪১-৪৭ মিনিটে। ওই সময়টা জ্বলে ওঠার দরকার ছিল আবাহনীর। ১০ মিনিটে ফেলিক্সের গোল রহমতঞ্জকে শুধু এগিয়েই দেয়নি, গতবারের দুঃস্বপ্ন-স্মৃতিটাই যেন ফিরিয়ে আনছিল। এই রহমতগঞ্জের কাছে হেরেই গতবার লিগ-যাত্রা শুরু হয়েছিল আবাহনীর। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হলেও আতঙ্কটা তো রয়েই গেছে।
গত লিগে মোহামেডানকেও একবার হারিয়ে দিয়েছিল রহমতগঞ্জ। এবার অবশ্য প্রথম সাক্ষাতে রহমতগঞ্জকে অঘটন ঘটতে দেয়নি সাদা-কালোরা। তবে মোহামেডানও এ ম্যাচে চাপে ছিল। এমন অবস্থায় দুই প্রধানই যখন ৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে, আবাহনী সপ্তম ম্যাচটা শুরু করেছিল রহমতগঞ্জের কাছে গোল হজম করে!
সেই গোল আবাহনীর দুর্বল রক্ষণ আর গোলকিপিংয়ের ফল। রাইটব্যাক নজরুল বলটা জমা দেন ফেলিক্সের পায়ে। সামনে পড়া সুজনকে সহজেই কাটিয়ে কোনাকুনি ঢুকে পড়লেন ফেলিক্স। গোলরক্ষক বিপ্লব প্রথম বারে এসে ফাঁকা জমিটা ভরাট করলে গোল খেলেন সবাইকে অবাক করে দিয়ে। এক ড্রপ খেয়ে বল তাঁর হাতের ফাঁক গলে জালে!
এই গোলে জেগে ওঠা আবাহনী এরপর প্রথমার্ধটা খেলল এবারের লিগে এখন পর্যন্ত সেরা ফুটবল। বল দেওয়া-নেওয়া, প্রান্ত বদল করা, আক্রমণে ওঠানামা—আবাহনীর মতোই খেলল আবাহনী। ইব্রাহিমই ছিলেন চালিকাশক্তি। ইনজুরির কারণে স্বদেশি শেরিফ খেলতে না পারায় তাঁর কাঁধে কাল ছিল বাড়তি দায়িত্ব। মৌসুমে এদিনই নিজের সেরা ফুটবলটা খেললেন ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার। আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেন, বল ছাড়লেন সময়মতো। এনামুলের দুটি গোলই তাঁর বানিয়ে দেওয়া।
এনামুল ছিলেন চটপটে এবং নিশানাভেদে নিখুঁত। ৪১ মিনিটে ইব্রাহিমের বক্সে তুলে দেওয়া বলটা বুক দিয়ে নামিয়ে দারুণ ভলি নিয়েছেন, রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক বলে হাত ছোঁয়ালেও আটকাতে পারেনি। উজ্জীবিত আবাহনীর বিরতিতে যায় ২-১ করে। এগিয়ে যাওয়ার গোলটা ইব্রাহিমকে দিয়ে করিয়েছেন উজ্জ্বল। ইব্রাহিমকে ফাঁকায় দাঁড়ানো দেখে কর্নার থেকে পাওয়া বলটা আলতো করে তুলে দেন বক্সে। ইব্রাহিমের হেড জালে।
বিরতির দুই মিনিট পরই ইব্রাহিমের ডিফেন্স-চেরা থ্রু ধরে ৩-১ করেন এনামুল। মাটি কামড়ানো কোনাকুটি শটে রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক হিমেলকে পরাস্ত করে পেয়ে যান এবারের লিগে নিজের ষষ্ঠ গোল। জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় বাকি সময়টা হালকা মোজাজেই খেলেছে আবাহনী। এই সুযোগে ফেলিক্স আবার পরীক্ষায় ফেলেন বিপ্লবকে। বিপ্লব পরাস্ত হলেও ফেলিক্সের তীব্র শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে।
তা হোক, এমন জয়ে আবাহনী কোচ অমলেশ সেন খুশি, ‘গোলটাই আমাদের জাগিয়ে দিয়েছে। গোল খাওয়ার পর খেলোয়াড়েরা বুঝতে পেরেছে সর্বশক্তি দিয়ে খেলতে হবে। প্রথমার্থে এই মৌসুমের সেরা ফুটবলটাই খেলেছি আমরা। ইব্রাহিম দারুণ খেলেছে।’
No comments