বিনিয়োগকারীরা স্বপ্ন দেখালেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা হতাশ করেছে -হানিফ মাহমুদ
বিদায়ী ২০০৯ সালে শেয়ারবাজার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখার অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছে। মূল চালকের আসনে ছিল প্রাতিষ্ঠানিক ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নানা ভূমিকা বাজারকে অনেক ভুল সংকেতও দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৯ সাল সার্বিক বিচারে শেয়ারবাজারের জন্য ভালো গেছে। বাজার মূলধন, সূচক ও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।
তবে অনেকগুলো শেয়ার অতি মূল্যায়ন হয়ে আছে, যা ঝুঁকির ব্যাপার। এসইসি ও ডিএসই মাঝে মধ্যে নানা বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছে, যা কাম্য ছিল না।
তাঁরা আরও বলছেন, সাধারণত বাজারে যখন মন্দা অবস্থা থাকে তখন নানা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয় বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে।
কিন্তু এসইসি একটি তেজি বাজারে সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছিল যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
বাজারের একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নতুন অনেক শেয়ার বাজারে আসায় বিনিয়োগকারীদের উত্সাহ বেড়েছে। তবে সব শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা করার প্রচারণায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। আর মিউচুয়্যাল ফান্ড নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বড় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। সূচকে এর প্রতিফলন না থাকলেও বাস্তবে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের সব পুঁজি হারিয়েছে।
তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম পুঁজিবাজারের সার্বিক অবস্থাকে এক কথায় ভালো বলেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০০৯ সালকে ভালোভাবে দেখছি। অনেকগুলো নতুন শেয়ার বাজারে এসেছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া একটি বড় ঘটনা।’
মির্জ্জা আজিজুল আরও বলেন, সূচক ভালো অবস্থায় আছে, বাজারে বড় ধরনের কোনো ওঠানামা নেই। তবে কিছু শেয়ার অতি মূল্যায়িত হয়ে গেছে।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে যে মতই থাকুক, নানা সূচকের মানদণ্ডে তা এগিয়েছে। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ২০০৯ সালের মধ্যে বাজার মূলধন দুই হাজার কোটি ডলার বা এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। আর দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ উন্নীত করা হবে ৭০০ কোটি টাকায়। ঘটনাটি যেভাবেই ঘটুক এই সাফল্যের দাবিদার তাঁরা।
গত ২৯ ডিসেম্বর ডিএসইর বর্তমান প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান ২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তাঁদের সাফল্য নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি বলেন, এ বছর বাজারে যেমন অনেকগুলো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে, তেমনি বাজারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন বিনিয়োগকারী। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১০ সালের মধ্যেই শেয়ারবাজারের দৈনিক লেনদেন তিন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তবে তিনি স্বীকার করেন, এ বছর পুঁজিবাজারে নতুন কোনো সরকারি কোম্পানির শেয়ার আনতে না পারাই ছিল তাঁদের বড় ব্যর্থতা।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি গ্রামীণফোনের তালিকাভুক্তি ও বছরের শেষ দিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি অনুসরণ করে শেয়ারের অভিহিত মূল্য নিরূপণের পদক্ষেপকে ২০০৯ সালের বড় ঘটনা মনে করে।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালে অর্জন অনেক। দৈনিক বাজার লেনদেন বিগত কয়েক বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়েছে। বাজার মূলধন জিডিপি ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে বেসরকারি খাতের অনেক উদ্যোক্তা ব্যাংকিং খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ না করে শেয়ারবাজারে আসছেন, যা ইতিবাচক অগ্রগতি।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ২০০৯ সালের শুরুতে ডিএসইর বাজার সূচক ছিল ২৮০৬ দশমিক ৬১ পয়েন্ট। ২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর এটি দাঁড়ায় ৪৫৩৫ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে।
ডিএসইর এক দিনে সর্বোচ্চ লেনদেন ছিল এক হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। সর্বনিম্ন লেনদেন ২১২ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বছরের শুরুতে সূচক ছিল ৮৮৬০ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট। বছরের সর্বশেষ লেনদেন দিবসে সূচক দাঁড়ায় ১৩ হাজার ১৮১ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে।
সিএসইর এক দিনে সর্বোচ্চ লেনদেন ছিল ১৬৩ কোটি টাকা। আর সর্বনিম্ন লেনদেন ছিল ২৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
২০০৯ সালে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ২১টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৯ সাল সার্বিক বিচারে শেয়ারবাজারের জন্য ভালো গেছে। বাজার মূলধন, সূচক ও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।
তবে অনেকগুলো শেয়ার অতি মূল্যায়ন হয়ে আছে, যা ঝুঁকির ব্যাপার। এসইসি ও ডিএসই মাঝে মধ্যে নানা বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছে, যা কাম্য ছিল না।
তাঁরা আরও বলছেন, সাধারণত বাজারে যখন মন্দা অবস্থা থাকে তখন নানা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয় বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে।
কিন্তু এসইসি একটি তেজি বাজারে সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছিল যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
বাজারের একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নতুন অনেক শেয়ার বাজারে আসায় বিনিয়োগকারীদের উত্সাহ বেড়েছে। তবে সব শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা করার প্রচারণায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। আর মিউচুয়্যাল ফান্ড নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বড় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। সূচকে এর প্রতিফলন না থাকলেও বাস্তবে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের সব পুঁজি হারিয়েছে।
তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম পুঁজিবাজারের সার্বিক অবস্থাকে এক কথায় ভালো বলেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০০৯ সালকে ভালোভাবে দেখছি। অনেকগুলো নতুন শেয়ার বাজারে এসেছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া একটি বড় ঘটনা।’
মির্জ্জা আজিজুল আরও বলেন, সূচক ভালো অবস্থায় আছে, বাজারে বড় ধরনের কোনো ওঠানামা নেই। তবে কিছু শেয়ার অতি মূল্যায়িত হয়ে গেছে।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে যে মতই থাকুক, নানা সূচকের মানদণ্ডে তা এগিয়েছে। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ২০০৯ সালের মধ্যে বাজার মূলধন দুই হাজার কোটি ডলার বা এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। আর দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ উন্নীত করা হবে ৭০০ কোটি টাকায়। ঘটনাটি যেভাবেই ঘটুক এই সাফল্যের দাবিদার তাঁরা।
গত ২৯ ডিসেম্বর ডিএসইর বর্তমান প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান ২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তাঁদের সাফল্য নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি বলেন, এ বছর বাজারে যেমন অনেকগুলো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে, তেমনি বাজারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন বিনিয়োগকারী। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১০ সালের মধ্যেই শেয়ারবাজারের দৈনিক লেনদেন তিন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তবে তিনি স্বীকার করেন, এ বছর পুঁজিবাজারে নতুন কোনো সরকারি কোম্পানির শেয়ার আনতে না পারাই ছিল তাঁদের বড় ব্যর্থতা।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি গ্রামীণফোনের তালিকাভুক্তি ও বছরের শেষ দিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি অনুসরণ করে শেয়ারের অভিহিত মূল্য নিরূপণের পদক্ষেপকে ২০০৯ সালের বড় ঘটনা মনে করে।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালে অর্জন অনেক। দৈনিক বাজার লেনদেন বিগত কয়েক বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়েছে। বাজার মূলধন জিডিপি ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে বেসরকারি খাতের অনেক উদ্যোক্তা ব্যাংকিং খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ না করে শেয়ারবাজারে আসছেন, যা ইতিবাচক অগ্রগতি।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ২০০৯ সালের শুরুতে ডিএসইর বাজার সূচক ছিল ২৮০৬ দশমিক ৬১ পয়েন্ট। ২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর এটি দাঁড়ায় ৪৫৩৫ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে।
ডিএসইর এক দিনে সর্বোচ্চ লেনদেন ছিল এক হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। সর্বনিম্ন লেনদেন ২১২ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বছরের শুরুতে সূচক ছিল ৮৮৬০ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট। বছরের সর্বশেষ লেনদেন দিবসে সূচক দাঁড়ায় ১৩ হাজার ১৮১ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে।
সিএসইর এক দিনে সর্বোচ্চ লেনদেন ছিল ১৬৩ কোটি টাকা। আর সর্বনিম্ন লেনদেন ছিল ২৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
২০০৯ সালে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ২১টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়।
No comments