লরাঁর সেই গোল
জাতীয় দলের হয়ে করেছেনই মাত্র দুটো গোল। কিন্তু এরই একটা অমরত্ব দিয়েছে তাঁকে। পেলে, ম্যারাডোনা, মিশেল প্লাতিনি, ইয়োহান ক্রুইফদের মতো কিংবদন্তির উচ্চতায় হয়তো যেতে পারেননি, কিন্তু তার পরও ইতিহাস চিরদিনই স্মরণ করবে তাঁকে। ১৯৩০ বিশ্বকাপের সেই কীর্তি আজও অমলিন। এর পর আরও ১৭টি আসর হয়েছে। সব মিলে বিশ্বকাপে গোল হয়েছে দুই হাজারেরও (২০৬৩) বেশি। কিন্তু তার পরও অক্ষুণ্ন তাঁর কীর্তি। অক্ষুণ্ন রবে চিরকাল। ফ্রান্সের লুসিঁয়ে লরাঁ যে করেছিলেন বিশ্বকাপের প্রথম গোলটি!
১৯৩০ সালের ১৩ জুলাই মন্টেভিডিওর এস্তাদিও পসিতসে সেদিন বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে জড়ো হয়েছিল মাত্র হাজারখানেক দর্শক। ফ্রান্স খেলেছিল মেক্সিকোর সঙ্গে। ম্যাচের ১৯ মিনিটের ঘটনা। সতীর্থ আর্নেস্ত লিবারাতির বাড়িয়ে দেওয়া বলে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া শটে মেক্সিকান গোলরক্ষক ওস্কার বনফিগলিও পরাস্ত। ফ্রান্স শুধু ১-০ গোলেই এগিয়ে গেল না, ফরাসি ফরোয়ার্ড লরাঁও নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়।
সেদিন ফ্রান্স ৪-১ গোলে জিতেছিল। না জিতলেও ক্ষতি ছিল না। লরাঁ যে কীর্তি গড়েছেন, সেটির অমরত্ব তো নিশ্চিত হয়ে গেছে তখনই।
নিপাট এই ভদ্রলোক মারা গেছেন ২০০৫ সালের ১১ এপ্রিল। ৯৭ বছর বয়সে। আজীবন ওই একটি গোলের জন্যই আলোচিত হয়েছেন। অন্তত বিশ্বকাপের মৌসুমে। এখন যেমন হচ্ছে। তবে ১৯৯৮ সালে ইংলিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টকে লরাঁ বলেছিলেন, ওই গোলের মাহাত্ম্য অন্তত তাঁর কাছে খুব একটা ছিল না। ‘আমাদের গোলরক্ষক কিক মেরে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারকে দিল। সেখান থেকে রাইট উইঙ্গার (লিবারাতি)। ও প্রতিপক্ষের ফুল ব্যাককে পরাস্ত করে একটা ক্রস করল। আমি ১২ গজ দূরে কোনাকুনি একটা ভলি করলাম’—লরাঁর আবেগহীন বর্ণনা।
কারণও ব্যাখ্যা করেছেন, ‘তখন তো আসলে কল্পনাও করতে পারিনি আমার গোলের মাহাত্ম্য। আমরা বুঝতেও পারিনি, বিশ্বকাপ আসলে শেষ পর্যন্ত টিকবে। মনে আছে, দেশে ফেরার পর আমাদের এক পত্রিকায় ছোট্ট করে একটা লেখা বেরিয়েছিল। ফুটবল তো তখন ছিল তার শৈশবে।
১৯৩০ সালের ১৩ জুলাই মন্টেভিডিওর এস্তাদিও পসিতসে সেদিন বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে জড়ো হয়েছিল মাত্র হাজারখানেক দর্শক। ফ্রান্স খেলেছিল মেক্সিকোর সঙ্গে। ম্যাচের ১৯ মিনিটের ঘটনা। সতীর্থ আর্নেস্ত লিবারাতির বাড়িয়ে দেওয়া বলে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া শটে মেক্সিকান গোলরক্ষক ওস্কার বনফিগলিও পরাস্ত। ফ্রান্স শুধু ১-০ গোলেই এগিয়ে গেল না, ফরাসি ফরোয়ার্ড লরাঁও নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়।
সেদিন ফ্রান্স ৪-১ গোলে জিতেছিল। না জিতলেও ক্ষতি ছিল না। লরাঁ যে কীর্তি গড়েছেন, সেটির অমরত্ব তো নিশ্চিত হয়ে গেছে তখনই।
নিপাট এই ভদ্রলোক মারা গেছেন ২০০৫ সালের ১১ এপ্রিল। ৯৭ বছর বয়সে। আজীবন ওই একটি গোলের জন্যই আলোচিত হয়েছেন। অন্তত বিশ্বকাপের মৌসুমে। এখন যেমন হচ্ছে। তবে ১৯৯৮ সালে ইংলিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টকে লরাঁ বলেছিলেন, ওই গোলের মাহাত্ম্য অন্তত তাঁর কাছে খুব একটা ছিল না। ‘আমাদের গোলরক্ষক কিক মেরে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারকে দিল। সেখান থেকে রাইট উইঙ্গার (লিবারাতি)। ও প্রতিপক্ষের ফুল ব্যাককে পরাস্ত করে একটা ক্রস করল। আমি ১২ গজ দূরে কোনাকুনি একটা ভলি করলাম’—লরাঁর আবেগহীন বর্ণনা।
কারণও ব্যাখ্যা করেছেন, ‘তখন তো আসলে কল্পনাও করতে পারিনি আমার গোলের মাহাত্ম্য। আমরা বুঝতেও পারিনি, বিশ্বকাপ আসলে শেষ পর্যন্ত টিকবে। মনে আছে, দেশে ফেরার পর আমাদের এক পত্রিকায় ছোট্ট করে একটা লেখা বেরিয়েছিল। ফুটবল তো তখন ছিল তার শৈশবে।
No comments