১২৫ বছরে কংগ্রেস হচ্ছে আরও শক্তিশালী
১৯৮৫ সালে কংগ্রেসের শতবার্ষিকী উদ্যাপনের সময় ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী মুম্বাইতে তাঁর বিখ্যাত ভাষণে সামন্ততন্ত্রের পথে গণ-আন্দোলন করায় দলটির সমালোচনা করেছিলেন। রাজীব তখন বলেছিলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কংগ্রেস সামান্য কিছুই করেছে। সম্ভবত রাজীব তখন ঠিক বলেছিলেন। কেননা, ১৯৮৯ সালের নির্বাচনেই হেরেছিল কংগ্রেস। যদিও দলটি ১৯৯১ থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। আবার ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয় তাদের।
কংগ্রেস এখনো তাদের ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেনি। তবে কিছু ক্ষেত্রে তারা আগের অবস্থান ফিরে পেয়েছে। এটা সত্যি, কংগ্রেস এখন তাদের প্রথম দুই দশকের মতো প্রভাবশালী নয়। বিহার, উত্তর প্রদেশ ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে দলটির প্রতি জনসমর্থন কম।
দলটি খুব পুরোনো হতে পারে কিন্তু এটা পরিষ্কার যে, দলটির শক্তি শেষ হয়ে যায়নি। তা ছাড়া বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও বাম দলগুলোর অবস্থা দেখে বোঝা যায়, কংগ্রেসের ভবিষ্যত্ খুব উজ্জ্বল। সরকার পরিচালনায় অন্য দলগুলোর অক্ষমতা দেখার পর জনগণ কংগ্রেসকে সমর্থন করছে। ধর্ম ও বর্ণ ও শ্রেণীর কথা বিবেচনা না করে দলটি সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। গুজরাটে দাঙ্গার কারণে ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হেরেছিল বিজেপি। একই কারণে উড়িষ্যায় ক্ষমতায় থাকার পরও খ্রিষ্টানবিরোধী দাঙ্গার কারণে ২০০৯ সালের নির্বাচনে হারে দলটি।
কংগ্রেসের শীর্ষস্থানে থেকে একটি পরিবার এখনো দলটির মূল্যবোধ অক্ষুণ্ন রেখেছে। মতিলাল নেহরু থেকে শুরু করে জওহর লাল নেহরু, ইন্দিরা, রাজীব, সোনিয়া এবং বর্তমানে রাহুলসহ পরিবারটিকে সাধারণ জনগণ ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে দেখে আসছে। বিজেপি পরিবারতান্ত্রিক এ শাসনের সমালোচনা করে এবং সোনিয়া গান্ধীকে বিদেশিনী বলে নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালায়। বেশির ভাগ ভারতীয়র মতে, একটি ভারতীয় পরিবারে বিয়ে হওয়ায় সোনিয়া একজন ভারতীয় নাগরিক। তাঁর শাশুড়ি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতো সোনিয়া স্বৈরাচারী নন। ইন্দিরার কিছু নীতির জন্য দলটিকে ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে মূল্য দিতে হয়েছিল।
কর্তৃত্ববাদী ও দুর্নীতি দল এবং পরিবারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করলেও বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তাদের ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু সোনিয়ার মধ্যে ভোটাররা এমন কিছু পেয়েছেন, যা কিনা বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) চেয়ে বৃহত্তর সমর্থন পাওয়ার উপযুক্ত। তাঁর উপস্থিতি সংখ্যালঘুদের কাছে আশার বাণী পাঠিয়েছে। ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর সোনিয়া রাজনীতিতে আরও পরিণত হয়েছেন। তখন প্রধানমন্ত্রী পদে মনমোহন সিংকে নির্বাচিত করায় দলের ভাবমূর্তি অনেকখানি উজ্জ্বল হয়।
অনেক আগে অনেকেই কংগ্রেসের মৃত্যুর কথা লিখেছেন। এর মধ্যে উল্লেখ করা যায় লর্ড কার্জনের কথা। ১৯০০ সালেই তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেস শেষ হয়ে যাবে। এর আট বছর পর মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) ২৩তম কংগ্রেস সম্মেলনে রাসবিহারি ঘোষ বলেছিলেন, ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস শেষ হয়ে যায়নি। শেষ হয়ে যাওয়া এর লক্ষ্য নয়।’
১০০ বছর পর তাঁর কথা সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। দলটি এখন তাকিয়ে আছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের দিকে।
কংগ্রেস এখনো তাদের ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেনি। তবে কিছু ক্ষেত্রে তারা আগের অবস্থান ফিরে পেয়েছে। এটা সত্যি, কংগ্রেস এখন তাদের প্রথম দুই দশকের মতো প্রভাবশালী নয়। বিহার, উত্তর প্রদেশ ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে দলটির প্রতি জনসমর্থন কম।
দলটি খুব পুরোনো হতে পারে কিন্তু এটা পরিষ্কার যে, দলটির শক্তি শেষ হয়ে যায়নি। তা ছাড়া বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও বাম দলগুলোর অবস্থা দেখে বোঝা যায়, কংগ্রেসের ভবিষ্যত্ খুব উজ্জ্বল। সরকার পরিচালনায় অন্য দলগুলোর অক্ষমতা দেখার পর জনগণ কংগ্রেসকে সমর্থন করছে। ধর্ম ও বর্ণ ও শ্রেণীর কথা বিবেচনা না করে দলটি সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। গুজরাটে দাঙ্গার কারণে ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হেরেছিল বিজেপি। একই কারণে উড়িষ্যায় ক্ষমতায় থাকার পরও খ্রিষ্টানবিরোধী দাঙ্গার কারণে ২০০৯ সালের নির্বাচনে হারে দলটি।
কংগ্রেসের শীর্ষস্থানে থেকে একটি পরিবার এখনো দলটির মূল্যবোধ অক্ষুণ্ন রেখেছে। মতিলাল নেহরু থেকে শুরু করে জওহর লাল নেহরু, ইন্দিরা, রাজীব, সোনিয়া এবং বর্তমানে রাহুলসহ পরিবারটিকে সাধারণ জনগণ ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে দেখে আসছে। বিজেপি পরিবারতান্ত্রিক এ শাসনের সমালোচনা করে এবং সোনিয়া গান্ধীকে বিদেশিনী বলে নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালায়। বেশির ভাগ ভারতীয়র মতে, একটি ভারতীয় পরিবারে বিয়ে হওয়ায় সোনিয়া একজন ভারতীয় নাগরিক। তাঁর শাশুড়ি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতো সোনিয়া স্বৈরাচারী নন। ইন্দিরার কিছু নীতির জন্য দলটিকে ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে মূল্য দিতে হয়েছিল।
কর্তৃত্ববাদী ও দুর্নীতি দল এবং পরিবারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করলেও বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তাদের ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু সোনিয়ার মধ্যে ভোটাররা এমন কিছু পেয়েছেন, যা কিনা বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) চেয়ে বৃহত্তর সমর্থন পাওয়ার উপযুক্ত। তাঁর উপস্থিতি সংখ্যালঘুদের কাছে আশার বাণী পাঠিয়েছে। ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর সোনিয়া রাজনীতিতে আরও পরিণত হয়েছেন। তখন প্রধানমন্ত্রী পদে মনমোহন সিংকে নির্বাচিত করায় দলের ভাবমূর্তি অনেকখানি উজ্জ্বল হয়।
অনেক আগে অনেকেই কংগ্রেসের মৃত্যুর কথা লিখেছেন। এর মধ্যে উল্লেখ করা যায় লর্ড কার্জনের কথা। ১৯০০ সালেই তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেস শেষ হয়ে যাবে। এর আট বছর পর মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) ২৩তম কংগ্রেস সম্মেলনে রাসবিহারি ঘোষ বলেছিলেন, ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস শেষ হয়ে যায়নি। শেষ হয়ে যাওয়া এর লক্ষ্য নয়।’
১০০ বছর পর তাঁর কথা সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। দলটি এখন তাকিয়ে আছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের দিকে।
No comments