ঢাকায় রিহ্যাবের পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন মেলা মঙ্গলবার থেকে
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) উদ্যোগে রাজধানীতে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে জমি ও ফ্ল্যাটের মেলা। ঢাকা শেরাটন হোটেলে ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০০৯’ শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠেয় এ মেলায় মোট ২৬৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ২৬২টি জমি উন্নয়ন ও বাড়ি নির্মাতা এবং ছয়টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
মেলার বিস্তারিত জানাতে রিহ্যাব গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ জুয়েল মোল্লা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সভাপতি তানভীরুল হক, সহসভাপতি মো. আবদুর রহিম খান ও সাঈদ নজরুল, যুগ্ম সম্পাদক মুরাদ ইকবাল চৌধুরী, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য জাহিদ হোসেন ও মেলার যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আহম্মেদ।
খালেদ মোহাম্মদ জুয়েল মোল্লা বলেন, ‘দেশের আবাসন সমস্যার সমাধানে বেসরকারি খাতের রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রিহ্যাব সদস্যদের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে, একটি পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলা। কিন্তু বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা, স্বচ্ছ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পরিকল্পনার অভাবে গৃহায়ণশিল্পে বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনিশ্চয়তার কারণে এ শিল্প বিনিয়োগে উত্সাহ হারাচ্ছে।’
রিহ্যাবের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে প্রায় ১৫ শতাংশ ভূমিকা রাখা এ খাতের স্থবিরতা সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিভিন্ন পেশাজীবী, দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের অন্ন জোগানের এ শিল্প খাতটি ক্রমান্বয়ে সংকটে পতিত হচ্ছে। ক্রেতাসাধারণের আগ্রহ হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থায় এ খাতের সংকট কাটাতে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জমি ও নির্মাণসামগ্রীর মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা, ব্যাংকঋণের উচ্চহারের সুদ এবং ভবনের নকশা অনুমোদনে দীর্ঘসূত্রিতা মানুষের স্বপ্নপূরণে ডেভেলপারদের কর্মকাণ্ড প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত করছে। এত কিছুর পরও রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রির চেষ্টা করছে। সরকারের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা ছাড়া এ সমস্যা থেকে উত্তরণে বিকল্প কোনো পথ নেই।
রিহ্যাবের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, গত জুনে জাতীয় বাজেটে যুগান্তকারী ঘোষণা এ বিনিয়োগে উত্সাহিত করেছে। সরকারের সিদ্ধান্তে এক দিকে শিল্প বাঁচবে, অন্য দিকে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। কিন্তু সরকার এক দিকে সহযোগিতার হাত বাড়ালেও অন্য দিকে জমির সরকারি মূল্য বাড়ানোয় সাধারণ মানুষ নতুন সংকটে পড়েছে। চলতি বাজেটে নিবন্ধন ব্যয় কমলেও জমির সরকারি মূল্য বাড়ায় সাধারণ মানুষ নিবন্ধনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
রিহ্যাবের সভাপতি তানভীরুল হক বলেন, চলতি বছরের জাতীয় বাজেটে জমি ও ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ থাকায় মেলায় বেচাবিক্রিতে ভালো সাড়া পাওয়া যেতে পারে। মেলায় ৫০০ কোটি টাকার বেচাবিক্রি হবে বলে আশা করেন তিনি। মেলায় ক্রেতাদের রাজউক অনুমোদিত ফ্ল্যাট কেনার পরামর্শও দেন রিহ্যাবের সভাপতি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেলা উপলক্ষে রিহ্যাব সেমিনার, উপস্থিত বক্তৃতা ও শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজকেরা জানান, এবারের মেলায় প্রতিবার প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ৫০ টাকা। আর পাঁচ দিনের টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। উদ্বোধনী দিন বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা এবং অন্যান্য দিন সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শক-ক্রেতাদের জন্য মেলা খোলা থাকবে। অন্যান্যবারের মতো এবারও প্রবেশ টিকিট বিক্রির মাধ্যমে পাওয়া অর্থের সবটাই দুস্থদের সাহায্যার্থে দান করবে রিহ্যাব।
মেলার বিস্তারিত জানাতে রিহ্যাব গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ জুয়েল মোল্লা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সভাপতি তানভীরুল হক, সহসভাপতি মো. আবদুর রহিম খান ও সাঈদ নজরুল, যুগ্ম সম্পাদক মুরাদ ইকবাল চৌধুরী, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য জাহিদ হোসেন ও মেলার যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আহম্মেদ।
খালেদ মোহাম্মদ জুয়েল মোল্লা বলেন, ‘দেশের আবাসন সমস্যার সমাধানে বেসরকারি খাতের রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রিহ্যাব সদস্যদের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে, একটি পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলা। কিন্তু বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা, স্বচ্ছ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পরিকল্পনার অভাবে গৃহায়ণশিল্পে বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনিশ্চয়তার কারণে এ শিল্প বিনিয়োগে উত্সাহ হারাচ্ছে।’
রিহ্যাবের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে প্রায় ১৫ শতাংশ ভূমিকা রাখা এ খাতের স্থবিরতা সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিভিন্ন পেশাজীবী, দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের অন্ন জোগানের এ শিল্প খাতটি ক্রমান্বয়ে সংকটে পতিত হচ্ছে। ক্রেতাসাধারণের আগ্রহ হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থায় এ খাতের সংকট কাটাতে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জমি ও নির্মাণসামগ্রীর মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা, ব্যাংকঋণের উচ্চহারের সুদ এবং ভবনের নকশা অনুমোদনে দীর্ঘসূত্রিতা মানুষের স্বপ্নপূরণে ডেভেলপারদের কর্মকাণ্ড প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত করছে। এত কিছুর পরও রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রির চেষ্টা করছে। সরকারের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা ছাড়া এ সমস্যা থেকে উত্তরণে বিকল্প কোনো পথ নেই।
রিহ্যাবের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, গত জুনে জাতীয় বাজেটে যুগান্তকারী ঘোষণা এ বিনিয়োগে উত্সাহিত করেছে। সরকারের সিদ্ধান্তে এক দিকে শিল্প বাঁচবে, অন্য দিকে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। কিন্তু সরকার এক দিকে সহযোগিতার হাত বাড়ালেও অন্য দিকে জমির সরকারি মূল্য বাড়ানোয় সাধারণ মানুষ নতুন সংকটে পড়েছে। চলতি বাজেটে নিবন্ধন ব্যয় কমলেও জমির সরকারি মূল্য বাড়ায় সাধারণ মানুষ নিবন্ধনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
রিহ্যাবের সভাপতি তানভীরুল হক বলেন, চলতি বছরের জাতীয় বাজেটে জমি ও ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ থাকায় মেলায় বেচাবিক্রিতে ভালো সাড়া পাওয়া যেতে পারে। মেলায় ৫০০ কোটি টাকার বেচাবিক্রি হবে বলে আশা করেন তিনি। মেলায় ক্রেতাদের রাজউক অনুমোদিত ফ্ল্যাট কেনার পরামর্শও দেন রিহ্যাবের সভাপতি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেলা উপলক্ষে রিহ্যাব সেমিনার, উপস্থিত বক্তৃতা ও শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজকেরা জানান, এবারের মেলায় প্রতিবার প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ৫০ টাকা। আর পাঁচ দিনের টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। উদ্বোধনী দিন বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা এবং অন্যান্য দিন সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শক-ক্রেতাদের জন্য মেলা খোলা থাকবে। অন্যান্যবারের মতো এবারও প্রবেশ টিকিট বিক্রির মাধ্যমে পাওয়া অর্থের সবটাই দুস্থদের সাহায্যার্থে দান করবে রিহ্যাব।
No comments