প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার অধিকার -যথাযথ শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুরক্ষা চাই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বলেছেন, সাধারণ স্কুলগুলো প্রতিবন্ধিতার কারণে কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি না করে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বক্তব্যের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিবন্ধীদের যথাযথ শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
সব শিশুর একসঙ্গে শিক্ষালাভের সুযোগ থাকা উচিত। বাংলাদেশ সরকার নৈতিকভাবে এ অবস্থানকে স্বীকার করে। ২০১৫ সালের মধ্যে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর অন্যতম। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারে ২০১১ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে ১০০ ভাগ ভর্তি নিশ্চিত করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশে যে শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষার বাইরে আছে, তাদের বিপুল অংশের নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। প্রতিবন্ধী শিশুদের অন্তর্ভুক্ত না করতে পারলে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করা যাবে না।
তবে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার বিষয়ে শুধু প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার ওপর দৃষ্টি দিলেই চলবে না, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। শুধু একপ্রকারের শিক্ষা পাওয়ার অধিকারই শেষ কথা নয়, মূলধারার শিক্ষার অংশ হওয়ার অধিকারও তাদের আছে।
প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার জন্য সমাজের সম্পৃক্ততা জরুরি। পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই মা-বাবাদেরও শিশুর কর্মকাণ্ড, তার স্বাস্থ্যের ওপর বিদ্যালয়ের কী প্রভাব পড়ছে—এসবের ওপর নজর রাখা দরকার। মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বাধা এখনো যথাযথ শিক্ষা থেকে অনেক মানুষকে বঞ্চিত করে। ফলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও তারা বঞ্চিত হয়। সর্বোপরি বড় প্রেক্ষাপটে প্রতিবন্ধিতাকে দেখতে পারার সামর্থ্য সমাজের সবার অর্জন করা প্রয়োজন, যেন দৃশ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো শুধু না দেখে মানসিক স্বাস্থ্যের মতো অপেক্ষাকৃত কম দৃশ্যমানগুলোও দেখতে পারা যায়।
সব শিশুর একসঙ্গে শিক্ষালাভের সুযোগ থাকা উচিত। বাংলাদেশ সরকার নৈতিকভাবে এ অবস্থানকে স্বীকার করে। ২০১৫ সালের মধ্যে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর অন্যতম। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারে ২০১১ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে ১০০ ভাগ ভর্তি নিশ্চিত করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশে যে শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষার বাইরে আছে, তাদের বিপুল অংশের নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। প্রতিবন্ধী শিশুদের অন্তর্ভুক্ত না করতে পারলে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করা যাবে না।
তবে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার বিষয়ে শুধু প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার ওপর দৃষ্টি দিলেই চলবে না, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। শুধু একপ্রকারের শিক্ষা পাওয়ার অধিকারই শেষ কথা নয়, মূলধারার শিক্ষার অংশ হওয়ার অধিকারও তাদের আছে।
প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার জন্য সমাজের সম্পৃক্ততা জরুরি। পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই মা-বাবাদেরও শিশুর কর্মকাণ্ড, তার স্বাস্থ্যের ওপর বিদ্যালয়ের কী প্রভাব পড়ছে—এসবের ওপর নজর রাখা দরকার। মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বাধা এখনো যথাযথ শিক্ষা থেকে অনেক মানুষকে বঞ্চিত করে। ফলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও তারা বঞ্চিত হয়। সর্বোপরি বড় প্রেক্ষাপটে প্রতিবন্ধিতাকে দেখতে পারার সামর্থ্য সমাজের সবার অর্জন করা প্রয়োজন, যেন দৃশ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো শুধু না দেখে মানসিক স্বাস্থ্যের মতো অপেক্ষাকৃত কম দৃশ্যমানগুলোও দেখতে পারা যায়।
No comments