বিক্ষোভকারীদের ‘সর্বোচ্চ শাস্তি’ চাইলেন সাংসদেরা -ইরানে বিরোধীদের ধরপাকড়
ইরানে সর্বশেষ সহিংসতায় কমপক্ষে আটজন নিহত হওয়ার পর গত সোমবার দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী সাবেক এক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কমপক্ষে ১০ জন সুপরিচিত ভিন্ন মতাবলম্বীকে গ্রেপ্তার করেছে। বিরোধী ওয়েবসাইটগুলোতে এ কথা বলা হয়েছে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ‘সর্বোচ্চ শাস্তি’ দাবি করেছেন দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যরা।
ওয়েবসাইট দ্য নওরোজ-এ বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সংস্কারপন্থী বিরোধী নেতা মির হোসেন মৌসাভির তিনজন উপদেষ্টা রয়েছেন। বাকি সাতজন সংস্কারপন্থী রাজনীতিক।
গত রোববার হাজার হাজার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী রাজধানী তেহরানসহ অন্যান্য বড় শহরের রাস্তায় নেমে এলে সহিংসতার সূত্রপাত হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এতে আটজন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে বিরোধী নেতা মির হোসেন মৌসাভির এক ভাগ্নেও রয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় ইংরেজি ভাষার টেলিভিশন প্রেস টিভি সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানায়, সহিংসতায় আটজন নিহত হয়েছে। তবে তারা ঠিক কোথায় নিহত হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
এদিকে বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের পার্লামেন্ট সদস্যরা। গতকাল তাঁরা এ আহ্বান জানান।
গত রোববারের সহিংসতা সম্পর্কে পশ্চিমা সরকারগুলোর মন্তব্যকে ‘নিদারুণ বিরক্তিকর’ হিসেবে অভিহিত করে ওই সব মন্তব্যের নিন্দা করেছে রক্ষণশীল নিয়ন্ত্রিত ইরানের পার্লামেন্ট। বিক্ষোভকারীদের ধর্মবিরোধী হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন সাংসদেরা।
পার্লামেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পার্লামেন্ট চায় যারা ধর্মের অবমাননা করেছে, বিচার বিভাগ ও গোয়েন্দা বিভাগ তাদের গ্রেপ্তার করবে এবং কোনো আপত্তি ছাড়াই তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।’ স্পিকার আলী লারিজানি টেলিভিশনে বিবৃতিটি পড়ে শোনান।
তবে পার্লামেন্ট সদস্যরা বিরোধী নেতাদের ওপর কিছুটা নরম বলেই মনে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের পুনর্নির্বাচনকে প্রতারণাপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করে ওই পুনর্নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন বিরোধী নেতারা। বিক্ষোভ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখার জন্য বিরোধী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাংসদেরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, আশা করা হচ্ছে, যাঁরা নির্বাচন সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন, তাঁরা জেগে উঠবেন। ভ্রান্ত ওই আন্দোলন থেকে নিজেদের পথকে পরিষ্কারভাবে আলাদা করে নেবেন।
আশুরায় যাঁরা ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন তাঁদের পক্ষে বিবৃতি দেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার তীব্র সমালোচনা করেছেন ইরানি সাংসদেরা। তাঁরা বলেছেন, ওই বিবৃতি ওবামার পূর্বসূরি জর্জ ডব্লিউ বুশের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার আটক বিরোধী কর্মীদের মুক্তি দাবি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইতিহাস তাদের পক্ষে রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দমনে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের সমালোচনা করে ওবামা বলেন, ‘নিরপরাধ ইরানি নাগরিকদের ওপর সরকারের দমন-নিপীড়নের কঠোর নিন্দা জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি যাদের বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইডো ভেস্টারভেলে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নকে নিরাপত্তা বাহিনীর ‘নিষ্ঠুর কাজ’ হিসেবে বর্ণনা করে এর নিন্দা করেছেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও দমন-পীড়নের নিন্দা করেছেন।
অন্যদিকে বিরোধী নেতা মির হোসেন মৌসাভির ভাগ্নেসহ সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ সরকারি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাফন অনুষ্ঠানকে যাতে আরও সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা না যায়, সে জন্য সরকার এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আলী মৌসাভির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, নিরাপত্তা বাহিনী অথবা সরকার সমর্থিত মিলিশিয়ারা তার ওপর গুলি চালিয়েছে। আলীর ভাই রেজা মৌসাভি বলেন, রাতে তেহরানের হাসপাতাল থেকে তাঁর ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক খুঁজেও মরদেহ পাওয়া যায়নি।
ওয়েবসাইট দ্য নওরোজ-এ বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সংস্কারপন্থী বিরোধী নেতা মির হোসেন মৌসাভির তিনজন উপদেষ্টা রয়েছেন। বাকি সাতজন সংস্কারপন্থী রাজনীতিক।
গত রোববার হাজার হাজার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী রাজধানী তেহরানসহ অন্যান্য বড় শহরের রাস্তায় নেমে এলে সহিংসতার সূত্রপাত হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এতে আটজন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে বিরোধী নেতা মির হোসেন মৌসাভির এক ভাগ্নেও রয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় ইংরেজি ভাষার টেলিভিশন প্রেস টিভি সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানায়, সহিংসতায় আটজন নিহত হয়েছে। তবে তারা ঠিক কোথায় নিহত হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
এদিকে বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের পার্লামেন্ট সদস্যরা। গতকাল তাঁরা এ আহ্বান জানান।
গত রোববারের সহিংসতা সম্পর্কে পশ্চিমা সরকারগুলোর মন্তব্যকে ‘নিদারুণ বিরক্তিকর’ হিসেবে অভিহিত করে ওই সব মন্তব্যের নিন্দা করেছে রক্ষণশীল নিয়ন্ত্রিত ইরানের পার্লামেন্ট। বিক্ষোভকারীদের ধর্মবিরোধী হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন সাংসদেরা।
পার্লামেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পার্লামেন্ট চায় যারা ধর্মের অবমাননা করেছে, বিচার বিভাগ ও গোয়েন্দা বিভাগ তাদের গ্রেপ্তার করবে এবং কোনো আপত্তি ছাড়াই তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।’ স্পিকার আলী লারিজানি টেলিভিশনে বিবৃতিটি পড়ে শোনান।
তবে পার্লামেন্ট সদস্যরা বিরোধী নেতাদের ওপর কিছুটা নরম বলেই মনে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের পুনর্নির্বাচনকে প্রতারণাপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করে ওই পুনর্নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন বিরোধী নেতারা। বিক্ষোভ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখার জন্য বিরোধী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাংসদেরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, আশা করা হচ্ছে, যাঁরা নির্বাচন সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন, তাঁরা জেগে উঠবেন। ভ্রান্ত ওই আন্দোলন থেকে নিজেদের পথকে পরিষ্কারভাবে আলাদা করে নেবেন।
আশুরায় যাঁরা ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন তাঁদের পক্ষে বিবৃতি দেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার তীব্র সমালোচনা করেছেন ইরানি সাংসদেরা। তাঁরা বলেছেন, ওই বিবৃতি ওবামার পূর্বসূরি জর্জ ডব্লিউ বুশের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার আটক বিরোধী কর্মীদের মুক্তি দাবি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইতিহাস তাদের পক্ষে রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দমনে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের সমালোচনা করে ওবামা বলেন, ‘নিরপরাধ ইরানি নাগরিকদের ওপর সরকারের দমন-নিপীড়নের কঠোর নিন্দা জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি যাদের বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইডো ভেস্টারভেলে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নকে নিরাপত্তা বাহিনীর ‘নিষ্ঠুর কাজ’ হিসেবে বর্ণনা করে এর নিন্দা করেছেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও দমন-পীড়নের নিন্দা করেছেন।
অন্যদিকে বিরোধী নেতা মির হোসেন মৌসাভির ভাগ্নেসহ সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ সরকারি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাফন অনুষ্ঠানকে যাতে আরও সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা না যায়, সে জন্য সরকার এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আলী মৌসাভির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, নিরাপত্তা বাহিনী অথবা সরকার সমর্থিত মিলিশিয়ারা তার ওপর গুলি চালিয়েছে। আলীর ভাই রেজা মৌসাভি বলেন, রাতে তেহরানের হাসপাতাল থেকে তাঁর ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক খুঁজেও মরদেহ পাওয়া যায়নি।
No comments