দুদকের মামলা সচলের উদ্যোগ -দ্রুত বিশেষ বেঞ্চ গঠন দরকার
দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কয়েকটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান গত ২৯ ডিসেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে একটি সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলাপের পর দুদক চেয়ারম্যান সরকারের মনোভাবকে ইতিবাচক বলে বর্ণনা করেছেন। দুদকের মামলা সচল করতে যেসব উদ্যোগ নেওয়া দরকার, তাতে সরকার ও অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টকেও আন্তরিক হতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাংসদ হাবিবুর রহমানের মামলায় হাইকোর্ট দুদকের পক্ষে যে রায় দেন, তা আমরা সঠিক মনে করি। এর বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণের সময় রাষ্ট্রপক্ষের অভিযুক্ত মোল্লার পক্ষে সহানুভূতিসূচক অবস্থান নেওয়ার কথা আমরা জানি। এটা খুবই পীড়াদায়ক ও দুর্ভাগ্যজনক। আগামী ৭ জানুয়ারি মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মামলার শুনানি আপিল বিভাগে শুরু হবে। হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ দুদকের সঙ্গে রীতিমতো বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করি, একজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আসামিপক্ষের বক্তব্য অত্যন্ত জোরালোভাবে সমর্থন করেন এবং দুদকের বক্তব্য ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেন। এর ভিত্তিতেই রায় লেখা হয়। সরষেয় ভূত যে আছে, তার প্রমাণ এই ঘটনা। সুতরাং অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলাপ করার ফলকে দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্যের বশে ইতিবাচক বললেও তাতে আমরা সন্তুষ্ট বা আশ্বস্ত হতে পারি না। রাষ্ট্র যদি সত্যিই মনে করে যে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মামলায় দুদকের বড় ধরনের গলদ ছিল, তবে তা নিয়ে শুনানির আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হতে হবে। রাষ্ট্রকে স্বচ্ছ ও স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে। আমাদের সুচিন্তিত মত হচ্ছে, এই মামলায় দুদকের অবস্থান অবশ্যই সমর্থনযোগ্য। কোনো কোনো মহলের প্রচারণা অনুযায়ী দুদক হাওয়ার ওপর ভর করে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা করেনি।
সুতরাং ওই দুটি গুরুত্বপূর্ণ আপিলে রাষ্ট্র ও দুদককে আমরা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে দেখতে চাই। সরকারপক্ষের জন্য এটা একটা কঠিন পরীক্ষা। অন্যদিকে দুর্নীতির মামলার শুনানি যাতে নানা ঠুনকো কারণে মাসের পর মাস মুলতবি না থাকে, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে তা নিশ্চিত করতে হবে। এটা প্রতিরোধের সঙ্গে বিচারিক সিদ্ধান্ত যেমন, তেমনি প্রধান বিচারপতির প্রশাসনিক এখতিয়ারের তদারকির প্রশ্নও নিবিড়ভাবে জড়িত। মনে রাখতে হবে, বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরো আমলের বিপুলসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে রিট অনিষ্পন্ন থাকার যে দায়, তার আনুপাতিক হিস্যা সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকেও নিতে হবে। আমরা অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত যে দুর্নীতির মামলার শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করতে হবে। বেঞ্চ গঠনের দায়িত্ব সংবিধানমতে একান্তভাবে প্রধান বিচারপতির। সুতরাং প্রধান বিচারপতিকে অবিলম্বে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। পেপারবুক প্রস্তুতির দায়দায়িত্ব হাইকোর্ট রুলস নির্দিষ্টভাবে রেজিস্ট্রারকে দিয়েছেন। কিন্তু রেজিস্ট্রাররা এ ক্ষেত্রের দায়িত্বটুকু বছরের পর বছর ধরে পালন না করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ অনিয়ম চলতে পারে না। দুর্নীতির মামলায় জামিনপ্রাপ্ত দণ্ডিতরা আপিলের শুনানিতে অনাগ্রহী। তাই সুপ্রিম কোর্ট এই অচলায়তন না ভাঙলে তা দুর্নীতি দমন অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাংসদ হাবিবুর রহমানের মামলায় হাইকোর্ট দুদকের পক্ষে যে রায় দেন, তা আমরা সঠিক মনে করি। এর বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণের সময় রাষ্ট্রপক্ষের অভিযুক্ত মোল্লার পক্ষে সহানুভূতিসূচক অবস্থান নেওয়ার কথা আমরা জানি। এটা খুবই পীড়াদায়ক ও দুর্ভাগ্যজনক। আগামী ৭ জানুয়ারি মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মামলার শুনানি আপিল বিভাগে শুরু হবে। হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ দুদকের সঙ্গে রীতিমতো বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করি, একজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আসামিপক্ষের বক্তব্য অত্যন্ত জোরালোভাবে সমর্থন করেন এবং দুদকের বক্তব্য ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেন। এর ভিত্তিতেই রায় লেখা হয়। সরষেয় ভূত যে আছে, তার প্রমাণ এই ঘটনা। সুতরাং অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলাপ করার ফলকে দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্যের বশে ইতিবাচক বললেও তাতে আমরা সন্তুষ্ট বা আশ্বস্ত হতে পারি না। রাষ্ট্র যদি সত্যিই মনে করে যে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মামলায় দুদকের বড় ধরনের গলদ ছিল, তবে তা নিয়ে শুনানির আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হতে হবে। রাষ্ট্রকে স্বচ্ছ ও স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে। আমাদের সুচিন্তিত মত হচ্ছে, এই মামলায় দুদকের অবস্থান অবশ্যই সমর্থনযোগ্য। কোনো কোনো মহলের প্রচারণা অনুযায়ী দুদক হাওয়ার ওপর ভর করে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা করেনি।
সুতরাং ওই দুটি গুরুত্বপূর্ণ আপিলে রাষ্ট্র ও দুদককে আমরা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে দেখতে চাই। সরকারপক্ষের জন্য এটা একটা কঠিন পরীক্ষা। অন্যদিকে দুর্নীতির মামলার শুনানি যাতে নানা ঠুনকো কারণে মাসের পর মাস মুলতবি না থাকে, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে তা নিশ্চিত করতে হবে। এটা প্রতিরোধের সঙ্গে বিচারিক সিদ্ধান্ত যেমন, তেমনি প্রধান বিচারপতির প্রশাসনিক এখতিয়ারের তদারকির প্রশ্নও নিবিড়ভাবে জড়িত। মনে রাখতে হবে, বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরো আমলের বিপুলসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে রিট অনিষ্পন্ন থাকার যে দায়, তার আনুপাতিক হিস্যা সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকেও নিতে হবে। আমরা অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত যে দুর্নীতির মামলার শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করতে হবে। বেঞ্চ গঠনের দায়িত্ব সংবিধানমতে একান্তভাবে প্রধান বিচারপতির। সুতরাং প্রধান বিচারপতিকে অবিলম্বে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। পেপারবুক প্রস্তুতির দায়দায়িত্ব হাইকোর্ট রুলস নির্দিষ্টভাবে রেজিস্ট্রারকে দিয়েছেন। কিন্তু রেজিস্ট্রাররা এ ক্ষেত্রের দায়িত্বটুকু বছরের পর বছর ধরে পালন না করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ অনিয়ম চলতে পারে না। দুর্নীতির মামলায় জামিনপ্রাপ্ত দণ্ডিতরা আপিলের শুনানিতে অনাগ্রহী। তাই সুপ্রিম কোর্ট এই অচলায়তন না ভাঙলে তা দুর্নীতি দমন অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করে যাবে।
No comments