ক্রিকেটারদের হুমকিতে কঠোর বিসিবি
ক্রিকেটার কল্যাণ সমিতি (কোয়াব) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সম্মুখসমরে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ১১তম জাতীয় লিগের ভবিষ্যত্। ক্রিকেটারদের লিগ বর্জনের হুমকির জবাবে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিসিবি। শুধু এ নিয়ে আলোচনা করতেই ৩১ ডিসেম্বর ডাকা হয়েছে জরুরি বোর্ড সভা। আজকের মধ্যে ক্রিকেটাররা নিজ নিজ বিভাগীয় দলের সঙ্গে যোগ না দিলে সে সভায় যে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে বোর্ড সূত্রে।
কাল বিসিবির দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও আছে কঠোর অবস্থানের আভাস। ২০০৯ সালকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সফল বছর উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে (২৭ ডিসেম্বর ২০০৯) আকস্মিকভাবে কোনো মহলের ইন্ধনে ক্রিকেট খেলোয়াড়দের লিগ বর্জনের ঘোষণাকে ক্রিকেট উন্নয়নের পথে একটি প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করে ক্রিকেট বোর্ড। ২০১১ বিশ্বকাপের আগে জাতীয় লিগ নিয়ে এ রকম একটা সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘অপচেষ্টা’ বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। বোর্ড মনে করে, এতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
জাতীয় লিগের জন্য ছয় বিভাগের নির্বাচিত ক্রিকেটারদের আজকের (৩০ ডিসেম্বর) মধ্যে নিজ নিজ বিভাগের ম্যাচের ভেন্যুতে দলের সঙ্গে যোগ দিতে অনুরোধ করেছে বিসিবি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘যদি খেলোয়াড়েরা এর ব্যত্যয় ঘটায়, তাহলে ক্রিকেট বোর্ড মনে করবে তারা বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নের অগ্রযাত্রা রহিত করছে।’ সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুর সফররত বোর্ড সভাপতি জাতীয় লিগ নিয়ে খেলোয়াড়দের অবস্থানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কোয়াবের সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বক্তব্য দেওয়াও সহজভাবে নেয়নি বোর্ড।
বোর্ডের অনুরোধের আগে বিভাগীয় দল থেকে এসএমএস পাঠিয়ে গতকাল থেকে অনুশীলনে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তাতে সাড়া দেননি ক্রিকেটাররা। টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান গাজী আশরাফ হোসেন তার পরও জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি থেকেই লিগ শুরুর সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটাররা অংশ না নিলে লিগে বিকল্প বিভাগীয় দল খেলানোর সম্ভাবনা নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য না করলেও মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস বলেছেন, এ রকম কোনো চিন্তা বোর্ডের নেই।
বিসিবির দেওয়া বার্তার জবাবে কাল সন্ধ্যায় কোয়াব সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল জানিয়েছেন তাদের অনড় অবস্থানের কথা, ‘ক্রিকেটের উন্নয়নই যদি সবাই চায়, তবে আলোচনায় বসতে অসুবিধা কোথায়? অথচ বোর্ডের কাছ থেকে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। বোর্ড আলোচনায় বসার আগ পর্যন্ত ক্রিকেটাররা আগের অবস্থানেই থাকবে।’ রাতে অবশ্য জানা গেছে, টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধানকে নতুন ফরম্যাট মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা। তবে আর্থিক সুবিধা বাড়ানো এবং লিগ দু-তিন দিন পেছানোর দাবি তখনো ছিল। জবাবে টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন, কোয়াবের সঙ্গে কোনো আলোচনা সম্ভব নয়।
গত ২৭ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে কোয়াব দাবি জানিয়েছিল, জাতীয় লিগ হতে হবে আগের ফরম্যাটে। ম্যাচ ফিসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা বাড়াতে হবে আরও এবং লিগ ১ জানুয়ারির পরিবর্তে শুরু করতে হবে ৫ জানুয়ারি থেকে। দাবি মানা না পর্যন্ত ক্রিকেটাররা জাতীয় লিগে খেলা থেকে বিরত থাকবে বলেও জানানো হয়েছিল। কোয়াবের অভিযোগ, এ বিষয়ে আলোচনার জন্য আরও আগে থেকে যোগাযোগ করা হলেও বোর্ড কোনো সাড়া দেয়নি। গত আগস্টে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান গাজী আশরাফ ও বোর্ডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আনামের কাছে জাতীয় লিগের দাবি-দাওয়া তুলে ধরে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল কোয়াব। এরপর জাতীয় ক্রিকেট লিগ ও ক্রিকেটারদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার জন্য ১৩ ডিসেম্বর বিসিবি সভাপতি বরাবর একটি চিঠি দিলেও সাড়া মেলেনি।
কাল বিসিবির দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও আছে কঠোর অবস্থানের আভাস। ২০০৯ সালকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সফল বছর উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে (২৭ ডিসেম্বর ২০০৯) আকস্মিকভাবে কোনো মহলের ইন্ধনে ক্রিকেট খেলোয়াড়দের লিগ বর্জনের ঘোষণাকে ক্রিকেট উন্নয়নের পথে একটি প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করে ক্রিকেট বোর্ড। ২০১১ বিশ্বকাপের আগে জাতীয় লিগ নিয়ে এ রকম একটা সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘অপচেষ্টা’ বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। বোর্ড মনে করে, এতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
জাতীয় লিগের জন্য ছয় বিভাগের নির্বাচিত ক্রিকেটারদের আজকের (৩০ ডিসেম্বর) মধ্যে নিজ নিজ বিভাগের ম্যাচের ভেন্যুতে দলের সঙ্গে যোগ দিতে অনুরোধ করেছে বিসিবি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘যদি খেলোয়াড়েরা এর ব্যত্যয় ঘটায়, তাহলে ক্রিকেট বোর্ড মনে করবে তারা বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নের অগ্রযাত্রা রহিত করছে।’ সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুর সফররত বোর্ড সভাপতি জাতীয় লিগ নিয়ে খেলোয়াড়দের অবস্থানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কোয়াবের সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বক্তব্য দেওয়াও সহজভাবে নেয়নি বোর্ড।
বোর্ডের অনুরোধের আগে বিভাগীয় দল থেকে এসএমএস পাঠিয়ে গতকাল থেকে অনুশীলনে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তাতে সাড়া দেননি ক্রিকেটাররা। টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান গাজী আশরাফ হোসেন তার পরও জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি থেকেই লিগ শুরুর সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটাররা অংশ না নিলে লিগে বিকল্প বিভাগীয় দল খেলানোর সম্ভাবনা নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য না করলেও মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস বলেছেন, এ রকম কোনো চিন্তা বোর্ডের নেই।
বিসিবির দেওয়া বার্তার জবাবে কাল সন্ধ্যায় কোয়াব সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল জানিয়েছেন তাদের অনড় অবস্থানের কথা, ‘ক্রিকেটের উন্নয়নই যদি সবাই চায়, তবে আলোচনায় বসতে অসুবিধা কোথায়? অথচ বোর্ডের কাছ থেকে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। বোর্ড আলোচনায় বসার আগ পর্যন্ত ক্রিকেটাররা আগের অবস্থানেই থাকবে।’ রাতে অবশ্য জানা গেছে, টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধানকে নতুন ফরম্যাট মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা। তবে আর্থিক সুবিধা বাড়ানো এবং লিগ দু-তিন দিন পেছানোর দাবি তখনো ছিল। জবাবে টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন, কোয়াবের সঙ্গে কোনো আলোচনা সম্ভব নয়।
গত ২৭ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে কোয়াব দাবি জানিয়েছিল, জাতীয় লিগ হতে হবে আগের ফরম্যাটে। ম্যাচ ফিসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা বাড়াতে হবে আরও এবং লিগ ১ জানুয়ারির পরিবর্তে শুরু করতে হবে ৫ জানুয়ারি থেকে। দাবি মানা না পর্যন্ত ক্রিকেটাররা জাতীয় লিগে খেলা থেকে বিরত থাকবে বলেও জানানো হয়েছিল। কোয়াবের অভিযোগ, এ বিষয়ে আলোচনার জন্য আরও আগে থেকে যোগাযোগ করা হলেও বোর্ড কোনো সাড়া দেয়নি। গত আগস্টে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান গাজী আশরাফ ও বোর্ডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আনামের কাছে জাতীয় লিগের দাবি-দাওয়া তুলে ধরে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল কোয়াব। এরপর জাতীয় ক্রিকেট লিগ ও ক্রিকেটারদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার জন্য ১৩ ডিসেম্বর বিসিবি সভাপতি বরাবর একটি চিঠি দিলেও সাড়া মেলেনি।
No comments