চীনে ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর -গর্ডন ব্রাউনের তীব্র নিন্দা
মাদক চোরাচালানের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ব্রিটিশ নাগরিক আকমল শেখের (৫৩) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
আকমল শেখকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য পরিবার ও ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। পরিবারের দাবি, আকমল শেখ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় তিনি ‘মর্মাহত ও হতাশ’। যাঁরা আকমল শেখকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের আকমল শেখের পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
৫০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে চীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের কোনো নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। ব্রিটিশ কূটনীতিকেরা বলেছেন, সম্ভবত বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
আকমল শেখের মৃতদেহ যুক্তরাজ্যে পাঠানো হবে না। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হিসেবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে দাফন করা হবে।
২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে চার কেজি হেরোইনসহ চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর উরুমচিতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আকমল শেখ। তাঁর পরিবারের দাবি, যে স্যুটকেসসহ তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, সেই স্যুটকেস তাঁর ছিল না। তিনি প্রবঞ্চনার শিকার হয়ে মাদক চোরাচালানিদের স্যুটকেস বহন করেছিলেন।
আকমল শেখের মেয়ে লায়লা হর্নসেল বলেন, পোল্যান্ডে মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে তাঁর বাবার দেখা হয়েছিল। সেখানে তারা তাঁর বাবাকে বুঝিয়ে দিলেন যে তারা তাঁকে চীনে পপস্টারে পরিণত করবে।
হর্নসেল বলেন, তাঁর বাবার মানসিক অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনা না করেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তিনি বুঝতে পারছেন না যে এটা কোন ধরনের ন্যায়বিচার।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি আকমল শেখের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য আমাদের অনুরোধ গ্রহণ না করায় আমরা হতাশ।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন এই কারণে যে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি।’
আকমল শেখকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য পরিবার ও ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। পরিবারের দাবি, আকমল শেখ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় তিনি ‘মর্মাহত ও হতাশ’। যাঁরা আকমল শেখকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের আকমল শেখের পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
৫০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে চীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের কোনো নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। ব্রিটিশ কূটনীতিকেরা বলেছেন, সম্ভবত বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
আকমল শেখের মৃতদেহ যুক্তরাজ্যে পাঠানো হবে না। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হিসেবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে দাফন করা হবে।
২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে চার কেজি হেরোইনসহ চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর উরুমচিতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আকমল শেখ। তাঁর পরিবারের দাবি, যে স্যুটকেসসহ তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, সেই স্যুটকেস তাঁর ছিল না। তিনি প্রবঞ্চনার শিকার হয়ে মাদক চোরাচালানিদের স্যুটকেস বহন করেছিলেন।
আকমল শেখের মেয়ে লায়লা হর্নসেল বলেন, পোল্যান্ডে মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে তাঁর বাবার দেখা হয়েছিল। সেখানে তারা তাঁর বাবাকে বুঝিয়ে দিলেন যে তারা তাঁকে চীনে পপস্টারে পরিণত করবে।
হর্নসেল বলেন, তাঁর বাবার মানসিক অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনা না করেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তিনি বুঝতে পারছেন না যে এটা কোন ধরনের ন্যায়বিচার।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি আকমল শেখের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য আমাদের অনুরোধ গ্রহণ না করায় আমরা হতাশ।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন এই কারণে যে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি।’
No comments