জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ -আইসিসি বাংলাদেশের সেমিনারে বক্তারা
গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা কমাতে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অর্থ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের অর্থনীতিবিদ ও পরিবেশ-বিশেষজ্ঞরা।
তাঁরা বলেছেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ধনী দেশগুলো। কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাব বেশি পড়ছে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনীতির ওপর।
গতকাল বুধবার ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি) আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তন: কোপেনহেগেনের ফলোআপ ও বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তাঁরা এসব দাবি জানান।
সভায় বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ জন্য আগে থেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ীদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।
রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আইসিসিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে আইইউসিএনের এশীয় অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা আইনুন নিশাত এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ কোপেনহেগেনের সম্মেলনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
বৈঠকে নির্ধারিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের (এফইজেএফ) চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম চৌধুরী, অক্সফামের ব্যবস্থাপক (পলিসি ও অ্যাডভোকেসি) জিয়াউল হক এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট জিওগ্রাফি ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) আহমেদুল হাসান।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আমীন চৌধুরী, বিকেএমইএর সহসভাপতি এম এ বাসেত, ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি এম এস সেকিল চৌধুরী, ডিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মো. শাহজাহান খান প্রমুখ।
আইনুন নিশাত বলেন, কোপেনহেগেনের জলবায়ু-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্জন একেবারেই কম নয়। বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস জমানোর জন্য ধনী দেশগুলো দায়ী এবং এটা কমানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের তেমন দায় নেই। এ বিষয়টি সম্মেলনে বোঝাতে বাংলাদেশ সক্ষম হয়েছে। তিনি গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে শর্তহীন অর্থসহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের জন্য উন্নত দেশগুলো দায়ী হলেও এর বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে। উন্নত দেশগুলোর কারণে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়ে বায়ু উত্তপ্ত করছে। এর ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর দায়িত্ব বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। এ জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলো তহবিল দিয়ে সাহায্য করলেই স্বল্পোন্নত দেশগুলো গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর উদ্যোগ নেবে।
স্বাগত বক্তব্যে মাহবুবুর রহমান বলেন, কোপেনহেগেনের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রপ্রধানেরা যে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন, তা বিশ্বব্যাপী স্বল্পমাত্রার কার্বন নির্গমনের অর্থনীতিকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক আলাপ-আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে একটি সুস্পষ্ট ও উচ্চাভিলাষী চুক্তি না হওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
আলোচনায় অংশ নিয়ে জিয়াউল হক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেশের কোন অঞ্চলে কী পড়বে, তা আগে থেকেই সমীক্ষা করে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বা নতুন শিল্প স্থাপনের পরামর্শ দেন। আহমেদুল হাসান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দেশের বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের শিল্প ও বিনিয়োগ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য বিনিয়োগের আগের সম্ভাব্যতা যাচাই করার সুপারিশ করেন।
তাঁরা বলেছেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ধনী দেশগুলো। কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাব বেশি পড়ছে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনীতির ওপর।
গতকাল বুধবার ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি) আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তন: কোপেনহেগেনের ফলোআপ ও বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তাঁরা এসব দাবি জানান।
সভায় বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ জন্য আগে থেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ীদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।
রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আইসিসিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে আইইউসিএনের এশীয় অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা আইনুন নিশাত এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ কোপেনহেগেনের সম্মেলনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
বৈঠকে নির্ধারিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের (এফইজেএফ) চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম চৌধুরী, অক্সফামের ব্যবস্থাপক (পলিসি ও অ্যাডভোকেসি) জিয়াউল হক এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট জিওগ্রাফি ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) আহমেদুল হাসান।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আমীন চৌধুরী, বিকেএমইএর সহসভাপতি এম এ বাসেত, ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি এম এস সেকিল চৌধুরী, ডিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মো. শাহজাহান খান প্রমুখ।
আইনুন নিশাত বলেন, কোপেনহেগেনের জলবায়ু-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্জন একেবারেই কম নয়। বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস জমানোর জন্য ধনী দেশগুলো দায়ী এবং এটা কমানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের তেমন দায় নেই। এ বিষয়টি সম্মেলনে বোঝাতে বাংলাদেশ সক্ষম হয়েছে। তিনি গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে শর্তহীন অর্থসহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের জন্য উন্নত দেশগুলো দায়ী হলেও এর বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে। উন্নত দেশগুলোর কারণে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়ে বায়ু উত্তপ্ত করছে। এর ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর দায়িত্ব বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। এ জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলো তহবিল দিয়ে সাহায্য করলেই স্বল্পোন্নত দেশগুলো গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর উদ্যোগ নেবে।
স্বাগত বক্তব্যে মাহবুবুর রহমান বলেন, কোপেনহেগেনের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রপ্রধানেরা যে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন, তা বিশ্বব্যাপী স্বল্পমাত্রার কার্বন নির্গমনের অর্থনীতিকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক আলাপ-আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে একটি সুস্পষ্ট ও উচ্চাভিলাষী চুক্তি না হওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
আলোচনায় অংশ নিয়ে জিয়াউল হক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেশের কোন অঞ্চলে কী পড়বে, তা আগে থেকেই সমীক্ষা করে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বা নতুন শিল্প স্থাপনের পরামর্শ দেন। আহমেদুল হাসান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দেশের বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের শিল্প ও বিনিয়োগ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য বিনিয়োগের আগের সম্ভাব্যতা যাচাই করার সুপারিশ করেন।
No comments