ক্রেতা-বিক্রেতাকেও আইনের আওতায় আনতে হবে -এসিড-সন্ত্রাস
এসিড-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশে কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও এর যথাযথ প্রয়োগ নেই। সম্প্রতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাকশনএইড পরিচালিত জরিপে যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তা উদ্বেগজনক। সাতক্ষীরা, দিনাজপুর ও সিরাজগঞ্জের ওপর নেওয়া জরিপে জানা গেছে, প্রতি দুই দিনে একজন এসিড-সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে।
এসিড-সন্ত্রাসের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে—এ রকম দৃষ্টান্ত কম। প্রথমত, যারা এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়, তারা সমাজের দুর্বল ও অসহায় অংশ। মেয়েরাই বেশি এসিড-সন্ত্রাসের শিকার হন। অনেক সময় তাঁরা মামলা করতেও সাহস পান না। আবার মামলা করলেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এসিড-সন্ত্রাসের অন্যতম কারণ এসিডের সহজলভ্যতা। এসিড একটি বিপজ্জনক রাসায়নিক। অতএব এর ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা থাকা প্রয়োজন। সাধারণত ব্যাটারি ও তাঁত ব্যবহারকারীরা এসিড ব্যবহার করে থাকে। এ কারণে লাইসেন্স বাধ্যতামূলক হলেও সেটি অনেকেই মানছে না। লাইসেন্সধারী ব্যক্তি ছাড়া কেউ এসিড বিক্রি করলে তা আইনত দণ্ডনীয়। যদিও খোলাবাজারে লাইসেন্স ছাড়াই অনেকে এই বিপজ্জনক রাসায়নিক বিক্রি করছে এবং হাত ঘুরে তা সন্ত্রাসী কাজেও ব্যবহূত হচ্ছে। অতএব, এসিড-সন্ত্রাস বন্ধে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কে আইনের আওতায় আনতে হবে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লাইসেন্সবিহীন এসিড-বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইন কঠোর করার কথা বলেছেন। তাঁর এই আশ্বাসবাণী দেশবাসীকে তখনই আশ্বস্ত করবে, যখন এর প্রয়োগ নিশ্চিত করা যাবে। অপরাধ দমনে অনেক আইন করা হলেও প্রয়োগ নেই। আইনের প্রয়োগ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারেও দরকার নিবিড় তদারকি। লাইসেন্সধারী এসিড-বিক্রেতাদের তালিকার পাশাপাশি ক্রেতাদের তালিকাও টাঙিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনও গড়ে তোলা জরুরি।
শুরু থেকে প্রথম আলো এসিড-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যেমন সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখছে, তেমনি আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসবে আশা করি। এসিড-সন্ত্রাসের মতো ঘৃণ্য অপরাধ থেকে দেশ মুক্ত হোক—এটাই সবার প্রত্যাশা।
এসিড-সন্ত্রাসের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে—এ রকম দৃষ্টান্ত কম। প্রথমত, যারা এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়, তারা সমাজের দুর্বল ও অসহায় অংশ। মেয়েরাই বেশি এসিড-সন্ত্রাসের শিকার হন। অনেক সময় তাঁরা মামলা করতেও সাহস পান না। আবার মামলা করলেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এসিড-সন্ত্রাসের অন্যতম কারণ এসিডের সহজলভ্যতা। এসিড একটি বিপজ্জনক রাসায়নিক। অতএব এর ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা থাকা প্রয়োজন। সাধারণত ব্যাটারি ও তাঁত ব্যবহারকারীরা এসিড ব্যবহার করে থাকে। এ কারণে লাইসেন্স বাধ্যতামূলক হলেও সেটি অনেকেই মানছে না। লাইসেন্সধারী ব্যক্তি ছাড়া কেউ এসিড বিক্রি করলে তা আইনত দণ্ডনীয়। যদিও খোলাবাজারে লাইসেন্স ছাড়াই অনেকে এই বিপজ্জনক রাসায়নিক বিক্রি করছে এবং হাত ঘুরে তা সন্ত্রাসী কাজেও ব্যবহূত হচ্ছে। অতএব, এসিড-সন্ত্রাস বন্ধে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কে আইনের আওতায় আনতে হবে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লাইসেন্সবিহীন এসিড-বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইন কঠোর করার কথা বলেছেন। তাঁর এই আশ্বাসবাণী দেশবাসীকে তখনই আশ্বস্ত করবে, যখন এর প্রয়োগ নিশ্চিত করা যাবে। অপরাধ দমনে অনেক আইন করা হলেও প্রয়োগ নেই। আইনের প্রয়োগ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারেও দরকার নিবিড় তদারকি। লাইসেন্সধারী এসিড-বিক্রেতাদের তালিকার পাশাপাশি ক্রেতাদের তালিকাও টাঙিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনও গড়ে তোলা জরুরি।
শুরু থেকে প্রথম আলো এসিড-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যেমন সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখছে, তেমনি আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসবে আশা করি। এসিড-সন্ত্রাসের মতো ঘৃণ্য অপরাধ থেকে দেশ মুক্ত হোক—এটাই সবার প্রত্যাশা।
No comments