যাতে বিশ্বসেরা, সেটাই ধ্বংসের কারণ
টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তারা, অথচ এই টি-টোয়েন্টিই নাকি ধ্বংস করে দিচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেট! কথাটা আমলে নিতেই হবে, কারণ উপলব্ধিটা স্বয়ং মোহাম্মদ ইউসুফের। পাকিস্তান অধিনায়ক বলেছেন, তাদের সাম্প্রতিক দুর্দশার কারণ টি-টোয়েন্টি।
পাকিস্তান এখন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ খেলছে, হঠাত্ করে টি-টোয়েন্টি নিয়ে এত ক্ষিপ্ত হওয়ায় অনেকে অবাক হতে পারেন। টি-টোয়েন্টির ওপর ইউসুফের এত ক্ষোভ টেস্টের পারফরম্যান্সের কারণেই। সদ্যসমাপ্ত মেলবোর্ন টেস্টে দুই ইনিংসেই কোনোমতে আড়াই শ পেরিয়েছে পাকিস্তান। সর্বশেষ ১৪ ইনিংসে সাড়ে তিন শর বেশি রান করতে পেরেছে মাত্র দুবার। ইউসুফের মতে ব্যাটসম্যানদের এই করুণ অবস্থার জন্য দায়ী টি-টোয়েন্টি, ‘টি-টোয়েন্টির কারণে ক্রিকেটাররা জানেই না উইকেটে কীভাবে টিকে থাকতে হয়। ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা হয়ে পড়ছে খুবই কঠিন। আমি জানি, এটা থেকে অনেক অর্থ পাওয়া যায়, ক্রিকেটাররা পায়, বোর্ডও পায়। কিন্তু পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টির উন্মাদনাটা খুবই বেশি। টেস্ট ও ওয়ানডেতে এর বাজে প্রভাব পড়তে বাধ্য।’
পরিসংখ্যানও সাক্ষ্য দেবে ইউসুফের কথাকেই। টি-টোয়েন্টিকে সবচেয়ে বেশি আপন করে নিয়েছে যেন পাকিস্তানই। নিউজিল্যান্ডের (৩০টি) পর সবচেয়ে বেশি ২৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে তারাই, সাফল্যের হারে (৭৯.৬২) তাদের ধারেকাছে নেই কোনো দেশ। টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটিও তাদের। গত বছরও সর্বাধিক টি-টোয়েন্টি খেলেছে তারা। ঘরোয়া ক্রিকেটেও টি-টোয়েন্টিকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা, চার দিনের ম্যাচে বা ওয়ানডেতে দর্শক না হলেও টি-টোয়েন্টিতে গ্যালারি থাকে ভরা। আর ক্রিকেটাররাও মজেছে এই ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেটে। টেস্টে ৫০-এর ওপর ব্যাটিং গড়ের অধিকারীর কণ্ঠে তাই শঙ্কা, ‘টি-টোয়েন্টি পাকিস্তানিদের জন্য খুব সহজ, কারণ তারা জানে কীভাবে বল মারতে হয়, কিন্তু জানে না কীভাবে ছাড়তে হয় বা ঠেকাতে হয়। আর এ জন্যই টেস্ট দূরের কথা, ওয়ানডেতেই আমরা ভুগছি। আমার ক্যারিয়ার আর আছে মাত্র ২-৩ বছর, কিন্তু চিন্তা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি পাকিস্তানের ক্রিকেটকেই ধ্বংস করে দেবে।’
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথও বাতলে দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক, ‘ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে দেখুন, ওরাও টি-টোয়েন্টি খেলে, কিন্তু অনেক নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে। টেস্টে ও ওয়ানডেকে ওরা প্রাপ্য সম্মানটা দেয়, আমরাও যদি একই পথে না হাঁটি, তাহলে এগোতে পারব না।’
পাকিস্তান এখন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ খেলছে, হঠাত্ করে টি-টোয়েন্টি নিয়ে এত ক্ষিপ্ত হওয়ায় অনেকে অবাক হতে পারেন। টি-টোয়েন্টির ওপর ইউসুফের এত ক্ষোভ টেস্টের পারফরম্যান্সের কারণেই। সদ্যসমাপ্ত মেলবোর্ন টেস্টে দুই ইনিংসেই কোনোমতে আড়াই শ পেরিয়েছে পাকিস্তান। সর্বশেষ ১৪ ইনিংসে সাড়ে তিন শর বেশি রান করতে পেরেছে মাত্র দুবার। ইউসুফের মতে ব্যাটসম্যানদের এই করুণ অবস্থার জন্য দায়ী টি-টোয়েন্টি, ‘টি-টোয়েন্টির কারণে ক্রিকেটাররা জানেই না উইকেটে কীভাবে টিকে থাকতে হয়। ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা হয়ে পড়ছে খুবই কঠিন। আমি জানি, এটা থেকে অনেক অর্থ পাওয়া যায়, ক্রিকেটাররা পায়, বোর্ডও পায়। কিন্তু পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টির উন্মাদনাটা খুবই বেশি। টেস্ট ও ওয়ানডেতে এর বাজে প্রভাব পড়তে বাধ্য।’
পরিসংখ্যানও সাক্ষ্য দেবে ইউসুফের কথাকেই। টি-টোয়েন্টিকে সবচেয়ে বেশি আপন করে নিয়েছে যেন পাকিস্তানই। নিউজিল্যান্ডের (৩০টি) পর সবচেয়ে বেশি ২৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে তারাই, সাফল্যের হারে (৭৯.৬২) তাদের ধারেকাছে নেই কোনো দেশ। টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটিও তাদের। গত বছরও সর্বাধিক টি-টোয়েন্টি খেলেছে তারা। ঘরোয়া ক্রিকেটেও টি-টোয়েন্টিকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা, চার দিনের ম্যাচে বা ওয়ানডেতে দর্শক না হলেও টি-টোয়েন্টিতে গ্যালারি থাকে ভরা। আর ক্রিকেটাররাও মজেছে এই ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেটে। টেস্টে ৫০-এর ওপর ব্যাটিং গড়ের অধিকারীর কণ্ঠে তাই শঙ্কা, ‘টি-টোয়েন্টি পাকিস্তানিদের জন্য খুব সহজ, কারণ তারা জানে কীভাবে বল মারতে হয়, কিন্তু জানে না কীভাবে ছাড়তে হয় বা ঠেকাতে হয়। আর এ জন্যই টেস্ট দূরের কথা, ওয়ানডেতেই আমরা ভুগছি। আমার ক্যারিয়ার আর আছে মাত্র ২-৩ বছর, কিন্তু চিন্তা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি পাকিস্তানের ক্রিকেটকেই ধ্বংস করে দেবে।’
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথও বাতলে দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক, ‘ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে দেখুন, ওরাও টি-টোয়েন্টি খেলে, কিন্তু অনেক নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে। টেস্টে ও ওয়ানডেকে ওরা প্রাপ্য সম্মানটা দেয়, আমরাও যদি একই পথে না হাঁটি, তাহলে এগোতে পারব না।’
No comments