হ্যান্ডবল চায় সোনা, ব্রোঞ্জেও সংশয় ভলিবলের
প্রাত্যহিক অনুশীলন শেষ। এসএ গেমসের জন্য মিরপুর শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়া জনা বিশেক হ্যান্ডবল খেলোয়াড় গোল হয়ে দাঁড়িয়ে গাইছেন—‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ।’ কাল ছিল হ্যান্ডবল খেলোয়াড় রবিউল ইসলাম ও রানা মিয়ার জন্মদিন। এটি উদ্যাপনের জন্যই গাইছিলেন তাঁরা।
এসএ গেমসে এবারই প্রথম ঢুকেছে হ্যান্ডবল। প্রথমবারের মতো খেলবেন বলেই নয়, দেশের মাটিতে টুর্নামেন্ট হবে বলে খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা গেল বাড়তি উত্সাহ, চ্যালেঞ্জও। তা সেই চ্যালেঞ্জ কতটুকু উতরাতে পারবে বাংলাদেশ? জার্মান কোচ উলভগাংলওয়েক দারুণ আশাবাদী, ‘কোনো কোচ কি চায় তার দল তৃতীয় বা চতুর্থ হোক? আমি চাই আমার দল সোনা জিতুক।’ প্রস্তুতিটা কেমন চলছে সেটা জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, ‘মন্দ না। ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। তবে রক্ষণভাগ নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।’
হ্যান্ডবলে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে নেপাল, আফগানিস্তান। এদের টপকাতে পারলে সেমিফাইনালে হয়তো দেখা হতে পারে শক্তিশালী ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু আদৌ কি ওই সব দেশের হ্যান্ডবল সম্পর্কে কোনো খোঁজখবর রাখেন কোচ? তাঁর মুখেই শুনুন, ‘আমি এই উপমহাদেশের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে কিছুই জানি না। চেয়েছিলাম ওদের খেলার ভিডিও ফুটেজ জোগাড় করে সেটা বিশ্লেষণ করব। কিন্তু ভিডিও আনতে পারেনি ফেডারেশন। তাই বলতে পারেন অন্ধকারেই আছি।’ সেই জানুয়ারি ২০০৮ থেকে ক্যাম্প শুরু হলেও এই পর্যন্ত কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারেনি হ্যান্ডবল দল। তবে এই মাসে অনেক কষ্টে জাইকার (জাপান কো-অপারেটিভ ভলান্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশন) সহায়তায় ফেডারেশন জাপান বিশ্ববিদ্যালয় দলকে এনেছে বাংলাদেশ। তাদের সঙ্গে চারটি প্রীতি ম্যাচও খেলেছে। যার ৩টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। এত দিন কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি বলে একটু আক্ষেপই করলেন দলের গোলরক্ষক আমজাদ হোসেন, ‘কী বলব ভাই। নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগই পেলাম না। তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী, বাংলাদেশকে সোনা এনে দিতে পারব।’ স্বাগতিক হওয়ার সুবিধাটাও এ ক্ষেত্রে ভালো কাজে লাগবে বলে মনে করছেন কামরুল ইসলাম, ‘দেশের মাটিতে খেলা হচ্ছে। চেনা পরিবেশ। নিজেদের দর্শক। সবই আমাদের অনুকূলে। এখন শুধু নিজেদের মেলে ধরার পালা।’ জার্মান কোচেরও প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি, ‘এই কোচের টেকনিক, ট্যাকটিস অনেক উন্নত। এই কোচকে যদি আমরা আরও আগে পেতাম তাহলে আরও অনেক ভালো হতো আমাদের।’ দলের দুর্বলতা যদি হয় রক্ষণ, শক্তিশালী দিকও আছে। দলে স্কোরার আছে বেশ কজন—কামরুল, সাইদুর, ওলি, খাইরুল। তাঁদের কাছ থেকেই বেশি চাইছেন কোচ। খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসও অনেক উঁচুতে। সহকারী কোচ কামরুল ইসলাম কিরণ জানালেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহ না হলে এই দলটা আরও ভালো করে গড়া যেত। এই দলে বেশির ভাগই ছিল বিডিআরের খেলোয়াড়। বিদ্রোহের ঘটনার পর তাদের খেলোয়াড়দের কোথাও বের হতে দেয়নি বিডিআর। ওটার প্রভাব পড়েছে আমাদের দলে।’
হ্যান্ডবলের প্র্যাকটিস তখনো শেষ হয়নি। পাশেই অপেক্ষা করতে দেখা গেল ভলিবল দলকে। অনুশীলনের জন্য তারাও প্রস্তুত। একই কোর্টে যেহেতু দুদলকে অনুশীলন চালিয়ে যেতে হচ্ছে, তাই সমঝোতার ভিত্তিতে সময়টা ভাগ করে নিয়েছে তারা। হ্যান্ডবল প্রথমবারের মতো অংশ নিলেও ভলিবল কিন্তু এসএ গেমসের শুরু থেকেই আছে। তবে কোনোবারই সোনা দূরে থাক, রুপাও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ব্রোঞ্জ জিতেছে মাত্র ৩ বার। গত ২০০৬ কলম্বো এসএ গেমসে শ্রীলঙ্কার কাছে ৫-২ সেটে হেরে চতুর্থ স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
এবার নিজেদের মাটিতে কেন সোনার আশা নয়? উত্তরটা দিলেন কোচ ইয়াদ আলী, ‘কীভাবে সোনার আশা করি বলুন? এখানে প্র্যাকটিস করতে পারি না ঠিকমতো। কোনো ম্যাট নেই। একটা মাত্র কোর্টের মাঝখানে নেট দিয়ে চলছে উশুর প্র্যাকটিস। আমরা ৩ মিটার ফ্রি জোন পাচ্ছি না যে আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নেব। কোনো ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে পারলাম না এখনো পর্যন্ত।’ অন্য দেশগুলো প্রস্তুতিতে কতটা এগিয়ে সেটিরও উদাহরণ টানলেন, ‘গত জানুয়ারিতে আমরা পাকিস্তানে গিয়েছিলাম বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আঞ্চলিক পর্বে অংশ নিতে। সেখানে খেলার পর শ্রীলঙ্কা আর দেশে ফেরেনি। থাইল্যান্ডে গিয়েছিল এসএ গেমসের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই। কিন্তু আমরা চলে এলাম।’ শেষ মুহূর্তে একটা সুসংবাদ শোনালেন তিনি, আগামী ১১ জানুয়ারি মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশ তিন জাতি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে। সেখানে শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক মিয়ানমারের সঙ্গে চারটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলার কথা আছে তাদের। মামুন, হায়দার, কায়সার, সুদর্শনরা অবশ্য নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দেওয়ারই আশ্বাস দিলেন। তাঁদের চোখমুখে সেই প্রত্যয়েরই ছাপ। তবে সেটি রুপা, না ব্রোঞ্জের জন্য তা বলা যাচ্ছে না।
এসএ গেমসে এবারই প্রথম ঢুকেছে হ্যান্ডবল। প্রথমবারের মতো খেলবেন বলেই নয়, দেশের মাটিতে টুর্নামেন্ট হবে বলে খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা গেল বাড়তি উত্সাহ, চ্যালেঞ্জও। তা সেই চ্যালেঞ্জ কতটুকু উতরাতে পারবে বাংলাদেশ? জার্মান কোচ উলভগাংলওয়েক দারুণ আশাবাদী, ‘কোনো কোচ কি চায় তার দল তৃতীয় বা চতুর্থ হোক? আমি চাই আমার দল সোনা জিতুক।’ প্রস্তুতিটা কেমন চলছে সেটা জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, ‘মন্দ না। ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। তবে রক্ষণভাগ নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।’
হ্যান্ডবলে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে নেপাল, আফগানিস্তান। এদের টপকাতে পারলে সেমিফাইনালে হয়তো দেখা হতে পারে শক্তিশালী ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু আদৌ কি ওই সব দেশের হ্যান্ডবল সম্পর্কে কোনো খোঁজখবর রাখেন কোচ? তাঁর মুখেই শুনুন, ‘আমি এই উপমহাদেশের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে কিছুই জানি না। চেয়েছিলাম ওদের খেলার ভিডিও ফুটেজ জোগাড় করে সেটা বিশ্লেষণ করব। কিন্তু ভিডিও আনতে পারেনি ফেডারেশন। তাই বলতে পারেন অন্ধকারেই আছি।’ সেই জানুয়ারি ২০০৮ থেকে ক্যাম্প শুরু হলেও এই পর্যন্ত কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারেনি হ্যান্ডবল দল। তবে এই মাসে অনেক কষ্টে জাইকার (জাপান কো-অপারেটিভ ভলান্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশন) সহায়তায় ফেডারেশন জাপান বিশ্ববিদ্যালয় দলকে এনেছে বাংলাদেশ। তাদের সঙ্গে চারটি প্রীতি ম্যাচও খেলেছে। যার ৩টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। এত দিন কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি বলে একটু আক্ষেপই করলেন দলের গোলরক্ষক আমজাদ হোসেন, ‘কী বলব ভাই। নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগই পেলাম না। তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী, বাংলাদেশকে সোনা এনে দিতে পারব।’ স্বাগতিক হওয়ার সুবিধাটাও এ ক্ষেত্রে ভালো কাজে লাগবে বলে মনে করছেন কামরুল ইসলাম, ‘দেশের মাটিতে খেলা হচ্ছে। চেনা পরিবেশ। নিজেদের দর্শক। সবই আমাদের অনুকূলে। এখন শুধু নিজেদের মেলে ধরার পালা।’ জার্মান কোচেরও প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি, ‘এই কোচের টেকনিক, ট্যাকটিস অনেক উন্নত। এই কোচকে যদি আমরা আরও আগে পেতাম তাহলে আরও অনেক ভালো হতো আমাদের।’ দলের দুর্বলতা যদি হয় রক্ষণ, শক্তিশালী দিকও আছে। দলে স্কোরার আছে বেশ কজন—কামরুল, সাইদুর, ওলি, খাইরুল। তাঁদের কাছ থেকেই বেশি চাইছেন কোচ। খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসও অনেক উঁচুতে। সহকারী কোচ কামরুল ইসলাম কিরণ জানালেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহ না হলে এই দলটা আরও ভালো করে গড়া যেত। এই দলে বেশির ভাগই ছিল বিডিআরের খেলোয়াড়। বিদ্রোহের ঘটনার পর তাদের খেলোয়াড়দের কোথাও বের হতে দেয়নি বিডিআর। ওটার প্রভাব পড়েছে আমাদের দলে।’
হ্যান্ডবলের প্র্যাকটিস তখনো শেষ হয়নি। পাশেই অপেক্ষা করতে দেখা গেল ভলিবল দলকে। অনুশীলনের জন্য তারাও প্রস্তুত। একই কোর্টে যেহেতু দুদলকে অনুশীলন চালিয়ে যেতে হচ্ছে, তাই সমঝোতার ভিত্তিতে সময়টা ভাগ করে নিয়েছে তারা। হ্যান্ডবল প্রথমবারের মতো অংশ নিলেও ভলিবল কিন্তু এসএ গেমসের শুরু থেকেই আছে। তবে কোনোবারই সোনা দূরে থাক, রুপাও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ব্রোঞ্জ জিতেছে মাত্র ৩ বার। গত ২০০৬ কলম্বো এসএ গেমসে শ্রীলঙ্কার কাছে ৫-২ সেটে হেরে চতুর্থ স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
এবার নিজেদের মাটিতে কেন সোনার আশা নয়? উত্তরটা দিলেন কোচ ইয়াদ আলী, ‘কীভাবে সোনার আশা করি বলুন? এখানে প্র্যাকটিস করতে পারি না ঠিকমতো। কোনো ম্যাট নেই। একটা মাত্র কোর্টের মাঝখানে নেট দিয়ে চলছে উশুর প্র্যাকটিস। আমরা ৩ মিটার ফ্রি জোন পাচ্ছি না যে আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নেব। কোনো ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে পারলাম না এখনো পর্যন্ত।’ অন্য দেশগুলো প্রস্তুতিতে কতটা এগিয়ে সেটিরও উদাহরণ টানলেন, ‘গত জানুয়ারিতে আমরা পাকিস্তানে গিয়েছিলাম বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আঞ্চলিক পর্বে অংশ নিতে। সেখানে খেলার পর শ্রীলঙ্কা আর দেশে ফেরেনি। থাইল্যান্ডে গিয়েছিল এসএ গেমসের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই। কিন্তু আমরা চলে এলাম।’ শেষ মুহূর্তে একটা সুসংবাদ শোনালেন তিনি, আগামী ১১ জানুয়ারি মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশ তিন জাতি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে। সেখানে শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক মিয়ানমারের সঙ্গে চারটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলার কথা আছে তাদের। মামুন, হায়দার, কায়সার, সুদর্শনরা অবশ্য নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দেওয়ারই আশ্বাস দিলেন। তাঁদের চোখমুখে সেই প্রত্যয়েরই ছাপ। তবে সেটি রুপা, না ব্রোঞ্জের জন্য তা বলা যাচ্ছে না।
No comments