এদিকে সোয়ান ওদিকে হরিজ
দুজনই অফ স্পিনার, বছরখানেক হলো দুজনেই দলে নিয়মিত। কিন্তু ভারত মহাসাগরের দুই প্রান্তে দুটি বক্সিং ডে টেস্টে দুজনের তাগিদটা ছিল দুই রকম। একজন ইতিমধ্যেই হয়ে উঠেছেন দলের বড় ভরসা। তাঁর তাগিদ ছিল সেই ভরসার প্রতিদান দেওয়া। আরেকজন বছরখানেক নিয়মিত খেলেও পাকা করতে পারেননি জায়গাটা। যাঁর জন্য তাঁর দলে ঢোকা, এই টেস্টের আগে সেই নির্বাচকেরই সমালোচনা শুনেছেন। তাঁর লড়াইটা তাই ছিল ভরসা হয়ে ওঠার।
সফল দুজনই। প্রথম জন গ্রায়েম সোয়ান, পরের জন নাথান হরিজ। সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সোয়ান, কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। ডারবানে শুধু ম্যাচসেরাই হননি, ৪৫ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে জিতিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েই হরিজ ভরসা হয়ে উঠেছেন এটা বলা যাবে না, তবে এই বিশ্বাসের বীজটা অন্তত বুনেছেন, তাঁর ওপর আস্থা রেখে ভুল করেনি অস্ট্রেলিয়া।
নয় বছর আগে এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ওয়ানডে অভিষেক সোয়ানের। ৫ ওভার বোলিং করার পরই আর খবর নেই। ধারণা ছিল, আরও অসংখ্য ইংলিশ স্পিনারের মতো তিনিও হারিয়ে যাবেন। কিন্তু সোয়ান ফিরেছেন, ২০০৭ সালে ওয়ানডে দলে, ২০০৮-এর ডিসেম্বরে টেস্টে। গত বছর ১২ টেস্টে নিয়েছেন ৫৪ উইকেট, স্পিনার হিসেবে সর্বোচ্চ, সব মিলিয়ে দ্বিতীয়। নয় নম্বরে নেমে ৪ ফিফটিসহ ৪৫.২০ গড়ে ৪৫২ রান লজ্জা দেবে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানকেও। অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস তো আর এমনিতেই বলেননি, ‘গত ১২ মাসে দলে ওর প্রভাব অসাধারণ, ও দলটাকে ভারসাম্যপূর্ণ করেছে।’ সোয়ানের কণ্ঠেও তৃপ্তি, ‘টানা দুটো ম্যান অব দ্য ম্যাচ, দারুণ একটা বছরের চমত্কার সমাপ্তি।’
৫ বছর আগে মুম্বাইয়ের ভয়াবহ এক টার্নিং উইকেটে অভিষেকেই ৫ উইকেট নিয়ে দল থেকে বাদ। ২০০৮ এর নভেম্বরে দলে ফিরে আরও ৯ টেস্ট খেলার পরও অভিষেকের ১৬ রানে ৩ উইকেটই ছিল হরিজের সেরা বোলিং। মেলবোর্ন টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক অ্যান্ড্রু হিলডিচ বললেন, দ্বিতীয় ইনিংসে হরিজের পারফরম্যান্স মোটেও ভালো নয়, ভবিষ্যতের জন্য তাঁরা স্পিনার খুঁজছেন। এতেই হয়তো আঁতে ঘা লাগল তাঁর। নিলেন ৫ উইকেট, শুধু টেস্টে নয়, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেই তাঁর প্রথম। শেন ওয়ার্নের অবসরের পর কোনো অস্ট্রেলিয়ান স্পিনারের দ্বিতীয় ৫ উইকেট।
মেলবোর্ন টেস্টের পর হরিজ বলেছেন ওয়ার্নের পরামর্শই বদলে দিয়েছে তাঁকে, ‘পঞ্চম দিন সকালে ওয়ার্ন আমাকে বলেছিলেন ধৈর্য ধরতে, বলের লাইন বদলে আক্রমণাত্মক বোলিং করতে এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে। ঠিক তা-ই করেই আমি সফল।’ আত্মবিশ্বাসী হয়ে দিয়েছেন এত দিনের সমালোচনার জবাবও, বলেছেন দলের জায়গাটা তিনি অর্জন করে নিয়েছেন, এখন এটা ধরে রাখতে চান।
শেন ওয়ার্নের অবসরের পর সাতজন স্পিনার খেলিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, তারাও তাই চায়, ‘একটা লম্বা দৌড়ের ঘোড়া।’ a
সফল দুজনই। প্রথম জন গ্রায়েম সোয়ান, পরের জন নাথান হরিজ। সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সোয়ান, কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। ডারবানে শুধু ম্যাচসেরাই হননি, ৪৫ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে জিতিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েই হরিজ ভরসা হয়ে উঠেছেন এটা বলা যাবে না, তবে এই বিশ্বাসের বীজটা অন্তত বুনেছেন, তাঁর ওপর আস্থা রেখে ভুল করেনি অস্ট্রেলিয়া।
নয় বছর আগে এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ওয়ানডে অভিষেক সোয়ানের। ৫ ওভার বোলিং করার পরই আর খবর নেই। ধারণা ছিল, আরও অসংখ্য ইংলিশ স্পিনারের মতো তিনিও হারিয়ে যাবেন। কিন্তু সোয়ান ফিরেছেন, ২০০৭ সালে ওয়ানডে দলে, ২০০৮-এর ডিসেম্বরে টেস্টে। গত বছর ১২ টেস্টে নিয়েছেন ৫৪ উইকেট, স্পিনার হিসেবে সর্বোচ্চ, সব মিলিয়ে দ্বিতীয়। নয় নম্বরে নেমে ৪ ফিফটিসহ ৪৫.২০ গড়ে ৪৫২ রান লজ্জা দেবে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানকেও। অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস তো আর এমনিতেই বলেননি, ‘গত ১২ মাসে দলে ওর প্রভাব অসাধারণ, ও দলটাকে ভারসাম্যপূর্ণ করেছে।’ সোয়ানের কণ্ঠেও তৃপ্তি, ‘টানা দুটো ম্যান অব দ্য ম্যাচ, দারুণ একটা বছরের চমত্কার সমাপ্তি।’
৫ বছর আগে মুম্বাইয়ের ভয়াবহ এক টার্নিং উইকেটে অভিষেকেই ৫ উইকেট নিয়ে দল থেকে বাদ। ২০০৮ এর নভেম্বরে দলে ফিরে আরও ৯ টেস্ট খেলার পরও অভিষেকের ১৬ রানে ৩ উইকেটই ছিল হরিজের সেরা বোলিং। মেলবোর্ন টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক অ্যান্ড্রু হিলডিচ বললেন, দ্বিতীয় ইনিংসে হরিজের পারফরম্যান্স মোটেও ভালো নয়, ভবিষ্যতের জন্য তাঁরা স্পিনার খুঁজছেন। এতেই হয়তো আঁতে ঘা লাগল তাঁর। নিলেন ৫ উইকেট, শুধু টেস্টে নয়, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেই তাঁর প্রথম। শেন ওয়ার্নের অবসরের পর কোনো অস্ট্রেলিয়ান স্পিনারের দ্বিতীয় ৫ উইকেট।
মেলবোর্ন টেস্টের পর হরিজ বলেছেন ওয়ার্নের পরামর্শই বদলে দিয়েছে তাঁকে, ‘পঞ্চম দিন সকালে ওয়ার্ন আমাকে বলেছিলেন ধৈর্য ধরতে, বলের লাইন বদলে আক্রমণাত্মক বোলিং করতে এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে। ঠিক তা-ই করেই আমি সফল।’ আত্মবিশ্বাসী হয়ে দিয়েছেন এত দিনের সমালোচনার জবাবও, বলেছেন দলের জায়গাটা তিনি অর্জন করে নিয়েছেন, এখন এটা ধরে রাখতে চান।
শেন ওয়ার্নের অবসরের পর সাতজন স্পিনার খেলিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, তারাও তাই চায়, ‘একটা লম্বা দৌড়ের ঘোড়া।’ a
No comments