স্বপ্ন পূরণ হবে কুমিল্লার by গাজীউল হক
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এনামুল হকের আক্ষেপ, ‘কুমিল্লায় ক্রিকেট লিগ হয় নকআউট পদ্ধতিতে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা নিয়মিত ক্রিকেটের আয়োজন না করায় স্থানীয় পর্যায়ে ক্রিকেট চর্চা নেই। আশা করি, বিসিবির নতুন সভাপতি এ অচলায়তন দূর করে কুমিল্লার ক্রীড়াঙ্গনে গতি আনবেন।’ যে শহরের ক্রিকেট আবহে কেটেছে শৈশব-কৈশোর, সেটার জন্য এটুকু কামনা তিনি করতেই পারেন। কিন্তু এনামুলের আশা কি পূরণ হবে?
গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল সংবর্ধনা পেলেন তাঁর নিজ জেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আলেখারচর মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘যুদ্ধজয়’ এলাকা থেকে বিশাল এক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে স্টেডিয়ামে আসেন তিনি। তাঁকে বরণ করে নিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গন। বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাব, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল অভ্যর্থনা পান মোস্তফা কামাল। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্থানীয় সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ জামিল বাবু, জেলার পুলিশ সুপার মো. শফিকুর রহমান প্রমুখ।
কিন্তু সংবর্ধনার ফুল শুকিয়ে যাওয়ার আগেই কি বিসিবির নতুন সভাপতি কুমিল্লার স্থবির ক্রীড়াঙ্গনকে জাগিয়ে তুলতে কার্যকর কিছু করার কথা ভাবতে পারেন না? বিসিবি সভাপতি অবশ্য বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিই দিয়ে গেলেন কুমিল্লাবাসীকে। জানালেন, ‘বিসিবির অর্থায়নে মাঠ বানানো হবে কুমিল্লায়। আয়োজন করা হবে আন্তর্জাতিক মানের প্রদর্শনী ম্যাচ। স্থানীয় ক্রিকেটারদের দেওয়া হবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।’
এনামুল হক মনির মতো আরও অনেক মানুষই আশায় আছেন, এই প্রতিশ্রুতিগুলো শুধু প্রতিশ্রুতি হয়ে থাকবে না। কুমিল্লার ক্রীড়াঙ্গন ফিরে পাবে প্রাণ। বিসিবির সাবেক নির্বাহী সদস্য বদরুল হুদা যেমন বললেন, ‘কুমিল্লার ক্রিকেটের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিসিবির সভাপতি পথ তৈরি করে দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে তিনিই পারেন অবকাঠামোগত সুবিধাসহ আমাদের একটি ভালো মাঠ উপহার দিতে।’
১৯৩৩ সালে গঠিত হয় কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা। ১৯৭৪ সালে প্রথম জাতীয় ক্রিকেটে শিরোপা জেতে কুমিল্লা। ১৯৯২ সালে জাতীয় নির্মাণ স্কুল ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা জিলা স্কুল। জাতীয় পর্যায়ে এ রকম সাফল্য এসেছে আরও অনেক। কিন্তু কুমিল্লার ক্রিকেটে হঠাত্ করেই যেন ভাটার টান! জাতীয় পর্যায়ে দূরের কথা, জেলার খেলাও নিয়মিত হয় না এখন।
জেলা আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক ক্রিকেটার ফয়সল বারী মজুমদারের প্রশ্নটা যৌক্তিক, ‘বগুড়ার চেয়েও কুমিল্লার ক্রিকেটের ইতিহাস উজ্জ্বল। বগুড়ায় যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হতে পারে, তাহলে কুমিল্লায় তো আরও আগে হওয়া উচিত। আশা করি, বিসিবির সভাপতি কুমিল্লার খেলাধুলায় বিশেষ করে ক্রিকেটকে নতুন জীবন দেবেন। কুমিল্লা একটা ভালো ভেন্যু হবে।’ আর এসব দাবির সারমর্মই যেন তুলে ধরলেন দুই দশকের বেশি সময় ধরে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা ইউসুফ জামিল বাবু, ‘উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষণা, ভালো স্পনসর, অবকাঠামোগত উন্নয়নই আমাদের দাবি।’
কিন্তু এটাও তো ঠিক, স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গনকে জাগাতে জাদুর কাঠি হাতে এগিয়ে আসবেন না কোনো জাদুকর! নতুন স্বপ্নে জেগে উঠতে হবে নিজেদেরই। তবে বিসিবির সভাপতি হওয়ার পর মোস্তফা কামাল অবশ্যই একটা ভূমিকা রাখতে পারেন।
গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল সংবর্ধনা পেলেন তাঁর নিজ জেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আলেখারচর মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘যুদ্ধজয়’ এলাকা থেকে বিশাল এক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে স্টেডিয়ামে আসেন তিনি। তাঁকে বরণ করে নিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গন। বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাব, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল অভ্যর্থনা পান মোস্তফা কামাল। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্থানীয় সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ জামিল বাবু, জেলার পুলিশ সুপার মো. শফিকুর রহমান প্রমুখ।
কিন্তু সংবর্ধনার ফুল শুকিয়ে যাওয়ার আগেই কি বিসিবির নতুন সভাপতি কুমিল্লার স্থবির ক্রীড়াঙ্গনকে জাগিয়ে তুলতে কার্যকর কিছু করার কথা ভাবতে পারেন না? বিসিবি সভাপতি অবশ্য বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিই দিয়ে গেলেন কুমিল্লাবাসীকে। জানালেন, ‘বিসিবির অর্থায়নে মাঠ বানানো হবে কুমিল্লায়। আয়োজন করা হবে আন্তর্জাতিক মানের প্রদর্শনী ম্যাচ। স্থানীয় ক্রিকেটারদের দেওয়া হবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।’
এনামুল হক মনির মতো আরও অনেক মানুষই আশায় আছেন, এই প্রতিশ্রুতিগুলো শুধু প্রতিশ্রুতি হয়ে থাকবে না। কুমিল্লার ক্রীড়াঙ্গন ফিরে পাবে প্রাণ। বিসিবির সাবেক নির্বাহী সদস্য বদরুল হুদা যেমন বললেন, ‘কুমিল্লার ক্রিকেটের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিসিবির সভাপতি পথ তৈরি করে দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে তিনিই পারেন অবকাঠামোগত সুবিধাসহ আমাদের একটি ভালো মাঠ উপহার দিতে।’
১৯৩৩ সালে গঠিত হয় কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা। ১৯৭৪ সালে প্রথম জাতীয় ক্রিকেটে শিরোপা জেতে কুমিল্লা। ১৯৯২ সালে জাতীয় নির্মাণ স্কুল ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা জিলা স্কুল। জাতীয় পর্যায়ে এ রকম সাফল্য এসেছে আরও অনেক। কিন্তু কুমিল্লার ক্রিকেটে হঠাত্ করেই যেন ভাটার টান! জাতীয় পর্যায়ে দূরের কথা, জেলার খেলাও নিয়মিত হয় না এখন।
জেলা আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক ক্রিকেটার ফয়সল বারী মজুমদারের প্রশ্নটা যৌক্তিক, ‘বগুড়ার চেয়েও কুমিল্লার ক্রিকেটের ইতিহাস উজ্জ্বল। বগুড়ায় যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হতে পারে, তাহলে কুমিল্লায় তো আরও আগে হওয়া উচিত। আশা করি, বিসিবির সভাপতি কুমিল্লার খেলাধুলায় বিশেষ করে ক্রিকেটকে নতুন জীবন দেবেন। কুমিল্লা একটা ভালো ভেন্যু হবে।’ আর এসব দাবির সারমর্মই যেন তুলে ধরলেন দুই দশকের বেশি সময় ধরে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা ইউসুফ জামিল বাবু, ‘উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষণা, ভালো স্পনসর, অবকাঠামোগত উন্নয়নই আমাদের দাবি।’
কিন্তু এটাও তো ঠিক, স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গনকে জাগাতে জাদুর কাঠি হাতে এগিয়ে আসবেন না কোনো জাদুকর! নতুন স্বপ্নে জেগে উঠতে হবে নিজেদেরই। তবে বিসিবির সভাপতি হওয়ার পর মোস্তফা কামাল অবশ্যই একটা ভূমিকা রাখতে পারেন।
No comments