মার্কিন সিনেটে পাকিস্তানের জন্য সামরিক সহায়তা বিল অনুমোদন
যুক্তরাষ্ট্রের কথিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে’ পাকিস্তানের জন্য সামরিক সহায়তা বাড়ানোর একটি প্রস্তাব শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন করেছে মার্কিন সিনেট। এই প্রস্তাবে সহায়তা ছাড়ের ক্ষেত্রে কঠোর শর্ত আরোপ করা হয়েছে এবং শুধু সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধেই এই সহায়তা ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। সিনেটে গতকাল শুক্রবার ৬৮-২৯ ভোটে প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়। ‘ডিফেন্স অথরাইজেশন বিল’ শীর্ষক প্রস্তাবটিতে ২০১০ সালে পাকিস্তানের জন্য ৬৮ হাজার ডলারের সামরিক সহায়তা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৮ অক্টোবর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ২৮১-১৪৬ ভোটে প্রস্তাবটি অনুমোদন করে।
নতুন এই প্রস্তাবে শর্ত রাখা হয়েছে, পাকিস্তানে পাঠানো সামরিক সরঞ্জামগুলো শেষ পর্যন্ত কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে, সে দিকে লক্ষ রাখা হবে। এসব সহায়তা প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়া নতুন এই প্রস্তাবের অধীনে দেওয়া সহায়তা আল-কায়েদা, তালেবান ও অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কার্যক্রম বাড়াচ্ছে কি না, তাও নিশ্চিত করতে হবে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তর পেন্টাগনকে। পাকিস্তানের জন্য পাঠানো এ সহায়তা যাতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট না করে, তা নিশ্চিত করতেই এসব কঠোর শর্তের প্রস্তাব করেন সিনেটর রবার্ট মেনেনডেজ ও বব ক্রোকার। তাঁদের ওই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মার্কিন সিনেট। এখন থেকে নতুন এসব শর্তের আওতায় ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বরাদ্দ ১৬০ কোটি ডলারের তহবিল থেকে পাকিস্তানের জন্য সামরিক সহায়তা ছাড় করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
ডেমোক্র্যাটদলীয় সিনেটর রবার্ট মেনেনডেজ বলেন, ‘আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এই লড়াই (সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ) প্রয়োজন। তবে আমাদের একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, এই যুদ্ধ-সহায়তা যেন অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা না হয়।’ রিপাবলিকানদলীয় সিনেটর বব ক্রোকার বলেন, ‘সহিংস চরমপন্থীদের নির্মূল করার জন্য পাকিস্তানকে উদ্যোগী হতে হবে। নিজের দেশের সীমানার মধ্যে অবস্থিত জঙ্গি ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করার ব্যাপারে পাকিস্তানের চলমান উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’
তবে এ ধরনের কঠোর শর্ত আরোপ করার বিষয়টি পাকিস্তানের সরকার ও জনগণ খুব একটা ভালোভাবে নেবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি দেশটির জন্য পাঁচ বছর মেয়াদে সাড়ে ৭০০ কোটি ডলারের আরেকটি সহায়তা প্যাকেজে আরোপিত শর্তগুলো নিয়ে আপত্তি তোলে সে দেশের সরকার। পাকিস্তানের বক্তব্য, এসব সহায়তা প্যাকেজের শর্তের মাধ্যমে তাদের দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে মার্কিন প্রশাসন।
নতুন এই প্রস্তাবে শর্ত রাখা হয়েছে, পাকিস্তানে পাঠানো সামরিক সরঞ্জামগুলো শেষ পর্যন্ত কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে, সে দিকে লক্ষ রাখা হবে। এসব সহায়তা প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়া নতুন এই প্রস্তাবের অধীনে দেওয়া সহায়তা আল-কায়েদা, তালেবান ও অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কার্যক্রম বাড়াচ্ছে কি না, তাও নিশ্চিত করতে হবে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তর পেন্টাগনকে। পাকিস্তানের জন্য পাঠানো এ সহায়তা যাতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট না করে, তা নিশ্চিত করতেই এসব কঠোর শর্তের প্রস্তাব করেন সিনেটর রবার্ট মেনেনডেজ ও বব ক্রোকার। তাঁদের ওই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মার্কিন সিনেট। এখন থেকে নতুন এসব শর্তের আওতায় ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বরাদ্দ ১৬০ কোটি ডলারের তহবিল থেকে পাকিস্তানের জন্য সামরিক সহায়তা ছাড় করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
ডেমোক্র্যাটদলীয় সিনেটর রবার্ট মেনেনডেজ বলেন, ‘আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এই লড়াই (সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ) প্রয়োজন। তবে আমাদের একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, এই যুদ্ধ-সহায়তা যেন অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা না হয়।’ রিপাবলিকানদলীয় সিনেটর বব ক্রোকার বলেন, ‘সহিংস চরমপন্থীদের নির্মূল করার জন্য পাকিস্তানকে উদ্যোগী হতে হবে। নিজের দেশের সীমানার মধ্যে অবস্থিত জঙ্গি ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করার ব্যাপারে পাকিস্তানের চলমান উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’
তবে এ ধরনের কঠোর শর্ত আরোপ করার বিষয়টি পাকিস্তানের সরকার ও জনগণ খুব একটা ভালোভাবে নেবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি দেশটির জন্য পাঁচ বছর মেয়াদে সাড়ে ৭০০ কোটি ডলারের আরেকটি সহায়তা প্যাকেজে আরোপিত শর্তগুলো নিয়ে আপত্তি তোলে সে দেশের সরকার। পাকিস্তানের বক্তব্য, এসব সহায়তা প্যাকেজের শর্তের মাধ্যমে তাদের দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে মার্কিন প্রশাসন।
No comments