ফেরার অঙ্গীকার মিসবাহর
টেস্ট-ওয়ানডেতে ধারাবাহিকতার অভাব। যে টি-টোয়েন্টি দিয়ে তাঁর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, সেখানেও নেই ঝলকানো কোনো ইনিংস। শেষ পর্যন্ত জাতীয় দল থেকেই বাদ পড়লেন মিসবাহ-উল হক। পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান অবশ্য বাদ পড়ার জুতসই কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে জানাচ্ছেন, এখন তাঁর লড়াই আবারও জাতীয় দলে ফেরার।
এই ৩৬ বছর বয়সের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আবারও জায়গা ফিরে পাওয়ার কাজটা তাঁর জন্য সহজ হবে না বলেই মনে করছেন অনেকেই। যদিও সনাত্ জয়াসুরিয়াকে আদর্শ মানা মিসবাহ জানাচ্ছেন, ‘আমি মনে করি না ভালো খেলার ক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা। ৪০ বছর বয়সেও দাপটের সঙ্গেই খেলে যাচ্ছেন সনাত্ জয়াসুরিয়া। আমিও ফিট আছি এবং তা ধরে রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই চালিয়ে যাব। যত দিন কেউ ফিট আছে, তত দিন সে যেকোনো পর্যায়েই খেলা চালিয়ে যেতে পারে।’
শুধু মুখে নয়, দলে ফেরার এই প্রত্যয়ের প্রতিচ্ছবি তাঁর ব্যাটেও। যেদিন পাকিস্তানের টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি—তিন ধরনের থেকেই বাদ পড়েছেন, সেদিনই কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। লাহোর শালিমারের বিপক্ষে সুই নর্দান গ্যাস পাইপলাইন লিমিটেডের হয়ে করেছেন অপরাজিত সেঞ্চুরি। ১০৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপর্যয়ে, তখনই উইকেটে এসে ২০৬ বলে খেলেন ১৫৩ রানের সেই ইনিংস, যাতে আছে মিসবাহ-সুলভ ২৫টি চার।
এমন ইনিংস খেলার পরপর জাতীয় দলে বাদ পড়াটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারতেন। সরাসরি মুখে কিছু না বললেও পরোক্ষে জানিয়ে দিয়েছেন, সিদ্ধান্তটা মনঃপূত হয়নি তাঁর, ‘নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কোনো ঝামেলা নেই। তাঁরা যেটি সঠিক মনে করেছেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি শুধু এখন আমার সেরা চেষ্টাটাই করে যেতে পারি। আমি সত্যিই হতাশ। কেন তাঁরা আমাকে কোনো দলের জন্য বিবেচনা করেননি, সেটা আমি জানি না। কারণ আমি ফর্মে আছি এবং আজই (পরশু) কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে ১৫৩ রান করেছি।’
টেস্টে ২০০১ আর ওয়ানডেতে পরের বছর অভিষেক হলেও ক্রিকেট বিশ্ব তাঁকে চিনেছে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তখন থেকেই পাকিস্তানের জাতীয় দলে অপরিহার্য হয়ে উঠেছিলেন। এর পর বাদ পড়া এই প্রথম। গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাঁর ফর্ম নিয়ে সমালোচনা হলেও মিসবাহ মনে করেন না, তাঁর ফর্মটা খুব খারাপ ছিল, ‘আমার পারফরম্যান্সটা সন্তোষজনক ছিল। যদি তাকিয়ে দেখেন, দেখবেন টুর্নামেন্টে অন্য ব্যাটসম্যানরাও ফর্মের জন্য লড়াই করেছে। আমিও এর বাইরে ছিলাম না।’
নির্বাচকেরা অবশ্য জানিয়েছেন, এমন নয়, চিরতরে দরজা বন্ধ হয়ে গেল তাঁর জন্য। আর আশাবাদী মিসবাহ জানাচ্ছেন, সেই দরজায় তিনি কড়া নাড়বেন শিগগিরই।
এই ৩৬ বছর বয়সের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আবারও জায়গা ফিরে পাওয়ার কাজটা তাঁর জন্য সহজ হবে না বলেই মনে করছেন অনেকেই। যদিও সনাত্ জয়াসুরিয়াকে আদর্শ মানা মিসবাহ জানাচ্ছেন, ‘আমি মনে করি না ভালো খেলার ক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা। ৪০ বছর বয়সেও দাপটের সঙ্গেই খেলে যাচ্ছেন সনাত্ জয়াসুরিয়া। আমিও ফিট আছি এবং তা ধরে রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই চালিয়ে যাব। যত দিন কেউ ফিট আছে, তত দিন সে যেকোনো পর্যায়েই খেলা চালিয়ে যেতে পারে।’
শুধু মুখে নয়, দলে ফেরার এই প্রত্যয়ের প্রতিচ্ছবি তাঁর ব্যাটেও। যেদিন পাকিস্তানের টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি—তিন ধরনের থেকেই বাদ পড়েছেন, সেদিনই কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। লাহোর শালিমারের বিপক্ষে সুই নর্দান গ্যাস পাইপলাইন লিমিটেডের হয়ে করেছেন অপরাজিত সেঞ্চুরি। ১০৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপর্যয়ে, তখনই উইকেটে এসে ২০৬ বলে খেলেন ১৫৩ রানের সেই ইনিংস, যাতে আছে মিসবাহ-সুলভ ২৫টি চার।
এমন ইনিংস খেলার পরপর জাতীয় দলে বাদ পড়াটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারতেন। সরাসরি মুখে কিছু না বললেও পরোক্ষে জানিয়ে দিয়েছেন, সিদ্ধান্তটা মনঃপূত হয়নি তাঁর, ‘নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কোনো ঝামেলা নেই। তাঁরা যেটি সঠিক মনে করেছেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি শুধু এখন আমার সেরা চেষ্টাটাই করে যেতে পারি। আমি সত্যিই হতাশ। কেন তাঁরা আমাকে কোনো দলের জন্য বিবেচনা করেননি, সেটা আমি জানি না। কারণ আমি ফর্মে আছি এবং আজই (পরশু) কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে ১৫৩ রান করেছি।’
টেস্টে ২০০১ আর ওয়ানডেতে পরের বছর অভিষেক হলেও ক্রিকেট বিশ্ব তাঁকে চিনেছে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তখন থেকেই পাকিস্তানের জাতীয় দলে অপরিহার্য হয়ে উঠেছিলেন। এর পর বাদ পড়া এই প্রথম। গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাঁর ফর্ম নিয়ে সমালোচনা হলেও মিসবাহ মনে করেন না, তাঁর ফর্মটা খুব খারাপ ছিল, ‘আমার পারফরম্যান্সটা সন্তোষজনক ছিল। যদি তাকিয়ে দেখেন, দেখবেন টুর্নামেন্টে অন্য ব্যাটসম্যানরাও ফর্মের জন্য লড়াই করেছে। আমিও এর বাইরে ছিলাম না।’
নির্বাচকেরা অবশ্য জানিয়েছেন, এমন নয়, চিরতরে দরজা বন্ধ হয়ে গেল তাঁর জন্য। আর আশাবাদী মিসবাহ জানাচ্ছেন, সেই দরজায় তিনি কড়া নাড়বেন শিগগিরই।
No comments