জয়েই শিরোপা উদ্যাপন বার্সার
এ ম্যাচের আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল লা লিগা জয়। মাঠে নামার সময় রীতি অনুযায়ী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের Èগার্ড অব অনার' পেল চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা |
চ্যাম্পিয়ন হয়েই মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নদের ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হলো ভিসেন্তে ক্যালদেরনে। তবে মাঠের লড়াইয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ যথেষ্ট ভুগিয়ে ছাড়ল চ্যাম্পিয়নদের। চ্যাম্পিয়নদের শিরোপা উৎসবটা মলিন করতে পারল না তারা একটা আত্মঘাতী গোলের জন্য। জয় দিয়েই শিরোপা উদ্যাপন করেছে বার্সা।
চার ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত শিরোপা। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছ থেকে শিরোপা কেড়ে নেওয়াতেই মিশন শেষ বলে মনে করছেন না টিটো ভিলানোভা। বার্সেলোনা কোচ শিষ্যদের সামনে ছুড়ে দিয়েছেন গত মৌসুমেই করা রিয়ালের দুটি রেকর্ড ছোঁয়ার লক্ষ্য। পয়েন্টের সেঞ্চুরি আর লিগে গোলের রেকর্ড। প্রথমটি খুবই সম্ভব, শেষ তিন ম্যাচ জিতলেই রিয়ালের ১০০ পয়েন্টের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবে বার্সা। পরের লক্ষ্যটি সহজ নয়, এক মৌসুমে রিয়ালের ১২১ গোলের রেকর্ড ছুঁতে তিন ম্যাচে বার্সাকে করতে হবে ১৪ গোল। লিওনেল মেসিকে না পাওয়া গেলে তো লক্ষ্য ছোঁয়া প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছিই হবে। শঙ্কাটা থাকছে, কারণ হ্যামস্ট্রিংয়ের পুরোনো চোট নিয়ে পরশু ২০ মিনিট আগেই মাঠ ছেড়েছেন মেসি।
অবশ্য পরশুর ম্যাচটাই আবার কাতালানদের প্রেরণা হতে পারে। তিনটি পরিবর্তন আগেই হয়ে যাওয়ায় মেসি মাঠ ছাড়ার পর থেকে ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে ২২ মিনিট। অথচ দুটি গোলই তারা পেয়েছে এই সময়েই! ৫১ মিনিটে এবারের লিগে রাদামেল ফ্যালকাওয়ের ২৮তম গোল এগিয়ে দিয়েছিল অ্যাটলেটিকোকে। ৭২ মিনিটে অ্যালেক্সিস সানচেজের গোলে সমতা। ৮ মিনিট পর ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেওয়া গোলটি আসে অদ্ভুতভাবে। বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া ডেভিড ভিয়ার শট অ্যাটলেটিকো ডিফেন্ডার ডিয়েগো গোডিনের পা ছুঁয়ে যেতে থাকে গোলমুখে, বলটি নিয়ন্ত্রণে নিতে যান মিডফিল্ডার গ্যাবি, কিন্তু তাঁর পায়ে লেগে ঢুকে যায় পোস্টে! বাকি ১০ মিনিট গোল করতে পারেনি অ্যাটলেটিকো। জয়েই পূর্ণতা পায় বার্সার শিরোপা উৎসব!
চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে বিব্রতকর পরাজয়ের রেশটা এখনো আছে। তবে সেই হতাশায় লিগ শিরোপার আনন্দকে ম্লান হতে দিতে চান না ভিলানোভা, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগে আরও বেশি লড়াই করতে না-পারাটা অবশ্যই হতাশার। তবে পুরো মৌসুমের মূল্যায়ন করতে গেলে বলতেই হবে মৌসুমটা ভালো কেটেছে, কারণ লিগে আমরা ছিলাম দুর্দান্ত। চ্যাম্পিয়নস লিগে ভাগ্যকে পাশে পাইনি, রেফারিং বিপক্ষে গেছে। কিন্তু লিগে অনেকটা এগিয়ে থেকে আমরাই সেরা, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
মূল কোচের দায়িত্বে প্রথম মৌসুমেই শিরোপা। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই আর স্পেন-যুক্তরাষ্ট্রে ছুটোছুটিতে এই কৃতিত্বের মহিমা বরং বেড়েছেই। তবে ভিলানোভা সব কৃতিত্বই দিচ্ছেন খেলোয়াড়দের, ‘আমার স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে নয়, আমি চাই লোকে এই শিরোপাকে মূল্যায়ন করুক ছেলেদের পরিশ্রমের কারণে। এটা মোটেও টিটোর শিরোপা নয়, সব ফুটবলারের। অনেক কৃতিত্ব ওদের প্রাপ্য, কারণ কোচকে দুই মাস কাছে না পাওয়ার পরও জেতা কঠিন। তবে এটা এমন একটা দল, যারা অনুপ্রেরণা খুঁজে নেয় নিজেদের থেকেই।’
জাভি হার্নান্দেজ আর সেস ফ্যাব্রিগাসের অনুভূতি আবার অন্য রকম। বার্সার হয়ে সবচেয়ে বেশিবার লা লিগা শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়লেন জাভি। দলের ‘ইঞ্জিনরুম’ সপ্তম শিরোপা জিতে ছাড়িয়ে গেলেন সাবেক গুরু পেপ গার্দিওলাকে। আর ১০ বছরের সিনিয়র ক্যারিয়ারে ফ্যাব্রিগাস পেলেন প্রথম শিরোপার স্বাদ। তাঁর উচ্ছ্বাসটাই বেশি, ‘স্বপ্ন সত্যি হলো। ঘরে ফেরা, এরপর এই শিরোপা জয়...অবিশ্বাস্য।’
ক্লাব প্রেসিডেন্ট স্যান্দ্রো রসেল নিজেদের শ্রেষ্ঠ দাবি করেছেন, ‘আমার বিশ্বাস আমরা সব সময়ই বিশ্বের সেরা দল। এখনো আমরা এই গ্রহের সেরা দল। বায়ার্ন ম্যাচের পর অনেকেই স্টেডিয়াম পোড়াতে চেয়েছিল, দল ও বোর্ডের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল, আশা করি, তাদের অনুভূতি এখন অন্য রকম।’
পাঁচ বছরে চার শিরোপাই প্রমাণ করছে শ্রেষ্ঠত্ব, মনে করিয়ে দিয়েছেন দানি আলভেজ। তবে হোসে মরিনহোর সম্ভাব্য রিয়াল ত্যাগেও যেন খানিকটা উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন এই রাইটব্যাক, ‘আমরা তাঁকে মিস করব। এই লিগ তাঁকে মিস করবে কারণ সে দারুণ এক প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি তাঁর সঙ্গে লড়াই করিনি, আমরা দুজনই বিজয়ী! তিনি ফুটবলের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী কোচদের একজন, লড়াইয়ে ভিন্ন একটা স্বাদ যোগ করেন। আপনারা (সংবাদমাধ্যম) তো আমাদের চেয়েও বেশি মিস করবেন তাঁকে!’
চার ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত শিরোপা। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছ থেকে শিরোপা কেড়ে নেওয়াতেই মিশন শেষ বলে মনে করছেন না টিটো ভিলানোভা। বার্সেলোনা কোচ শিষ্যদের সামনে ছুড়ে দিয়েছেন গত মৌসুমেই করা রিয়ালের দুটি রেকর্ড ছোঁয়ার লক্ষ্য। পয়েন্টের সেঞ্চুরি আর লিগে গোলের রেকর্ড। প্রথমটি খুবই সম্ভব, শেষ তিন ম্যাচ জিতলেই রিয়ালের ১০০ পয়েন্টের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবে বার্সা। পরের লক্ষ্যটি সহজ নয়, এক মৌসুমে রিয়ালের ১২১ গোলের রেকর্ড ছুঁতে তিন ম্যাচে বার্সাকে করতে হবে ১৪ গোল। লিওনেল মেসিকে না পাওয়া গেলে তো লক্ষ্য ছোঁয়া প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছিই হবে। শঙ্কাটা থাকছে, কারণ হ্যামস্ট্রিংয়ের পুরোনো চোট নিয়ে পরশু ২০ মিনিট আগেই মাঠ ছেড়েছেন মেসি।
অবশ্য পরশুর ম্যাচটাই আবার কাতালানদের প্রেরণা হতে পারে। তিনটি পরিবর্তন আগেই হয়ে যাওয়ায় মেসি মাঠ ছাড়ার পর থেকে ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে ২২ মিনিট। অথচ দুটি গোলই তারা পেয়েছে এই সময়েই! ৫১ মিনিটে এবারের লিগে রাদামেল ফ্যালকাওয়ের ২৮তম গোল এগিয়ে দিয়েছিল অ্যাটলেটিকোকে। ৭২ মিনিটে অ্যালেক্সিস সানচেজের গোলে সমতা। ৮ মিনিট পর ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেওয়া গোলটি আসে অদ্ভুতভাবে। বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া ডেভিড ভিয়ার শট অ্যাটলেটিকো ডিফেন্ডার ডিয়েগো গোডিনের পা ছুঁয়ে যেতে থাকে গোলমুখে, বলটি নিয়ন্ত্রণে নিতে যান মিডফিল্ডার গ্যাবি, কিন্তু তাঁর পায়ে লেগে ঢুকে যায় পোস্টে! বাকি ১০ মিনিট গোল করতে পারেনি অ্যাটলেটিকো। জয়েই পূর্ণতা পায় বার্সার শিরোপা উৎসব!
চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে বিব্রতকর পরাজয়ের রেশটা এখনো আছে। তবে সেই হতাশায় লিগ শিরোপার আনন্দকে ম্লান হতে দিতে চান না ভিলানোভা, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগে আরও বেশি লড়াই করতে না-পারাটা অবশ্যই হতাশার। তবে পুরো মৌসুমের মূল্যায়ন করতে গেলে বলতেই হবে মৌসুমটা ভালো কেটেছে, কারণ লিগে আমরা ছিলাম দুর্দান্ত। চ্যাম্পিয়নস লিগে ভাগ্যকে পাশে পাইনি, রেফারিং বিপক্ষে গেছে। কিন্তু লিগে অনেকটা এগিয়ে থেকে আমরাই সেরা, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
মূল কোচের দায়িত্বে প্রথম মৌসুমেই শিরোপা। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই আর স্পেন-যুক্তরাষ্ট্রে ছুটোছুটিতে এই কৃতিত্বের মহিমা বরং বেড়েছেই। তবে ভিলানোভা সব কৃতিত্বই দিচ্ছেন খেলোয়াড়দের, ‘আমার স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে নয়, আমি চাই লোকে এই শিরোপাকে মূল্যায়ন করুক ছেলেদের পরিশ্রমের কারণে। এটা মোটেও টিটোর শিরোপা নয়, সব ফুটবলারের। অনেক কৃতিত্ব ওদের প্রাপ্য, কারণ কোচকে দুই মাস কাছে না পাওয়ার পরও জেতা কঠিন। তবে এটা এমন একটা দল, যারা অনুপ্রেরণা খুঁজে নেয় নিজেদের থেকেই।’
জাভি হার্নান্দেজ আর সেস ফ্যাব্রিগাসের অনুভূতি আবার অন্য রকম। বার্সার হয়ে সবচেয়ে বেশিবার লা লিগা শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়লেন জাভি। দলের ‘ইঞ্জিনরুম’ সপ্তম শিরোপা জিতে ছাড়িয়ে গেলেন সাবেক গুরু পেপ গার্দিওলাকে। আর ১০ বছরের সিনিয়র ক্যারিয়ারে ফ্যাব্রিগাস পেলেন প্রথম শিরোপার স্বাদ। তাঁর উচ্ছ্বাসটাই বেশি, ‘স্বপ্ন সত্যি হলো। ঘরে ফেরা, এরপর এই শিরোপা জয়...অবিশ্বাস্য।’
ক্লাব প্রেসিডেন্ট স্যান্দ্রো রসেল নিজেদের শ্রেষ্ঠ দাবি করেছেন, ‘আমার বিশ্বাস আমরা সব সময়ই বিশ্বের সেরা দল। এখনো আমরা এই গ্রহের সেরা দল। বায়ার্ন ম্যাচের পর অনেকেই স্টেডিয়াম পোড়াতে চেয়েছিল, দল ও বোর্ডের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল, আশা করি, তাদের অনুভূতি এখন অন্য রকম।’
পাঁচ বছরে চার শিরোপাই প্রমাণ করছে শ্রেষ্ঠত্ব, মনে করিয়ে দিয়েছেন দানি আলভেজ। তবে হোসে মরিনহোর সম্ভাব্য রিয়াল ত্যাগেও যেন খানিকটা উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন এই রাইটব্যাক, ‘আমরা তাঁকে মিস করব। এই লিগ তাঁকে মিস করবে কারণ সে দারুণ এক প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি তাঁর সঙ্গে লড়াই করিনি, আমরা দুজনই বিজয়ী! তিনি ফুটবলের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী কোচদের একজন, লড়াইয়ে ভিন্ন একটা স্বাদ যোগ করেন। আপনারা (সংবাদমাধ্যম) তো আমাদের চেয়েও বেশি মিস করবেন তাঁকে!’
No comments