তামিম-বিনোদনে শুরু টি-টোয়েন্টি লিগ
টি-টোয়েন্টি বিনো-দনের ক্রিকেট হলেও শুধু ক্রিকেটীয় বিনোদনে মন ভরতে চাইল না অনেকের। আইসিএল-আইপিএল তাই ক্রিকেটকে দেখাল চিয়ারলিডার নৃত্য। চট্টগ্রামের পিসিএলের পর কাল থেকে শুরু বিগ বস প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি লিগে ভর করে লোলিত মোদির মন্ত্র বাংলাদেশে ঢুকে পড়ল সহজেই। কিন্তু সেটার রূপ যে অনেকটা বলিউডি নৃত্যের ঢালিউডি সংস্করণের মতোই! ভাগ্য ভালো, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কাল লিগের উদ্বোধনী দিনে কিছু ক্রিকেটীয় বিনোদনও উপহার দিলেন মোহামেডানের বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। মোদির চিয়ারলিডার ভাবনার অহেতুক বঙ্গীয় অনুবাদ বিনোদন প্রতিযোগিতা তার ত্রিসীমানায় ঢুকতে পারেনি।
তামিমের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান ভিক্টোরিয়াকে হারিয়েছে ৫৩ রানে। মিরপুরের দিবারাত্রি ম্যাচে আবাহনী ৩ উইকেটে জিতেছে কলাবাগানের বিপক্ষে। দিনের অন্য ম্যাচগুলোয় বিমান ৮ উইকেটে বিকেএসপিকে, খেলাঘর ২৩ রানে পারটেক্সকে, সূর্যতরুণ ৭ উইকেটে ওল্ড ডিওএইচএসকে ও গাজী ট্যাংক ৮৩ রানে সিসিএসকে হারিয়েছে।
অসুস্থ শরীর নিয়েও তামিম তামিমই। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানের দলীয় স্কোর যখন বিনা উইকেটে ৬০ রান, তামিমের নিজের রানও ঠিক ৬০-ই! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি—ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে তামিম আউট হওয়া পর্যন্ত সঙ্গী ওপেনার শামসুর রহমানের ব্যাট বা অতিরিক্ত থেকে আসেনি ১ রানও। মাত্র ২৩ বলে ফিফটি আর ২৬ বলে ৬০ রানের তামিমীয় ইনিংসে বাউন্ডারি ১৩টি। ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার এনে দেওয়া ইনিংসটা খেলার একপর্যায়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের ব্যথায় রানার নিতে বাধ্য হয়েছেন। তার পরও গ্যালারির দেড়-দুই হাজার দর্শকের সামনে তামিম-প্রদর্শনী শেষ হলো রান আউটে। তামিমের পর শামসুর (৪৮ বলে ৪২), আফতাব আহমেদ (১৭ বলে ৩০) ও মোহাম্মদ আশরাফুলের (২৪ বলে ২৩) সৌজন্যে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান করেছিল মোহামেডান। জবাবে ৭ উইকেটে ১২১ রান করেছে ভিক্টোরিয়া। মোহামেডানের নাবিল সামাদ ১৬ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
দুপুরের দেড়-দুই হাজার দর্শক ফ্লাডলাইটের আলোয় ৫ হাজার ছাড়িয়েছিল। কিন্তু আবাহনী এ ম্যাচে জয় উপহার দিল সমর্থকদের স্নায়ুচাপে রেখে। কলাবাগানের ৯ উইকেটে করা মামুলি ১০৭ রানের জবাবে ৮২ রানেই তারা হারায় ৬ উইকেট। শেষ রক্ষা হয় নাসির হোসেনের ২৩ বলে অপরাজিত ২২ রানে। শেষ পর্যন্ত ৯ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়েছে আবাহনী। কলাবাগানের এনামুল হক জুনিয়র ও ফরিদ উদ্দিন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। এর আগে অধিনায়ক জাভেদ ওমর সর্বোচ্চ ২৬ রান করেছেন ৩৮ বল খেলে।
ধানমন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সকালের ম্যাচে ১৮.৫ ওভারে বিকেএসপির করা ১০৭ রান মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে এক ওভার আগেই টপকে গেছে বিমান। বিকেএসপির সৌম্য সরকার ৪৫ বলে করেছেন ৬১ রান। তবে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ৪৯ বলে ৬২ রান করা বিমানের মেহরাব হোসেন জুনিয়র। বিমানের ইলিয়াস সানি ৩ ও তালহা জুবায়ের ২টি উইকেট নিয়েছেন। এ মাঠে দিনের অন্য ম্যাচে সূর্যতরুণ ১২.৪ ওভারে জয় পেয়ে গেছে ওল্ড ডিওএইচেসের (৮৯/৭) বিপক্ষে। ১৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ সূর্যতরুণের ইমতিয়াজ।
ফতুল্লায় দুপুরের ম্যাচে আইসিএল-ফেরত নাজিমউদ্দিন (২৮ বলে ৬০) ও অলক কাপালি (২০ বলে ৪৮) এবং মোহাম্মদ মিঠুনের (২৭ বলে ৫৫) ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ২১৫ রান করেছিল গতবারের রানার্সআপ গাজী ট্যাংক। জবাবে উত্তম সরকারের ৪৩ বলে ৫৩ রানের পরও সিসিএস ৮ উইকেটে করেছে ১৩২ রান। গাজীর অলক ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ফরহাদের উইকেট ২টি।
এ মাঠে সকালের ম্যাচে খেলাঘরের ৫ উইকেটে করা ১২৮ রানের জবাবে ১৮.৪ ওভারে ১০৫ রানে অলআউট হয়েছে পারটেক্স। ১১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ খেলাঘরের মনিরুল ইসলাম।
তামিমের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান ভিক্টোরিয়াকে হারিয়েছে ৫৩ রানে। মিরপুরের দিবারাত্রি ম্যাচে আবাহনী ৩ উইকেটে জিতেছে কলাবাগানের বিপক্ষে। দিনের অন্য ম্যাচগুলোয় বিমান ৮ উইকেটে বিকেএসপিকে, খেলাঘর ২৩ রানে পারটেক্সকে, সূর্যতরুণ ৭ উইকেটে ওল্ড ডিওএইচএসকে ও গাজী ট্যাংক ৮৩ রানে সিসিএসকে হারিয়েছে।
অসুস্থ শরীর নিয়েও তামিম তামিমই। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানের দলীয় স্কোর যখন বিনা উইকেটে ৬০ রান, তামিমের নিজের রানও ঠিক ৬০-ই! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি—ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে তামিম আউট হওয়া পর্যন্ত সঙ্গী ওপেনার শামসুর রহমানের ব্যাট বা অতিরিক্ত থেকে আসেনি ১ রানও। মাত্র ২৩ বলে ফিফটি আর ২৬ বলে ৬০ রানের তামিমীয় ইনিংসে বাউন্ডারি ১৩টি। ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার এনে দেওয়া ইনিংসটা খেলার একপর্যায়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের ব্যথায় রানার নিতে বাধ্য হয়েছেন। তার পরও গ্যালারির দেড়-দুই হাজার দর্শকের সামনে তামিম-প্রদর্শনী শেষ হলো রান আউটে। তামিমের পর শামসুর (৪৮ বলে ৪২), আফতাব আহমেদ (১৭ বলে ৩০) ও মোহাম্মদ আশরাফুলের (২৪ বলে ২৩) সৌজন্যে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান করেছিল মোহামেডান। জবাবে ৭ উইকেটে ১২১ রান করেছে ভিক্টোরিয়া। মোহামেডানের নাবিল সামাদ ১৬ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
দুপুরের দেড়-দুই হাজার দর্শক ফ্লাডলাইটের আলোয় ৫ হাজার ছাড়িয়েছিল। কিন্তু আবাহনী এ ম্যাচে জয় উপহার দিল সমর্থকদের স্নায়ুচাপে রেখে। কলাবাগানের ৯ উইকেটে করা মামুলি ১০৭ রানের জবাবে ৮২ রানেই তারা হারায় ৬ উইকেট। শেষ রক্ষা হয় নাসির হোসেনের ২৩ বলে অপরাজিত ২২ রানে। শেষ পর্যন্ত ৯ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়েছে আবাহনী। কলাবাগানের এনামুল হক জুনিয়র ও ফরিদ উদ্দিন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। এর আগে অধিনায়ক জাভেদ ওমর সর্বোচ্চ ২৬ রান করেছেন ৩৮ বল খেলে।
ধানমন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সকালের ম্যাচে ১৮.৫ ওভারে বিকেএসপির করা ১০৭ রান মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে এক ওভার আগেই টপকে গেছে বিমান। বিকেএসপির সৌম্য সরকার ৪৫ বলে করেছেন ৬১ রান। তবে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ৪৯ বলে ৬২ রান করা বিমানের মেহরাব হোসেন জুনিয়র। বিমানের ইলিয়াস সানি ৩ ও তালহা জুবায়ের ২টি উইকেট নিয়েছেন। এ মাঠে দিনের অন্য ম্যাচে সূর্যতরুণ ১২.৪ ওভারে জয় পেয়ে গেছে ওল্ড ডিওএইচেসের (৮৯/৭) বিপক্ষে। ১৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ সূর্যতরুণের ইমতিয়াজ।
ফতুল্লায় দুপুরের ম্যাচে আইসিএল-ফেরত নাজিমউদ্দিন (২৮ বলে ৬০) ও অলক কাপালি (২০ বলে ৪৮) এবং মোহাম্মদ মিঠুনের (২৭ বলে ৫৫) ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ২১৫ রান করেছিল গতবারের রানার্সআপ গাজী ট্যাংক। জবাবে উত্তম সরকারের ৪৩ বলে ৫৩ রানের পরও সিসিএস ৮ উইকেটে করেছে ১৩২ রান। গাজীর অলক ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ফরহাদের উইকেট ২টি।
এ মাঠে সকালের ম্যাচে খেলাঘরের ৫ উইকেটে করা ১২৮ রানের জবাবে ১৮.৪ ওভারে ১০৫ রানে অলআউট হয়েছে পারটেক্স। ১১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ খেলাঘরের মনিরুল ইসলাম।
No comments