মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হবে
পৃথক সাবসিডিয়ারি বা সহযোগী কোম্পানি গঠন ছাড়া ব্যাংকগুলো মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাতে পারবে না। আর মার্চেন্ট ব্যাংক হিসেবে সহযোগী প্রতিষ্ঠান গঠনের আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।
অন্যদিকে ইতিমধ্যে যেসব ব্যাংক মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের ২০১০ সালের জানুয়ারির মধ্যেই নিয়ম মেনে এই বিভাগকে পৃথক সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার সার্কুলার দিয়ে দেশে কার্যরত সব ব্যাংক কোম্পানির মার্চেন্ট ব্যাংকিংবিষয়ক নতুন নীতিমালার এ নির্দেশ জারি করেছে। তবে এই নির্দেশ কেবল দেশে কার্যরত সব ব্যাংক কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য। ব্যাংকের মালিকানার বাইরে যেসব মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে, তাদের জন্য এ নির্দেশ কার্যকর হবে না।
সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১-এর বিধান লঙ্ঘন করে তাদের মার্চেন্ট ব্যাংক বিভাগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে। এতে ব্যাংকের আমানতকারীদের স্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোকে আইনি বিধান স্মরণ করিয়ে সতর্ক করে দেয়।
কিন্তু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের প্রভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছুটা দ্বিধায় পড়ে। এ নিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) সঙ্গে নিয়ে ডিএসইর নেতারা এক দফা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গিয়ে শেয়ারবাজারে মূল্যপতনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপকে দায়ী করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকও ডিএসইর নেতাদের প্রভাব ও শেয়ারবাজার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আইনি বাধ্যবাধকতার বিষয়ে নমনীয় থাকে। ফলে এখনো অনেক ব্যাংক তাদের মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে সীমাতিরিক্ত শেয়ারে বিনিয়োগ রেখেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৬(২) ধারা অনুসারে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক তার পরিশোধিত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিল মিলে ৩০ শতাংশ বা কেবল পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ—এই দুইয়ের মধ্যে যেটি কম, তার চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারে না।
আবার আইনের একই ধারায় আরও বলা আছে, কোনো ব্যাংকের ধারণকৃত শেয়ারের পরিমাণ তার মোট দায়ের (আমানত হলো ব্যাংকের দায়) ১০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, শেয়ারের স্বয়ংক্রিয় সংরক্ষণ ব্যবস্থার (সিডিবিএল) অমনিবাস (একটি হিসাবে অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা) হিসাবে ব্যাংকগুলোর মার্চেন্ট ব্যাংক তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে কিংবা গ্রাহকের বিনিয়োগ বা মার্জিন হিসাবে কোনো একক তালিকাভুক্ত কোম্পানির সর্বমোট ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করলে ওই কোম্পানিকে ঋণ বা অগ্রিম দেওয়ার আগে ব্যাংকটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।
কোনো সহযোগী কোম্পানি (মার্চেন্ট ব্যাংক) তার নিজস্ব পোর্টফোলিওতে অথবা গ্রাহকের মার্জিন হিসাবে ব্যাংক বা তার পরিচালক অথবা পরিচালকদের পরিবারের সদস্যরা কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক থাকলে সেই কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারবেন না। পরিবারের সদস্য বলতে পরিচালকের স্বামী/স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল সব ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে।
বাংলাদেশ হিসাব মান-২৭ অনুসারে ব্যাংককে তাদের বার্ষিক ও ষাণ্মাষিক আর্থিক প্রতিবেদনে ব্যাংক ও সহযোগী মার্চেন্ট ব্যাংকের পৃথক এবং একীভূত আর্থিক বিবরণী অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৬(১)(চ) ও ৪৫(১) ধারার ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক এই নির্দেশ জারি করেছে।
অন্যদিকে ইতিমধ্যে যেসব ব্যাংক মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের ২০১০ সালের জানুয়ারির মধ্যেই নিয়ম মেনে এই বিভাগকে পৃথক সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার সার্কুলার দিয়ে দেশে কার্যরত সব ব্যাংক কোম্পানির মার্চেন্ট ব্যাংকিংবিষয়ক নতুন নীতিমালার এ নির্দেশ জারি করেছে। তবে এই নির্দেশ কেবল দেশে কার্যরত সব ব্যাংক কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য। ব্যাংকের মালিকানার বাইরে যেসব মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে, তাদের জন্য এ নির্দেশ কার্যকর হবে না।
সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১-এর বিধান লঙ্ঘন করে তাদের মার্চেন্ট ব্যাংক বিভাগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে। এতে ব্যাংকের আমানতকারীদের স্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোকে আইনি বিধান স্মরণ করিয়ে সতর্ক করে দেয়।
কিন্তু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের প্রভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছুটা দ্বিধায় পড়ে। এ নিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) সঙ্গে নিয়ে ডিএসইর নেতারা এক দফা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গিয়ে শেয়ারবাজারে মূল্যপতনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপকে দায়ী করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকও ডিএসইর নেতাদের প্রভাব ও শেয়ারবাজার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আইনি বাধ্যবাধকতার বিষয়ে নমনীয় থাকে। ফলে এখনো অনেক ব্যাংক তাদের মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে সীমাতিরিক্ত শেয়ারে বিনিয়োগ রেখেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৬(২) ধারা অনুসারে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক তার পরিশোধিত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিল মিলে ৩০ শতাংশ বা কেবল পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ—এই দুইয়ের মধ্যে যেটি কম, তার চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারে না।
আবার আইনের একই ধারায় আরও বলা আছে, কোনো ব্যাংকের ধারণকৃত শেয়ারের পরিমাণ তার মোট দায়ের (আমানত হলো ব্যাংকের দায়) ১০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, শেয়ারের স্বয়ংক্রিয় সংরক্ষণ ব্যবস্থার (সিডিবিএল) অমনিবাস (একটি হিসাবে অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা) হিসাবে ব্যাংকগুলোর মার্চেন্ট ব্যাংক তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে কিংবা গ্রাহকের বিনিয়োগ বা মার্জিন হিসাবে কোনো একক তালিকাভুক্ত কোম্পানির সর্বমোট ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করলে ওই কোম্পানিকে ঋণ বা অগ্রিম দেওয়ার আগে ব্যাংকটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।
কোনো সহযোগী কোম্পানি (মার্চেন্ট ব্যাংক) তার নিজস্ব পোর্টফোলিওতে অথবা গ্রাহকের মার্জিন হিসাবে ব্যাংক বা তার পরিচালক অথবা পরিচালকদের পরিবারের সদস্যরা কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক থাকলে সেই কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারবেন না। পরিবারের সদস্য বলতে পরিচালকের স্বামী/স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল সব ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে।
বাংলাদেশ হিসাব মান-২৭ অনুসারে ব্যাংককে তাদের বার্ষিক ও ষাণ্মাষিক আর্থিক প্রতিবেদনে ব্যাংক ও সহযোগী মার্চেন্ট ব্যাংকের পৃথক এবং একীভূত আর্থিক বিবরণী অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৬(১)(চ) ও ৪৫(১) ধারার ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক এই নির্দেশ জারি করেছে।
No comments