কারখানার নিরাপত্তায় সমর্থন দিতে সম্মত বড় ক্রেতারা
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় অঞ্চলের বিশ্বখ্যাত চার খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। পোশাক কারখানাকে অগ্নিকাণ্ড থেকে নিরাপদ রাখার জন্য এবং ভবন উন্নয়নে অর্থসহায়তা দেবে এসব প্রতিষ্ঠান।
এই চার প্রতিষ্ঠান গত সোমবার এ জন্য এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সইয়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সুইডেনের হেনস অ্যান্ড মরিটজ (এইচ অ্যান্ড এম), আয়ারল্যান্ডের প্রাইমার্ক, নেদারল্যান্ডসের সি অ্যান্ড এ এবং স্পেনের ইন্ডিটেক্স।
বাংলাদেশের যেসব কারখানা থেকে এই প্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক কেনে, শুধু সেই কারখানাগুলোকেই এই সহায়তা দেওয়া হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ৬০ শতাংশের বেশি হয় ইউরোপের দেশগুলোতে।
এর আগে গত মাসে জার্মানিতে খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসে বৈশ্বিক শ্রমিক সংগঠন ইন্ডাস্ট্রি অল গ্লোবাল ইউনিয়ন। ওই বৈঠকে ১৫ মের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চুক্তি সইয়ের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ইউরোপের এই চার প্রতিষ্ঠান চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়। আজ বুধবার এ সময় শেষ হচ্ছে।
তবে এ রকম কোনো চুক্তিতে যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ওয়ালমার্ট, গ্যাপ ও সিয়ার্সের মতো বিশ্বখ্যাত মার্কিন খুচরা পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান।
ইউরোপীয় ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো এমন সময়ে পোশাক কারখানা নিরাপত্তার বিষয়ে সহায়তা দিতে সম্মত হলো যার ২০ দিন আগে (২৪ এপ্রিল) সাভারে রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১২৭ জন পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন।
রানা প্লাজা ধসের পর থেকেই ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে নিরাপত্তার জন্য চুক্তি করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), বিভিন্ন দেশের শ্রমিক সংঘ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে। তখন থেকেই এমন চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা চলছিল।
এর আগে গত বছর নভেম্বরে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এর পর থেকেই বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি বিশ্বের মনোযোগে আসে। গত সপ্তাহেও একটি কারখানায় আগুন লেগে কারখানার মালিকসহ অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়। চীনের পর বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ।
অবশ্য গত বছরই ‘বাংলাদেশ নিরাপত্তা কর্মসূচি’ নামে দুই বছর মেয়াদি একটি চুক্তিতে সই করেছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পিভিএইচ করপোরেশন এবং জার্মান খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান টিচিবো। নতুন চুক্তিটি এ চুক্তিরই সম্প্রসারিত রূপ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান দুটি নতুন এ চুক্তির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে।
কারখানার নিরাপত্তাবিষয়ক এ চুক্তির মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এতে পোশাক সরবরাহকারীদের জন্য কঠোর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হবে। চুক্তির জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হবে এবং তা বাংলাদেশ সরকার, দেশটির তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সম্মতিতেই করা হবে।
ইন্ডাস্ট্রি অল গ্লোবাল ইউনিয়নের একজন মুখপাত্র বলেন, চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া আজ প্রকাশ করা হবে। খসড়ায় শ্রমিক অধিকার ও প্রশিক্ষণ জোরদার করা এবং বাংলাদেশে ব্যবসার আকার অনুপাতে ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বিষয় উল্লেখ থাকবে।
এইচ অ্যান্ড এমের সাসটেইনিবিলিটি বিভাগের প্রধান হেলেনা হেলমারসন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আশা করি, এ ব্যাপারে কার্যকরভাবে কাজ করতে অনেক প্রতিষ্ঠানই এই চুক্তি করতে এগিয়ে আসবে।’
ইন্ডিটেক্সের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘বিষয়টি এখনো কার্যকর হয়নি। তবে সবাই জানে এমন একটি চুক্তি করতে আমরা কার্যকর ভূমিকা পালন করেছি।’
চুক্তির আওতায় ঠিক কত টাকা খরচ করা হবে সে বিষয়ে চার প্রতিষ্ঠান স্পষ্ট কিছু বলেনি। তবে কেলভিন ক্লেইন ও টমি হিলফিজারের মতো ব্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারী পিভিএইচ করপোরেশন সোমবারই এ উদ্যোগের সঙ্গে থাকার কথা জানিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আড়াই লাখ ডলারের সহায়তা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাজ্যের বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান টেসকো গ্রুপ বলেছে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি ১৫ লাখ ডলারের তহবিল গঠন করবে। গ্রুপের বাণিজ্যিক পরিচালক কেভিন গ্রেস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রানা প্লাজায় অবস্থিত কোনো কারখানাতেই টেসকোর জন্য পোশাক তৈরি হতো না। কিন্তু এমন আরেকটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আমাদের সবাইকেই কাজ করতে হবে।’
এদিকে গ্যাপের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ইভা সেগি গেভিন বলেন, বিরোধ নিষ্পত্তি কীভাবে হবে সে বিষয়ে পরিবর্তন আনলেই কেবল গ্যাপ এ চুক্তিতে সই করবে। এই একটি পরিবর্তন এ চুক্তিকে বিশ্বের সব খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের চুক্তিতে পরিণত করতে পারে, শুধু ইউরোপের প্রতিষ্ঠানগুলোর নয়। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা, নিউইয়র্ক টাইমস ও ব্লুমবার্গ।
এই চার প্রতিষ্ঠান গত সোমবার এ জন্য এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সইয়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সুইডেনের হেনস অ্যান্ড মরিটজ (এইচ অ্যান্ড এম), আয়ারল্যান্ডের প্রাইমার্ক, নেদারল্যান্ডসের সি অ্যান্ড এ এবং স্পেনের ইন্ডিটেক্স।
বাংলাদেশের যেসব কারখানা থেকে এই প্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক কেনে, শুধু সেই কারখানাগুলোকেই এই সহায়তা দেওয়া হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ৬০ শতাংশের বেশি হয় ইউরোপের দেশগুলোতে।
এর আগে গত মাসে জার্মানিতে খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসে বৈশ্বিক শ্রমিক সংগঠন ইন্ডাস্ট্রি অল গ্লোবাল ইউনিয়ন। ওই বৈঠকে ১৫ মের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চুক্তি সইয়ের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ইউরোপের এই চার প্রতিষ্ঠান চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়। আজ বুধবার এ সময় শেষ হচ্ছে।
তবে এ রকম কোনো চুক্তিতে যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ওয়ালমার্ট, গ্যাপ ও সিয়ার্সের মতো বিশ্বখ্যাত মার্কিন খুচরা পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান।
ইউরোপীয় ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো এমন সময়ে পোশাক কারখানা নিরাপত্তার বিষয়ে সহায়তা দিতে সম্মত হলো যার ২০ দিন আগে (২৪ এপ্রিল) সাভারে রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১২৭ জন পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন।
রানা প্লাজা ধসের পর থেকেই ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে নিরাপত্তার জন্য চুক্তি করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), বিভিন্ন দেশের শ্রমিক সংঘ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে। তখন থেকেই এমন চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা চলছিল।
এর আগে গত বছর নভেম্বরে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এর পর থেকেই বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি বিশ্বের মনোযোগে আসে। গত সপ্তাহেও একটি কারখানায় আগুন লেগে কারখানার মালিকসহ অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়। চীনের পর বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ।
অবশ্য গত বছরই ‘বাংলাদেশ নিরাপত্তা কর্মসূচি’ নামে দুই বছর মেয়াদি একটি চুক্তিতে সই করেছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পিভিএইচ করপোরেশন এবং জার্মান খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান টিচিবো। নতুন চুক্তিটি এ চুক্তিরই সম্প্রসারিত রূপ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান দুটি নতুন এ চুক্তির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে।
কারখানার নিরাপত্তাবিষয়ক এ চুক্তির মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এতে পোশাক সরবরাহকারীদের জন্য কঠোর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হবে। চুক্তির জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হবে এবং তা বাংলাদেশ সরকার, দেশটির তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সম্মতিতেই করা হবে।
ইন্ডাস্ট্রি অল গ্লোবাল ইউনিয়নের একজন মুখপাত্র বলেন, চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া আজ প্রকাশ করা হবে। খসড়ায় শ্রমিক অধিকার ও প্রশিক্ষণ জোরদার করা এবং বাংলাদেশে ব্যবসার আকার অনুপাতে ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বিষয় উল্লেখ থাকবে।
এইচ অ্যান্ড এমের সাসটেইনিবিলিটি বিভাগের প্রধান হেলেনা হেলমারসন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আশা করি, এ ব্যাপারে কার্যকরভাবে কাজ করতে অনেক প্রতিষ্ঠানই এই চুক্তি করতে এগিয়ে আসবে।’
ইন্ডিটেক্সের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘বিষয়টি এখনো কার্যকর হয়নি। তবে সবাই জানে এমন একটি চুক্তি করতে আমরা কার্যকর ভূমিকা পালন করেছি।’
চুক্তির আওতায় ঠিক কত টাকা খরচ করা হবে সে বিষয়ে চার প্রতিষ্ঠান স্পষ্ট কিছু বলেনি। তবে কেলভিন ক্লেইন ও টমি হিলফিজারের মতো ব্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারী পিভিএইচ করপোরেশন সোমবারই এ উদ্যোগের সঙ্গে থাকার কথা জানিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আড়াই লাখ ডলারের সহায়তা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাজ্যের বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান টেসকো গ্রুপ বলেছে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি ১৫ লাখ ডলারের তহবিল গঠন করবে। গ্রুপের বাণিজ্যিক পরিচালক কেভিন গ্রেস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রানা প্লাজায় অবস্থিত কোনো কারখানাতেই টেসকোর জন্য পোশাক তৈরি হতো না। কিন্তু এমন আরেকটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আমাদের সবাইকেই কাজ করতে হবে।’
এদিকে গ্যাপের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ইভা সেগি গেভিন বলেন, বিরোধ নিষ্পত্তি কীভাবে হবে সে বিষয়ে পরিবর্তন আনলেই কেবল গ্যাপ এ চুক্তিতে সই করবে। এই একটি পরিবর্তন এ চুক্তিকে বিশ্বের সব খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের চুক্তিতে পরিণত করতে পারে, শুধু ইউরোপের প্রতিষ্ঠানগুলোর নয়। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা, নিউইয়র্ক টাইমস ও ব্লুমবার্গ।
No comments