সিদ্ধান্ত পিসিবির হাতে ছেড়ে দিলেন ইউনুস
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন ইউনুস খান। তবে তিনি অধিনায়ক থাকবেন কি না, সেটা নির্ভর করছে পিসিবির উদ্যোগের ওপর। ‘আমি আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দিয়েছি। এখন এটা তাদের দায়িত্ব পরবর্তী দায়িত্ব পালন করা’—বিবিসি উর্দুকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন ইউনুস।
এদিকে নতুন গুজব, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষে দেশে ফেরার পর পিসিবি সভাপতি ইজাজ বাটের সঙ্গে অধিনায়কত্ব নিয়ে বৈঠক হয়েছিল শহীদ আফ্রিদির। ইউনুস এ কারণেই সরে দাঁড়াতে চান। তবে কাল তিনি পরিষ্কার জানালেন, তাঁর সিদ্ধান্তের সঙ্গে আফ্রিদি-বাটের কথিত বৈঠকের কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁকে আহত করেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাদের বিরুদ্ধে তোলা ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ।
পাকিস্তানের মতো একটা অস্থিতিশীল দেশের ক্রিকেটে নেতৃত্ব নেওয়া মানে বিশাল এক চাপ নেওয়া। সঙ্গে কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে নীতিনির্ধারকদের অসহযোগিতা, অন্তর্দ্বন্দ্ব মিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। অতীত অভিজ্ঞতার কারণে বরাবরই এই দায়িত্ব নিতে নিমরাজি ছিলেন ইউনুস। একবার সহ-অধিনায়কের পদ থেকে সরেও দাঁড়িয়েছেন। ২০০৭ বিশ্বকাপের পর নেতৃত্ব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কিন্তু বোর্ডে নতুন পরিচালনা পর্ষদ আসায় মত পাল্টে অধিনায়কের দায়িত্ব নেন। দলকে ভালোভাবে নেতৃত্বও দিচ্ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৯২ বিশ্বকাপের পর বড় কোনো শিরোপা জেতে পাকিস্তান (গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ)।
এভাবে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তোলা মানে সব পরিশ্রম, আত্মত্যাগকে কলুষিত করা। আর সে কারণেই তাঁর সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত, ‘গত ছয়-আট মাসে কী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, সেটা শুধু আমি জানি। প্রতিদিন দলকে সামলানো, টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা, এর পর পুরো দেশ তো আছেই। এই সময়টায় আমাকে কত ত্যাগই না স্বীকার করতে হয়েছে। অথচ এত কিছুর পরও ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ এল আমাদের বিরুদ্ধে! পাঠান হিসেবে এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। লোকজন, আমার বন্ধুবান্ধব, পরিবারের কাছ থেকে আমি লুকিয়ে ছিলাম, যেন আমি মহাপাপ করে ফেলেছি।’
ইউনুস জানালেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পরের ঘটনাপ্রবাহ তাঁর হূদয়কে ক্ষতবিক্ষত করেছে, ‘এটা খুবই বেদনাদায়ক ছিল। কারণ আমি দেশের হয়ে খেলি গৌরবের জন্য, টাকার জন্য নয়।’ আগের দিনই জানিয়েছিলেন, কথায় কথায় দেশের সংসদীয় কমিটির সামনে হাজির হওয়ার রেওয়াজটাও ভালো লাগছে না তাঁর।
সংসদীয় কমিটির সামনে পদত্যাগপত্র নিয়েই উপস্থিত হয়েছিলেন ইউনুস। যদিও তাঁর পদত্যাগপত্র এখনো গৃহীত হয়নি। ইজাজ বাট জানিয়েছেন, তাঁদের ধারণা, এ সিদ্ধান্ত আবেগ থেকে নেওয়া। ইউনুসকে তাঁরা বুঝিয়ে-সুজিয়ে আবার রাজি করাবেন।
ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তুলে সংসদীয় কমিটির প্রধান জামশেদ খান দাস্তি কোণঠাসা অবস্থায়। আগে জানিয়েছিলেন, সরাসরি ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তিনি তোলেননি। তাঁর বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখন দাস্তির দাবি, ভারতের মিডিয়াই পাকিস্তানের ক্রিকেটকে ধ্বংস করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করছে!
এদিকে ইউনুস পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ায় পাকিস্তানজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। দেশটির প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কায়েমি আন্দোলন কাল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইউনুসকে তাঁর দায়িত্বে বহাল করা না হলে দেশজুড়ে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেওয়া হবে।
এদিকে নতুন গুজব, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষে দেশে ফেরার পর পিসিবি সভাপতি ইজাজ বাটের সঙ্গে অধিনায়কত্ব নিয়ে বৈঠক হয়েছিল শহীদ আফ্রিদির। ইউনুস এ কারণেই সরে দাঁড়াতে চান। তবে কাল তিনি পরিষ্কার জানালেন, তাঁর সিদ্ধান্তের সঙ্গে আফ্রিদি-বাটের কথিত বৈঠকের কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁকে আহত করেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাদের বিরুদ্ধে তোলা ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ।
পাকিস্তানের মতো একটা অস্থিতিশীল দেশের ক্রিকেটে নেতৃত্ব নেওয়া মানে বিশাল এক চাপ নেওয়া। সঙ্গে কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে নীতিনির্ধারকদের অসহযোগিতা, অন্তর্দ্বন্দ্ব মিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। অতীত অভিজ্ঞতার কারণে বরাবরই এই দায়িত্ব নিতে নিমরাজি ছিলেন ইউনুস। একবার সহ-অধিনায়কের পদ থেকে সরেও দাঁড়িয়েছেন। ২০০৭ বিশ্বকাপের পর নেতৃত্ব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কিন্তু বোর্ডে নতুন পরিচালনা পর্ষদ আসায় মত পাল্টে অধিনায়কের দায়িত্ব নেন। দলকে ভালোভাবে নেতৃত্বও দিচ্ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৯২ বিশ্বকাপের পর বড় কোনো শিরোপা জেতে পাকিস্তান (গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ)।
এভাবে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তোলা মানে সব পরিশ্রম, আত্মত্যাগকে কলুষিত করা। আর সে কারণেই তাঁর সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত, ‘গত ছয়-আট মাসে কী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, সেটা শুধু আমি জানি। প্রতিদিন দলকে সামলানো, টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা, এর পর পুরো দেশ তো আছেই। এই সময়টায় আমাকে কত ত্যাগই না স্বীকার করতে হয়েছে। অথচ এত কিছুর পরও ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ এল আমাদের বিরুদ্ধে! পাঠান হিসেবে এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। লোকজন, আমার বন্ধুবান্ধব, পরিবারের কাছ থেকে আমি লুকিয়ে ছিলাম, যেন আমি মহাপাপ করে ফেলেছি।’
ইউনুস জানালেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পরের ঘটনাপ্রবাহ তাঁর হূদয়কে ক্ষতবিক্ষত করেছে, ‘এটা খুবই বেদনাদায়ক ছিল। কারণ আমি দেশের হয়ে খেলি গৌরবের জন্য, টাকার জন্য নয়।’ আগের দিনই জানিয়েছিলেন, কথায় কথায় দেশের সংসদীয় কমিটির সামনে হাজির হওয়ার রেওয়াজটাও ভালো লাগছে না তাঁর।
সংসদীয় কমিটির সামনে পদত্যাগপত্র নিয়েই উপস্থিত হয়েছিলেন ইউনুস। যদিও তাঁর পদত্যাগপত্র এখনো গৃহীত হয়নি। ইজাজ বাট জানিয়েছেন, তাঁদের ধারণা, এ সিদ্ধান্ত আবেগ থেকে নেওয়া। ইউনুসকে তাঁরা বুঝিয়ে-সুজিয়ে আবার রাজি করাবেন।
ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তুলে সংসদীয় কমিটির প্রধান জামশেদ খান দাস্তি কোণঠাসা অবস্থায়। আগে জানিয়েছিলেন, সরাসরি ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তিনি তোলেননি। তাঁর বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখন দাস্তির দাবি, ভারতের মিডিয়াই পাকিস্তানের ক্রিকেটকে ধ্বংস করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করছে!
এদিকে ইউনুস পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ায় পাকিস্তানজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। দেশটির প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কায়েমি আন্দোলন কাল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইউনুসকে তাঁর দায়িত্বে বহাল করা না হলে দেশজুড়ে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেওয়া হবে।
No comments