ইংল্যান্ড-সেরা প্রায়র
ম্যাট প্রায়র |
তাঁকে মনে করা হয় আপাদমস্তক ‘টিম ম্যান’। ‘আমি’ ব্যাপারটায় খুব একটা বিশ্বাস নেই তাঁর, ভাবনাজুড়ে শুধু ‘আমরা’। তাঁর ক্রিকেটদর্শনে সবকিছুর আগে দলের জয়। এই পথচলাতেই নিজেকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেলেন, যেখানে তিনি একা। সবার আগে। প্রথম উইকেটকিপার হিসেবে ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হলেন ম্যাট প্রায়র। ক্রিকেট লিখিয়েদের ভোটে নির্বাচিত হন ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা। পরশু রাতে লর্ডসের লং রুমে প্রায়রের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার।
গত মৌসুমে ১৩ টেস্টে ৫৪.৯৩ গড়ে ৮৭৯ রান করেছেন প্রায়র, ডিসমিসাল ৩৩টি। অ্যালিস্টার কুক ছাড়া গত দুই বছরে ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে ৫০ গড় আছে শুধু প্রায়রেরই। গত কয়েক বছরে দলের সাফল্যে বড় অবদান এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের। শুধু মাঠের পারফরম্যান্সই নয়, ড্রেসিংরুম চাঙা রাখা থেকে দলকে এককাট্টা করায় প্রায়রের ভূমিকাও গুরুত্ব পেয়েছে সেরা নির্বাচনে। কেভিন পিটারসেন-বিতর্কে ইতি টানায় সবচেয়ে উদ্যোগী ছিলেন তিনি। অলআউট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তাঁকে বলা হয়েছে ইংল্যান্ড দলের হূৎস্পন্দন।
দল অন্তঃপ্রাণ বলেই সেরার স্বীকৃতি অস্বস্তিতে ফেলছে প্রায়রকে, ‘বর্ষসেরা হওয়া অবশ্যই বড় একটা সম্মান। তবে আমার খানিকটা অস্বস্তিও লাগছে, কারণ ব্যক্তিগত খেতাবের জন্য আমি খেলি না। আমি খেলি দলের জন্য। প্রতিবার ব্যাট হাতে মাঠে নামার সময় ভাবি দলকে জেতার জায়গায় নিতে আমাকে কী করতে হবে। ব্যাটিং গড় ৫০ করতে হলে কী করতে হবে, এসব আমাকে ভাবায় না। অতীতে অনেকেই আমাকে বলেছে, নিজের দিকে একটু নজর দিতে, ব্যাটিং গড় বাড়াতে, বেশি করে অপরাজিত থাকতে। কিন্তু আমি তা পারি না। দলের জয়েই আমার সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি।’
সেরার সম্মান খানিকটা চমকেও দিয়েছে ৩১ বছর বয়সী উইকেটকিপারকে, ‘খবরটা জানার পর অবাক হয়েছিলাম, ভালো লাগছিল। পেসার হয়েও জিমি (অ্যান্ডারসন) ভারতে যেভাবে পারফর্ম করেছে, কুকি (অ্যালিস্টার কুক) যেভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে, আরও অনেকেই দারুণ করেছে, সবাইকে ছাড়িয়ে এমন একটা স্বীকৃতি অবশ্যই সম্মানের।’
গত মৌসুমে ১৩ টেস্টে ৫৪.৯৩ গড়ে ৮৭৯ রান করেছেন প্রায়র, ডিসমিসাল ৩৩টি। অ্যালিস্টার কুক ছাড়া গত দুই বছরে ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে ৫০ গড় আছে শুধু প্রায়রেরই। গত কয়েক বছরে দলের সাফল্যে বড় অবদান এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের। শুধু মাঠের পারফরম্যান্সই নয়, ড্রেসিংরুম চাঙা রাখা থেকে দলকে এককাট্টা করায় প্রায়রের ভূমিকাও গুরুত্ব পেয়েছে সেরা নির্বাচনে। কেভিন পিটারসেন-বিতর্কে ইতি টানায় সবচেয়ে উদ্যোগী ছিলেন তিনি। অলআউট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তাঁকে বলা হয়েছে ইংল্যান্ড দলের হূৎস্পন্দন।
দল অন্তঃপ্রাণ বলেই সেরার স্বীকৃতি অস্বস্তিতে ফেলছে প্রায়রকে, ‘বর্ষসেরা হওয়া অবশ্যই বড় একটা সম্মান। তবে আমার খানিকটা অস্বস্তিও লাগছে, কারণ ব্যক্তিগত খেতাবের জন্য আমি খেলি না। আমি খেলি দলের জন্য। প্রতিবার ব্যাট হাতে মাঠে নামার সময় ভাবি দলকে জেতার জায়গায় নিতে আমাকে কী করতে হবে। ব্যাটিং গড় ৫০ করতে হলে কী করতে হবে, এসব আমাকে ভাবায় না। অতীতে অনেকেই আমাকে বলেছে, নিজের দিকে একটু নজর দিতে, ব্যাটিং গড় বাড়াতে, বেশি করে অপরাজিত থাকতে। কিন্তু আমি তা পারি না। দলের জয়েই আমার সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি।’
সেরার সম্মান খানিকটা চমকেও দিয়েছে ৩১ বছর বয়সী উইকেটকিপারকে, ‘খবরটা জানার পর অবাক হয়েছিলাম, ভালো লাগছিল। পেসার হয়েও জিমি (অ্যান্ডারসন) ভারতে যেভাবে পারফর্ম করেছে, কুকি (অ্যালিস্টার কুক) যেভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে, আরও অনেকেই দারুণ করেছে, সবাইকে ছাড়িয়ে এমন একটা স্বীকৃতি অবশ্যই সম্মানের।’
No comments