কলকাতার পারফরম্যান্সে অবাক আকরাম
তাঁকে বলা হয় সর্বকালের সেরা বাঁহাতি ফাস্ট বোলার। ফাস্ট বোলিংকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া বোলারদের তালিকায় তিনি থাকবেন সবার শীর্ষে। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে গোটা নব্বইয়ের দশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছেন হর-হামেশাই। ইয়র্কার ডেলিভারির ভয়ংকর রূপ ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছে তাঁরই হাত ধরে। ওপরের কথাগুলো যে ওয়াসিম আকরামকে নিয়ে, তা বোধ করি পাঠকদের বলে দিতে হবে না। পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই ফাস্ট বোলার দেশটির সাবেক অধিনায়কও বটে। ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে ধারাভাষ্যই এখন মূল পেশা এই সুদর্শন তারকার। তবে ধারাভাষ্যের পাশাপাশি ফাস্ট বোলিংয়ের এই শিল্পী ব্যস্ত উঠতিদের নিয়ে। কয়েক মৌসুম ছিলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং উপদেষ্টা। পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে এবার সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেও তাঁর মন যে নাইটদের সঙ্গেই পড়ে রয়েছে, সে ব্যাপারটি বেরিয়ে এসেছে কলকাতার একটি পত্রিকায় দেওয়া তাঁর এক সাক্ষাত্কারে। কলকাতার ট্যাবলয়েড ‘এবেলা’র ক্রীড়া সাংবাদিক সুমিত ঘোষ নিয়েছেন এই ক্রিকেট গ্রেটের সাক্ষাত্কার। প্রথম আলো ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো সেই সাক্ষাত্কারেরই সংক্ষেপিত রূপ।
এই মুহূর্তে ব্যস্ত যা নিয়ে...
লাহোরে নতুন বাড়ি বানাচ্ছি। এ মুহূর্তে ব্যস্ত বাড়ির বিভিন্ন কাজ নিয়ে। দুই ছেলের দেখভালও করতে হচ্ছে। এ কারণেই তো এবার আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সঙ্গে থাকতে পারলাম না।
এবারের আইপিএলে কেকেআরের পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবনা...
আমি খুব অবাক এবারের আইপিএলে কেকেআরের পারফরম্যান্সে। ওরা কেন এবার এত বাজে খেলছে, সেটা নিয়ে আমার কোনো স্বচ্ছ ধারণা নেই। আমি দল থেকে অনেক দূরে। তবে দূর থেকে আমার যতটুকু মনে হয়েছে তা হলো, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাটিংটা ঠিকমতো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। ব্যাপারটি দুই-একটি ম্যাচে হলে আমার কিছু বলার থাকত না, ক্রিকেটে ওরকম হতেই পারে। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে একই জিনিস ঘটে চলা তো কোনো কাজের কথা নয়।
ব্যাটিংটাই মূলত এবারের আইপিএলে দলের এই অবস্থার জন্য দায়ী। ব্যাটিং ব্যর্থতার একটা বড় কারণ, ভারতীয় ক্রিকেটারদের পারফরম করতে না পারা। অথচ অন্য সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোতে কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটাররাই পারফরম করছে।
কঠিন সমীকরণ ঠেলে কেকেআরের সম্ভাবনা...
প্লে-অফে যাওয়াটা কঠিন। আমি কেবল একটাই কথা বলতে পারি, এই মুহূর্তে অঙ্ক-টঙ্ক ভুলে যেতে হবে। নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মোট কথা, লড়াই করে যেতে হবে, হারের আগেই হেরে যাওয়া যাবে না।
গৌতম গম্ভীর সম্পর্কে মূল্যায়ন...
কেকেআরের এখন খারাপ সময়। এ সময় অধিনায়ককে মাথা নিচু করে রান করে যেতে হবে। টিম যখন বাজে পারফরম করতে থাকে, তখন সবকিছুই চোখে পড়ে। ভালো করতে থাকলে অনেকেই অনেক কিছু এড়িয়ে যায়। এটাই ক্রিকেটের রীতি। এই রীতি ছোট-বড়-তারকা-অখ্যাত সবাইকে মেনে চলতে হয়।
পাকিস্তানের তরুণ ফাস্ট বোলারদের নিয়ে ক্যাম্প প্রসঙ্গে...
ক্যাম্পটা আমি খুব উপভোগ করেছি। কয়েকজন ভালো ছেলেও উঠে এসেছে। আহমেদ জামাল নামের একজনকে দেখলাম, খুব সম্ভাবনাময় বোলার। ক্যাম্পটা আয়োজনের কয়েকদিন আগে কে কত জোরে বল করতে পারে—এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। জামাল ওই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আহমেদ জামালকে দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা। নিয়মিতভাবেই ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে। অধ্যবসায়ী হলে আহমেদ জামাল হয়ে উঠতে পারে পাকিস্তানের ফাস্ট বোলিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।
উঠতি ফাস্ট বোলারদের ভবিষ্যত্ নিয়ে...
আসলে ওদের কেবলই ‘স্পট’ করে এসেছি আমি। বাকিটা ওদের নিজেদের ব্যাপার। বোর্ডেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। বোর্ডকে বলেছি, আহমেদ জামালের মতো পেসারদের দিকে বাড়তি নজর দিতে। এদের পেছনে বিনিয়োগ করতে হবে। এদের পরিচর্যা করতে হবে। ওরা সম্ভাবনাময়। সম্ভাবনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে ক্রিকেট বোর্ডের।
কেকেআরে আবার ফেরা...
এ বছর কলকাতাটা খুব মিস করছি। পরের বার অবশ্যই আইপিএলে ফিরে আসতে চাই।
এই মুহূর্তে ব্যস্ত যা নিয়ে...
লাহোরে নতুন বাড়ি বানাচ্ছি। এ মুহূর্তে ব্যস্ত বাড়ির বিভিন্ন কাজ নিয়ে। দুই ছেলের দেখভালও করতে হচ্ছে। এ কারণেই তো এবার আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সঙ্গে থাকতে পারলাম না।
এবারের আইপিএলে কেকেআরের পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবনা...
আমি খুব অবাক এবারের আইপিএলে কেকেআরের পারফরম্যান্সে। ওরা কেন এবার এত বাজে খেলছে, সেটা নিয়ে আমার কোনো স্বচ্ছ ধারণা নেই। আমি দল থেকে অনেক দূরে। তবে দূর থেকে আমার যতটুকু মনে হয়েছে তা হলো, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাটিংটা ঠিকমতো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। ব্যাপারটি দুই-একটি ম্যাচে হলে আমার কিছু বলার থাকত না, ক্রিকেটে ওরকম হতেই পারে। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে একই জিনিস ঘটে চলা তো কোনো কাজের কথা নয়।
ব্যাটিংটাই মূলত এবারের আইপিএলে দলের এই অবস্থার জন্য দায়ী। ব্যাটিং ব্যর্থতার একটা বড় কারণ, ভারতীয় ক্রিকেটারদের পারফরম করতে না পারা। অথচ অন্য সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোতে কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটাররাই পারফরম করছে।
কঠিন সমীকরণ ঠেলে কেকেআরের সম্ভাবনা...
প্লে-অফে যাওয়াটা কঠিন। আমি কেবল একটাই কথা বলতে পারি, এই মুহূর্তে অঙ্ক-টঙ্ক ভুলে যেতে হবে। নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মোট কথা, লড়াই করে যেতে হবে, হারের আগেই হেরে যাওয়া যাবে না।
গৌতম গম্ভীর সম্পর্কে মূল্যায়ন...
কেকেআরের এখন খারাপ সময়। এ সময় অধিনায়ককে মাথা নিচু করে রান করে যেতে হবে। টিম যখন বাজে পারফরম করতে থাকে, তখন সবকিছুই চোখে পড়ে। ভালো করতে থাকলে অনেকেই অনেক কিছু এড়িয়ে যায়। এটাই ক্রিকেটের রীতি। এই রীতি ছোট-বড়-তারকা-অখ্যাত সবাইকে মেনে চলতে হয়।
পাকিস্তানের তরুণ ফাস্ট বোলারদের নিয়ে ক্যাম্প প্রসঙ্গে...
ক্যাম্পটা আমি খুব উপভোগ করেছি। কয়েকজন ভালো ছেলেও উঠে এসেছে। আহমেদ জামাল নামের একজনকে দেখলাম, খুব সম্ভাবনাময় বোলার। ক্যাম্পটা আয়োজনের কয়েকদিন আগে কে কত জোরে বল করতে পারে—এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। জামাল ওই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আহমেদ জামালকে দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা। নিয়মিতভাবেই ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে। অধ্যবসায়ী হলে আহমেদ জামাল হয়ে উঠতে পারে পাকিস্তানের ফাস্ট বোলিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।
উঠতি ফাস্ট বোলারদের ভবিষ্যত্ নিয়ে...
আসলে ওদের কেবলই ‘স্পট’ করে এসেছি আমি। বাকিটা ওদের নিজেদের ব্যাপার। বোর্ডেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। বোর্ডকে বলেছি, আহমেদ জামালের মতো পেসারদের দিকে বাড়তি নজর দিতে। এদের পেছনে বিনিয়োগ করতে হবে। এদের পরিচর্যা করতে হবে। ওরা সম্ভাবনাময়। সম্ভাবনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে ক্রিকেট বোর্ডের।
কেকেআরে আবার ফেরা...
এ বছর কলকাতাটা খুব মিস করছি। পরের বার অবশ্যই আইপিএলে ফিরে আসতে চাই।
No comments