প্রেমে ব্যর্থ হয়ে গ্যাং রেপ ও হত্যা by রুদ্র মিজান
কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে দুই যুবক। ১২ বছর বয়সী কিশোরী বলেছিল ঘটনাটি সবাইকে জানিয়ে দেবে। তারপরই তাকে হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা
হয়। পরিকল্পায় সফল হতে চলেছিলো দুই খুনি। কিশোরী সুমাইয়া খাতুন আত্মহত্যা করেছে বলেই জানতো সবাই। এ বিষয়ে গত বছরের ৩১শে অক্টোবর গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় অপমৃত্যু মামলাও হয়। কিন্তু আসল ঘটনা বের হয়ে আসে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। এতে উল্লেখ করা হয় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে তাকে।
পাওয়া গেছে ধর্ষণের আলামতও। চলতি বছরের ৩রা জুলাই একই ঘটনায় এবার হত্যা মামলা হয় কাশিমপুর থানায়। দীর্ঘ তদন্তের পর কাশিমপুরের বারেন্ডা এলাকার বহুল আলোচিত কিশোরী সুমাইয়া খাতুন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এ ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে। গ্রেপ্তারের পর গত ১২ ও ১৩ই জুলাই আদালতে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দুই আসামি।
কাশিমপুরের বারেন্ডা এলাকায় সুমাইয়াদের বাসার পাশেই ভাড়া থাকতো রনি মিয়া। রনির বাসায় টাকার বিনিময়ে খাওয়া-দাওয়া করতো মিলন, হাসান ও সাঈদ। তারা প্রত্যেকই শ্রমিক এবং ওই এলাকায় পাশাপাশি থাকতো। রনির বন্ধু মিলনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল সুমাইয়ার। সুমাইয়ার প্রতি আকৃষ্ট ছিল রনি ও সাঈদ। নানাভাবে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় রনি। একইভাবে ব্যর্থ হয় সাঈদও। এরমধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। বাধ্য হয়েই ওই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নেয়ার চিন্তা করেন সুমাইয়ার মা। গত বছরের নভেম্বরে বাসার মালিককে জানিয়ে দেয়া হয় এই মাস পরেই অন্যত্র চলে যাবেন তারা। সুমাইয়া চলে যাবে, তা জানার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে রনি ও সাঈদ। দুইজন এক হয়ে শলাপরামর্শ করে। পরিকল্পনা করে তাকে রেপ করবে। পরিকল্পনা অনুসারেই ৩১শে অক্টোবর সকালে যখন সুমাইয়ার মাসহ অন্যরা কর্মস্থলে তখনই ঘটে ঘটনা। সুমাইয়ার সঙ্গে বসে কথা বলছিলো রনি ও সাঈদ। এরমধ্যেই হঠাৎ করে সুমাইয়াকে জাপটে ধরে। তার জামা খোলার চেষ্টা করে। সুমাইয়া বাধা দেয়। চিৎকার করতে চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বিছানায় শুইয়ে মুখে বালিশ চেপে ধরে রনি। বাধা হয় তার দুই হাত, পা ধরে রাখে সাঈদ। রনি ধর্ষণ করে সুমাইয়াকে। মোবাইল ফোনে সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করে সাঈদ। রনির পর সুমাইয়াকে ধর্ষণ করে সাঈদ। সুমাইয়া তখন বলেছিলো, ধর্ষণের ঘটনা সবাইকে জানিয়ে দেবে। মাকে নিয়ে থানায় যাবে। তারপরই আরও হিংস্র হয়ে ওঠে রনি ও সাঈদ। পরিকিল্পতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সুমাইয়াকে। তারপর নাটক সাজায় আত্মহত্যার। ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় তার লাশ।
সুমাইয়ার বাবা-মা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না তার মেয়ে কেন আত্মহত্যা করবে। বারবার এ বিষয়ে অভিযোগ করলেও আমলে নেয়নি কেউ। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ জানা ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া যাওয়ার পরই হত্যা মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১২ই জুলাই ভোরে টঙ্গী পশ্চিম থানার গাজীপুরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাঈদ ইসলামকে। সাঈদ ইসলাম (১৯) নিলফামারী জেলার ডোমার থানার চিলাহাটী মাস্টারপাড়ার মৃত নবীর উদ্দিনের পুত্র। সাঈদকে গ্রেপ্তারের পরদিন ১৩ই জুলাই রাত দেড়টায় গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রনিকে। রনি মিয়া (২১) লালমনিরহাটের তিস্তা চৌরাটারী গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র। নিহত সুমাইয়া যশোরের বাঘাপাড়া থানা এলাকার বাউলিয়া গ্রামের সোহেল রানা ও রুনা বেগমের সন্তান।
পিবিআই গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, শুরু থেকেই এই ঘটনায় পিবিআই গাজীপুর জেলায় ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে থানায় হত্যা মামলা রুজু হওয়ার পর স্ব-উদ্যোগে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান তিনি।
হয়। পরিকল্পায় সফল হতে চলেছিলো দুই খুনি। কিশোরী সুমাইয়া খাতুন আত্মহত্যা করেছে বলেই জানতো সবাই। এ বিষয়ে গত বছরের ৩১শে অক্টোবর গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় অপমৃত্যু মামলাও হয়। কিন্তু আসল ঘটনা বের হয়ে আসে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। এতে উল্লেখ করা হয় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে তাকে।
পাওয়া গেছে ধর্ষণের আলামতও। চলতি বছরের ৩রা জুলাই একই ঘটনায় এবার হত্যা মামলা হয় কাশিমপুর থানায়। দীর্ঘ তদন্তের পর কাশিমপুরের বারেন্ডা এলাকার বহুল আলোচিত কিশোরী সুমাইয়া খাতুন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এ ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে। গ্রেপ্তারের পর গত ১২ ও ১৩ই জুলাই আদালতে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দুই আসামি।
কাশিমপুরের বারেন্ডা এলাকায় সুমাইয়াদের বাসার পাশেই ভাড়া থাকতো রনি মিয়া। রনির বাসায় টাকার বিনিময়ে খাওয়া-দাওয়া করতো মিলন, হাসান ও সাঈদ। তারা প্রত্যেকই শ্রমিক এবং ওই এলাকায় পাশাপাশি থাকতো। রনির বন্ধু মিলনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল সুমাইয়ার। সুমাইয়ার প্রতি আকৃষ্ট ছিল রনি ও সাঈদ। নানাভাবে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় রনি। একইভাবে ব্যর্থ হয় সাঈদও। এরমধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। বাধ্য হয়েই ওই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নেয়ার চিন্তা করেন সুমাইয়ার মা। গত বছরের নভেম্বরে বাসার মালিককে জানিয়ে দেয়া হয় এই মাস পরেই অন্যত্র চলে যাবেন তারা। সুমাইয়া চলে যাবে, তা জানার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে রনি ও সাঈদ। দুইজন এক হয়ে শলাপরামর্শ করে। পরিকল্পনা করে তাকে রেপ করবে। পরিকল্পনা অনুসারেই ৩১শে অক্টোবর সকালে যখন সুমাইয়ার মাসহ অন্যরা কর্মস্থলে তখনই ঘটে ঘটনা। সুমাইয়ার সঙ্গে বসে কথা বলছিলো রনি ও সাঈদ। এরমধ্যেই হঠাৎ করে সুমাইয়াকে জাপটে ধরে। তার জামা খোলার চেষ্টা করে। সুমাইয়া বাধা দেয়। চিৎকার করতে চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বিছানায় শুইয়ে মুখে বালিশ চেপে ধরে রনি। বাধা হয় তার দুই হাত, পা ধরে রাখে সাঈদ। রনি ধর্ষণ করে সুমাইয়াকে। মোবাইল ফোনে সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করে সাঈদ। রনির পর সুমাইয়াকে ধর্ষণ করে সাঈদ। সুমাইয়া তখন বলেছিলো, ধর্ষণের ঘটনা সবাইকে জানিয়ে দেবে। মাকে নিয়ে থানায় যাবে। তারপরই আরও হিংস্র হয়ে ওঠে রনি ও সাঈদ। পরিকিল্পতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সুমাইয়াকে। তারপর নাটক সাজায় আত্মহত্যার। ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় তার লাশ।
সুমাইয়ার বাবা-মা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না তার মেয়ে কেন আত্মহত্যা করবে। বারবার এ বিষয়ে অভিযোগ করলেও আমলে নেয়নি কেউ। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ জানা ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া যাওয়ার পরই হত্যা মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১২ই জুলাই ভোরে টঙ্গী পশ্চিম থানার গাজীপুরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাঈদ ইসলামকে। সাঈদ ইসলাম (১৯) নিলফামারী জেলার ডোমার থানার চিলাহাটী মাস্টারপাড়ার মৃত নবীর উদ্দিনের পুত্র। সাঈদকে গ্রেপ্তারের পরদিন ১৩ই জুলাই রাত দেড়টায় গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রনিকে। রনি মিয়া (২১) লালমনিরহাটের তিস্তা চৌরাটারী গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র। নিহত সুমাইয়া যশোরের বাঘাপাড়া থানা এলাকার বাউলিয়া গ্রামের সোহেল রানা ও রুনা বেগমের সন্তান।
পিবিআই গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, শুরু থেকেই এই ঘটনায় পিবিআই গাজীপুর জেলায় ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে থানায় হত্যা মামলা রুজু হওয়ার পর স্ব-উদ্যোগে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান তিনি।
No comments