৬৩ বছর পর বাংলা রেডিও সার্ভিস বন্ধ করছে ভয়েস অব আমেরিকা
ভয়েস অব আমেরিকা গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে ৬৩ বছর ধরে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় সম্প্রচার করে আসা বাংলা রেডিও সার্ভিস বন্ধ হতে যাচ্ছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভয়েস অব আমেরিকার বাংলায় এফএম এবং শর্টওয়েভ রেডিও সম্প্রচারের আনুষ্ঠানিকতা ৬৩ বছর পর আসছে ১৭ই জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে।
একই সঙ্গে, ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা বিভাগের টেলিভিশন এবং সোশ্যাল
মিডিয়া কন্টেন্টের পরিধি যথেষ্ট বাড়ানো হবে। কারণ এই প্ল্যাটফরমগুলো ভিওএ বাংলার (এক কোটি ষাট লাখ) সাপ্তাহিক শ্রোতাদের দ্বারা বেশি ব্যবহৃত হয়।
ভিওএ প্রোগ্রামিংয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জন লিপম্যান বলেন, “ভিওএ বাংলা ১৯৫৮ সালের জানুয়ারিতে যখন চালু হয়েছিল, বাংলাদেশ তখন ‘পূর্ব পাকিস্তান’ হিসেবে পরিচিত ছিল এবং অঞ্চলটি সামরিক আইনের অধীনে ছিল যেখানে কোনো টেলিভিশন বা বেসরকারি রেডিও ছিল না।”
তিনি বলেন, ‘তখন সীমান্তের বাইরে থেকে ভিওএ-র শর্টওয়েভ রেডিওতে সম্প্রচারিত স্বাধীন সংবাদ এবং তথ্যের ওপর নির্ভর করতো বাংলাভাষী জনগণ।’
যদিও শর্টওয়েভ রেডিও শ্রোতা এখন এক শতাংশেরও কম, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিওএ বাংলার শ্রোতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। টুইটার অ্যাকাউন্টে সম্পৃক্ততা আগের বছরের তুলনায় ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও দেখা ২৭৪ শতাংশ বেড়েছে।
লিপম্যান উল্লেখ করেন, ‘কয়েক ডজন দেশীয় টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশন বাংলাভাষী শ্রোতা ধরতে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, এর পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমের সংখ্যাও বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সংবাদের জন্য বাংলাদেশে টিভি এবং অনলাইন অ্যাক্সেসের চাহিদা বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে ভিওএ বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান সেসব প্ল্যাটফরমে পরিবেশন করা দরকার যেখানে তার শ্রোতারা ইতিমধ্যেই সক্রিয়।
ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শতরূপা বড়ুয়া এ মাসেই বলেছিলেন, ‘রেডিও যখন প্রাথমিক সংবাদমাধ্যম ছিল সে সময় থেকেই ভিওএ বাংলা তার শ্রোতাদের কাছে বিশ্ব সংবাদ পরিবেশন করতে থাকে। এটি ছিল আমাদের গড়ে তোলার মাধ্যমে, সবার মুখে মুখে ছিল এর নাম। শর্টওয়েভ এবং মিডিয়ামওয়েভ রেডিওর চেয়ে এখন যেসব মিডিয়ায় আমাদের উপস্থিতি আরও বেশি জনপ্রিয় সেসব জায়গায় আমাদের সেই খ্যাতিকে ভিত্তি করে এগিয়ে যাবো।’
শতরূপা বলেন, “বাংলাদেশে আমাদের এমন ইতিহাসের কারণে, ভিওএ-তে কাজ করা আমাদের অনেকের জন্য ‘ড্রিম জব’।
আসন্ন পরিবর্তনগুলোর পরও তা অব্যাহত থাকবে।”
সম্প্রচারের শেষ দিনগুলোতে ভিওএ বাংলা রেডিও সার্ভিস তাদের সূচনালগ্ন অর্থাৎ ১৯৫৮ সালের পর থেকে এ দেশে ঘটে যাওয়া নানা পরিবর্তন সম্প্রচার করবে।
একই সঙ্গে, ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা বিভাগের টেলিভিশন এবং সোশ্যাল
মিডিয়া কন্টেন্টের পরিধি যথেষ্ট বাড়ানো হবে। কারণ এই প্ল্যাটফরমগুলো ভিওএ বাংলার (এক কোটি ষাট লাখ) সাপ্তাহিক শ্রোতাদের দ্বারা বেশি ব্যবহৃত হয়।
ভিওএ প্রোগ্রামিংয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জন লিপম্যান বলেন, “ভিওএ বাংলা ১৯৫৮ সালের জানুয়ারিতে যখন চালু হয়েছিল, বাংলাদেশ তখন ‘পূর্ব পাকিস্তান’ হিসেবে পরিচিত ছিল এবং অঞ্চলটি সামরিক আইনের অধীনে ছিল যেখানে কোনো টেলিভিশন বা বেসরকারি রেডিও ছিল না।”
তিনি বলেন, ‘তখন সীমান্তের বাইরে থেকে ভিওএ-র শর্টওয়েভ রেডিওতে সম্প্রচারিত স্বাধীন সংবাদ এবং তথ্যের ওপর নির্ভর করতো বাংলাভাষী জনগণ।’
যদিও শর্টওয়েভ রেডিও শ্রোতা এখন এক শতাংশেরও কম, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিওএ বাংলার শ্রোতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। টুইটার অ্যাকাউন্টে সম্পৃক্ততা আগের বছরের তুলনায় ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও দেখা ২৭৪ শতাংশ বেড়েছে।
লিপম্যান উল্লেখ করেন, ‘কয়েক ডজন দেশীয় টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশন বাংলাভাষী শ্রোতা ধরতে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, এর পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমের সংখ্যাও বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সংবাদের জন্য বাংলাদেশে টিভি এবং অনলাইন অ্যাক্সেসের চাহিদা বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে ভিওএ বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান সেসব প্ল্যাটফরমে পরিবেশন করা দরকার যেখানে তার শ্রোতারা ইতিমধ্যেই সক্রিয়।
ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শতরূপা বড়ুয়া এ মাসেই বলেছিলেন, ‘রেডিও যখন প্রাথমিক সংবাদমাধ্যম ছিল সে সময় থেকেই ভিওএ বাংলা তার শ্রোতাদের কাছে বিশ্ব সংবাদ পরিবেশন করতে থাকে। এটি ছিল আমাদের গড়ে তোলার মাধ্যমে, সবার মুখে মুখে ছিল এর নাম। শর্টওয়েভ এবং মিডিয়ামওয়েভ রেডিওর চেয়ে এখন যেসব মিডিয়ায় আমাদের উপস্থিতি আরও বেশি জনপ্রিয় সেসব জায়গায় আমাদের সেই খ্যাতিকে ভিত্তি করে এগিয়ে যাবো।’
শতরূপা বলেন, “বাংলাদেশে আমাদের এমন ইতিহাসের কারণে, ভিওএ-তে কাজ করা আমাদের অনেকের জন্য ‘ড্রিম জব’।
আসন্ন পরিবর্তনগুলোর পরও তা অব্যাহত থাকবে।”
সম্প্রচারের শেষ দিনগুলোতে ভিওএ বাংলা রেডিও সার্ভিস তাদের সূচনালগ্ন অর্থাৎ ১৯৫৮ সালের পর থেকে এ দেশে ঘটে যাওয়া নানা পরিবর্তন সম্প্রচার করবে।
No comments