একেই বলে গণতন্ত্র by মোহাম্মদ আবুল হোসেন
যুক্তরাষ্ট্রে
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। অনেকটা
বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে তবেই মনোনয়ন পেতে হয় দল থেকে। তাতে কুপোকাত হয়ে পড়েন
অনেক বাঘা বাঘা নেতা। দলীয় এমন মনোনয়ন পাওয়াকে প্রাইমারি নির্বাচন বলা হয়।
দৃশ্যত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল পর্বের লড়াইয়ের চেয়ে এই লড়াই কোনো অংশে
কম নয়। ব্যাপারটা এমন নয় যে, আপনি একটি দলের শীর্ষ নেতা। আপনি বলেন আর নাই
বা বলেন- আপনিই দলের প্রার্থী। ফলে দল থেকে আর কারো মাথা উঁচু করার সাধ্য
নেই।
ব্যাস, আপনিই দলীয় প্রার্থী। কিসের আবার প্রাইমারি! যুক্তরাষ্ট্রে এমনটা নেই বলেই সম্ভবত তাদেরকে গণতান্ত্রিক বলা হয়। কারণ, গণতান্ত্রিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে একটি দল থেকে একজন প্রার্থীকে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে তবেই মূল পর্বে আসতে হয়।
আগামী বছর সেখানে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কিন্তু প্রধান দুই দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট শিবিরে এর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বিগত নির্বাচনের অব্যবহিত পর থেকেই। বিশেষ করে অনাকাঙ্খিতভাবে ডেমোক্রেট দল থেকে শক্তিধর প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন হেরে যাওয়ার পর পরই আলোচনা চলতে থাকে কে হবেন পরবর্তী ডেমোক্রেট প্রার্থী। সম্ভাব্যরা তাদের টার্গেট ঠিক করে প্রস্তুতি নিতে থাকেন। প্রায় দু’বছর বাকি থাকতেই তারা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেন। ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার। ফলে এবার ডেমোক্রেট দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। এরই মধ্যে তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের বিতর্ক হয়ে গেছে অক্টোবরে। আজ বুধবার আবার আটলান্টায় তাদেরকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সেখানে মঞ্চে বিতর্ক করবেন তারা। স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ওই বিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে। এর সহ-আয়োজক এমএনএনবিসি এবং ওয়াশিংটন পোস্ট।
আজকের বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন শক্তিধর প্রার্থী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ম্যাচাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন, ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স, ইন্ডিয়ানার সাউথ বেন্ড, মেয়র পিটি বুটিগিত ও ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কমলা হ্যারিস। তবে অক্টোবরের ডিবেট বা বিতর্কের চেয়ে এবার কিছুটা পরিবর্তন রয়েছে। গত মাসের বিতর্কে ছিলেন ১২ জন প্রার্থী। কিন্তু আজকের বিতর্কে থাকবেন শুধু ১০ জন। কারণ, নির্বাচনী লড়াই থেকে নিজেকে ১লা নভেম্বর প্রত্যাহার করে নিয়েছেন টেক্সাসের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য বেটো ও’রোর্কি। প্রথমবারের মতো নির্বাচনী বিতর্ক মিস করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহায়ন ও নগর উন্নয়ন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী জুলিয়ান ক্যাস্ত্রো। আবার কিছু নতুন প্রার্থী এই নির্বাচনী দৌড়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন। তার মধ্যে আছেন ম্যাচাচুসেটসের গভর্নর ডেভাল প্যাট্রিক। তিনি মধ্য নভেম্বরের দিকে নির্বাচনী লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। এছাড়া প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন নিউ ইয়র্ক সিটির সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ।
আজ বুধবার (বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল) আটলান্টার টেলার পেরি স্টুডিওতে হবে বিতর্ক। এই চলচ্চিত্র প্রযোজনা বিষয়ক স্টুডিওটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাটা টেলার পেরি। সেখান থেকে বিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার করবে এমএসএনবিসি। সরাসরি অনলাইনে দেখা যাবে এমএসএনবিসি ডট কম এবং ওয়াশিংটন পোস্ট ডট কম-এ। এ ছাড়া এই বিতর্ক দেখা যাবে এনবিসি নিউজে, ওয়াশিংটন পোস্টের ফোন অ্যাপে।
বিতর্কে অংশ নেয়া প্রার্থীদের সম্পর্কে এখানে সংক্ষেপে তথ্য তুলে ধরা হলো:
জো বাইডেন (৭৬): যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস সৃষ্টিকারী সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন। তিনি ১৯৭৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেলাওয়ার রাজ্য থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর।
সিনেটর কোরি বুকার (৫০): কোরি বুকার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি থেকে নির্বাচিত সিনেটর। তিনি ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিওয়ার্কের মেয়র ছিলেন। তারপর থেকে তিনি নিউ জার্সি থেকে প্রথম আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মার্কিন সিনেটর।
পিটি বুটিগিগ (৩৭): ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেভি রিজার্ভের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিলেন বুটিগিগ। ২০১২ সাল থেকে তিনি ইন্ডিয়ানার সাউথ বেন্ড থেকে নির্বাচিত মেয়র। তিনি সমকামী। যদি প্রাইমারি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পান তাহলে তিনিই হবেন বড় কোনো রাজনৈতিক দল থেকে প্রকাশ্যে আসা প্রথম সমকামী প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী।
তুলসি গাব্বাড় (৩৮): ২০১৩ সাল থেকে হাওয়াইয়ের সেকেন্ড ডিস্ট্রিক্ট থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। তিনি প্রথম আমেরিকান সামোয়া এবং কংগ্রেসে প্রথম হিন্দু সদস্য। ইরাক যুদ্ধের একজন যোদ্ধা তিনি।
কমলা হ্যারিস (৫৫): ক্যালিফোর্নিয়ার রাজনীতির মধ্য দিয়ে উত্থান ঘটে তার। তিনি ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সান ফ্রান্সিকোতে ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনিই ক্যালিফোর্নিয়াতে প্রথম নারী এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর।
এমি ক্লুবুচার (৫৯): ২০০৬ সালে মিনেসোটা থেকে প্রথম নারী হিসেবে তিনি সিনেটর নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি মিনেসোটার সবচেয়ে জনবহুল এলাকা হেনেপিন কাউন্টিতে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কাউন্টি এটর্নি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বার্নি স্যান্ডার্স (৭৮): তিনি স্বঘোষিত ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট। ২০০৭ সাল থেকে তিনি ভারমন্টের সিনেটর। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ভারমন্টের কংগ্রেশনাল প্রতিনিধি ছিলেন। ২০১৬ সালে ডেমোক্রেটিক দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন চান। কিন্তু প্রাইমারিতে তিনি হেরে যান হিলারি ক্লিনটনের কাছে।
টম স্টেয়ার (৬২): তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন নেক্সটজেন আমেরিকা অ্যান্ড নিডস টু ইমপিচ নামের রাজনৈতিক গ্রুপ। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রচারণায় ডিজিটাল মাধ্যম ও টেলিভিশনে নিজের লাখ লাখ ডলার খরচ করেছেন।
এলিজাবেথ ওয়ারেন (৭০): ২০১৩ সালে ম্যাচাচুসেটস থেকে প্রথম নারী সিনেটর নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে তিনি আইন শাস্ত্র পড়াতেন। এর মধ্যে রয়েছে ঋণখেলাপির বিষয়।
অ্যানড্রু ইয়াং (৪৪): তিনি অটোমেশনের হুমকির বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ভেনচার ফর আমেরিকা। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে সৃষ্টি করেছেন বহু কর্মসংস্থান।
আজকের বিতর্কে প্রার্থীরা দাঁড়াবেন বাম থেকে ডান দিকে। এই অর্ডারে সর্ববামে থাকবেন বুকার, গাব্বাড়, ক্লুবুচার, বুটিগিগ, ওয়ারেন, বাইডেন, স্যান্ডারস, হ্যারিস, ইয়াং এবং স্টেয়ার। তবে জরিফে সবচেয়ে বেশি সামনে এগিয়ে থাকা জো বাইডেন এবং এলিজাবেথ ওয়ারেন দাঁড়াবেন মাঝখানে।
ব্যাস, আপনিই দলীয় প্রার্থী। কিসের আবার প্রাইমারি! যুক্তরাষ্ট্রে এমনটা নেই বলেই সম্ভবত তাদেরকে গণতান্ত্রিক বলা হয়। কারণ, গণতান্ত্রিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে একটি দল থেকে একজন প্রার্থীকে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে তবেই মূল পর্বে আসতে হয়।
আগামী বছর সেখানে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কিন্তু প্রধান দুই দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট শিবিরে এর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বিগত নির্বাচনের অব্যবহিত পর থেকেই। বিশেষ করে অনাকাঙ্খিতভাবে ডেমোক্রেট দল থেকে শক্তিধর প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন হেরে যাওয়ার পর পরই আলোচনা চলতে থাকে কে হবেন পরবর্তী ডেমোক্রেট প্রার্থী। সম্ভাব্যরা তাদের টার্গেট ঠিক করে প্রস্তুতি নিতে থাকেন। প্রায় দু’বছর বাকি থাকতেই তারা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেন। ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার। ফলে এবার ডেমোক্রেট দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। এরই মধ্যে তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের বিতর্ক হয়ে গেছে অক্টোবরে। আজ বুধবার আবার আটলান্টায় তাদেরকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সেখানে মঞ্চে বিতর্ক করবেন তারা। স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ওই বিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে। এর সহ-আয়োজক এমএনএনবিসি এবং ওয়াশিংটন পোস্ট।
আজকের বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন শক্তিধর প্রার্থী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ম্যাচাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন, ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স, ইন্ডিয়ানার সাউথ বেন্ড, মেয়র পিটি বুটিগিত ও ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কমলা হ্যারিস। তবে অক্টোবরের ডিবেট বা বিতর্কের চেয়ে এবার কিছুটা পরিবর্তন রয়েছে। গত মাসের বিতর্কে ছিলেন ১২ জন প্রার্থী। কিন্তু আজকের বিতর্কে থাকবেন শুধু ১০ জন। কারণ, নির্বাচনী লড়াই থেকে নিজেকে ১লা নভেম্বর প্রত্যাহার করে নিয়েছেন টেক্সাসের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য বেটো ও’রোর্কি। প্রথমবারের মতো নির্বাচনী বিতর্ক মিস করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহায়ন ও নগর উন্নয়ন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী জুলিয়ান ক্যাস্ত্রো। আবার কিছু নতুন প্রার্থী এই নির্বাচনী দৌড়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন। তার মধ্যে আছেন ম্যাচাচুসেটসের গভর্নর ডেভাল প্যাট্রিক। তিনি মধ্য নভেম্বরের দিকে নির্বাচনী লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। এছাড়া প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন নিউ ইয়র্ক সিটির সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ।
আজ বুধবার (বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল) আটলান্টার টেলার পেরি স্টুডিওতে হবে বিতর্ক। এই চলচ্চিত্র প্রযোজনা বিষয়ক স্টুডিওটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাটা টেলার পেরি। সেখান থেকে বিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার করবে এমএসএনবিসি। সরাসরি অনলাইনে দেখা যাবে এমএসএনবিসি ডট কম এবং ওয়াশিংটন পোস্ট ডট কম-এ। এ ছাড়া এই বিতর্ক দেখা যাবে এনবিসি নিউজে, ওয়াশিংটন পোস্টের ফোন অ্যাপে।
বিতর্কে অংশ নেয়া প্রার্থীদের সম্পর্কে এখানে সংক্ষেপে তথ্য তুলে ধরা হলো:
জো বাইডেন (৭৬): যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস সৃষ্টিকারী সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন। তিনি ১৯৭৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেলাওয়ার রাজ্য থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর।
সিনেটর কোরি বুকার (৫০): কোরি বুকার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি থেকে নির্বাচিত সিনেটর। তিনি ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিওয়ার্কের মেয়র ছিলেন। তারপর থেকে তিনি নিউ জার্সি থেকে প্রথম আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মার্কিন সিনেটর।
পিটি বুটিগিগ (৩৭): ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেভি রিজার্ভের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিলেন বুটিগিগ। ২০১২ সাল থেকে তিনি ইন্ডিয়ানার সাউথ বেন্ড থেকে নির্বাচিত মেয়র। তিনি সমকামী। যদি প্রাইমারি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পান তাহলে তিনিই হবেন বড় কোনো রাজনৈতিক দল থেকে প্রকাশ্যে আসা প্রথম সমকামী প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী।
তুলসি গাব্বাড় (৩৮): ২০১৩ সাল থেকে হাওয়াইয়ের সেকেন্ড ডিস্ট্রিক্ট থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। তিনি প্রথম আমেরিকান সামোয়া এবং কংগ্রেসে প্রথম হিন্দু সদস্য। ইরাক যুদ্ধের একজন যোদ্ধা তিনি।
কমলা হ্যারিস (৫৫): ক্যালিফোর্নিয়ার রাজনীতির মধ্য দিয়ে উত্থান ঘটে তার। তিনি ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সান ফ্রান্সিকোতে ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনিই ক্যালিফোর্নিয়াতে প্রথম নারী এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর।
এমি ক্লুবুচার (৫৯): ২০০৬ সালে মিনেসোটা থেকে প্রথম নারী হিসেবে তিনি সিনেটর নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি মিনেসোটার সবচেয়ে জনবহুল এলাকা হেনেপিন কাউন্টিতে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কাউন্টি এটর্নি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বার্নি স্যান্ডার্স (৭৮): তিনি স্বঘোষিত ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট। ২০০৭ সাল থেকে তিনি ভারমন্টের সিনেটর। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ভারমন্টের কংগ্রেশনাল প্রতিনিধি ছিলেন। ২০১৬ সালে ডেমোক্রেটিক দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন চান। কিন্তু প্রাইমারিতে তিনি হেরে যান হিলারি ক্লিনটনের কাছে।
টম স্টেয়ার (৬২): তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন নেক্সটজেন আমেরিকা অ্যান্ড নিডস টু ইমপিচ নামের রাজনৈতিক গ্রুপ। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রচারণায় ডিজিটাল মাধ্যম ও টেলিভিশনে নিজের লাখ লাখ ডলার খরচ করেছেন।
এলিজাবেথ ওয়ারেন (৭০): ২০১৩ সালে ম্যাচাচুসেটস থেকে প্রথম নারী সিনেটর নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে তিনি আইন শাস্ত্র পড়াতেন। এর মধ্যে রয়েছে ঋণখেলাপির বিষয়।
অ্যানড্রু ইয়াং (৪৪): তিনি অটোমেশনের হুমকির বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ভেনচার ফর আমেরিকা। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে সৃষ্টি করেছেন বহু কর্মসংস্থান।
আজকের বিতর্কে প্রার্থীরা দাঁড়াবেন বাম থেকে ডান দিকে। এই অর্ডারে সর্ববামে থাকবেন বুকার, গাব্বাড়, ক্লুবুচার, বুটিগিগ, ওয়ারেন, বাইডেন, স্যান্ডারস, হ্যারিস, ইয়াং এবং স্টেয়ার। তবে জরিফে সবচেয়ে বেশি সামনে এগিয়ে থাকা জো বাইডেন এবং এলিজাবেথ ওয়ারেন দাঁড়াবেন মাঝখানে।
No comments