জনগণ কেন শাস্তি পাবে? by সাজেদুল হক ও মোহাম্মদ ওমর ফারুক
উনাদের
ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। কখনও কখনও বলা হয়েছে, তারা সরকারের ভেতর
আরেক সরকার। কথা হয়েছে অনেক। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেই পুরনো
ভূমিকাতেই আবার দেখা যাচ্ছে তাদের। শাজাহান খান। সরকারি দলের নেতা। সাবেক
মন্ত্রী।
পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতা। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটিরও প্রধান করা হয়েছিল তাকে। আরেকজন মশিউর রহমান রাঙ্গা। জাতীয় পার্টির মহাসচিব। বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ। কিন্তু তারও সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি পরিবহন মালিকদের সংগঠনের শীর্ষ নেতা।
সড়কে মৃত্যুর মিছিল চলছে অনেকদিন হলো। এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। নেয়া হয়েছে নানা উদ্যেগ। কিন্তু এসব উদ্যোগ কার্যকরে সবসময়ই বাধা এসেছে শ্রমিক-মালিকদের পক্ষ থেকে। আর এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন এই সংগঠন দুটির শীর্ষ নেতারা। বিশেষকরে শাজাহান খান ও মশিউর রহমান রাঙ্গা সবসময়ই ছিলেন আলোচনায়। গত বছর দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে স্কুল শিক্ষার্থীরা। সেসময় শাজাহান খানের একটি হাসিখুশি ছবি ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা শিক্ষার্থীদের আরও বিক্ষুদ্ধ করে তোলে। আন্দোলনের মুখেই সড়ক আইনে সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। নতুন আইন সবেমাত্র কার্যকর শুরু হয়েছে। এ আইনে শাস্তির মাত্রা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ নিয়ে সুযোগ রয়েছে আলোচনার। চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে আদালতেও।
সরকার সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী নেতা হিসেবে শাজাহান খান ও মশিউর রহমান রাঙ্গার সুযোগ রয়েছে সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার। কিন্তু সে পথে তারা হাটেননি। নেয়া হয়েছে সে পুরনো কৌশলই। অঘোষিত ধর্মঘটে জিম্মি করা হয়েছে জনগণকে। নিজেরা গাড়ি পরিচালনা না করেই শ্রমিকরা ক্ষ্যান্ত হননি। যারা রাস্তায় নেমেছেন তাদের নাজেহাল করা হয়েছে। মারধর আর লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন গাড়ি নিয়ে বের হওয়া চালকরা। এতো রীতিমতো নৈরাজ্য। আর এ নৈরাজ্যের পেছনে ইন্দনদাতা হিসেবে দুই শীর্ষ শ্রমিক ও মালিক নেতার দিকেই আঙ্গুল তুলছেন সবাই। শাজাহান খান ও মশিউর রহমান রাঙ্গা স্পষ্টতই ধর্মঘটের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। বিবিসি বাংলাকে তারা জানিয়েছেন, তাদের দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ধর্মঘট বা কর্মবিরতির কোন কর্মসূচি নেয়া হয়নি। কিন্তু তারা একইসঙ্গে এটাও জানিয়েছেন যে, শ্রমিকদের দাবিকে তারা সমর্থন করেন। সরকারের পক্ষ থেকে শুরুতে কঠোর অবস্থানের কথা বলা হলেও গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জনগণকে দুর্ভোগে না ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আপনারা জনগণকে শাস্তি দেবেন না। শাস্তির ভয়ে জনগণকে শাস্তি দেবেন না। জনগণকে দুর্ভোগে ফেলবেন না প্লিজ।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এবারই প্রথম নয়, প্রভাবশালী নেতাদের ইন্ধনে বারবার জনগণকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। যারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত তারা থেকে যাচ্ছেন আইনের উর্ধ্বে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, জনগণ আর কতবার এ ধরনের শাস্তি পাবেন?
এটাতো ধর্মঘট না: শাজাহান খান
ধর্মঘট তো ডাকে নাই। ধর্মঘট হচ্ছে নোটিশ দিয়ে, টাইম দিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে যেটা করে সেটাই হচ্ছে ধর্মঘট। আর এটা হচ্ছে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশ, বিক্ষিপ্তভাবে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছে। প্রচারের অভাব, অপপ্রচার প্রপাগান্ডাসহ এসমস্ত কারণেই এটা হয়েছে। মানবজমিনকে এসব কথা বলেন শাজাহান খান। ধর্মঘটে জনগণের ভোগান্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ থেকে আমরা আরো বেশি ভোগান্তির শিকার। শাস্তি দিবে আমাদের লোকজনদের। তবে আমাদের ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে সমর্থনও করিনি, বিরোধিতাও করিনি। সমর্থন জানাইনি এই জন্য, ফেডারেশনের মিটিং ছাড়া তো আমি সমর্থন করতে পারি না। আমরা ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মিটিং করে তারপর জানাবো। তবে বিরোধিতা না করারও যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কিছু ভুল ভ্রান্তি, ভুল ধারণাসহ আইনের কিছু অসঙ্গতি আছে এসব কারণে তাদের আমরা বিরোধিতাও করিনি।
তিনি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন ,তাদের প্রচারণারওও কিছু ঘাটতি রয়েছে। তাদের লিফলেটগুলোতে দেখা যায়, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যত কঠিন সাজাগুলো আছে সেগুলো তারা উপস্থাপন করেছে। এই আইনে ভালো দিকও তো আছে। সেগুলো কিন্তু কোনো জায়গায় বলা হয়নি। পথচারীদের নিয়ে আইনে যে শাস্তির বিধান রয়েছে সেগুলোও কিন্তু বলা হয়নি। এটা শ্রমিকদের অস্তিত্বের প্রশ্ন, কোন আইনে তাদের যাবজ্জীবন হবে, কোন আইনে তাদের আরও বড় শাস্তি হবে সেটা নিয়ে তো তারা উদ্বিগ্ন হবেই। তাছাড়া এখনো শ্রমিকরা এসব বিষয় নিয়ে পরিষ্কার না। এ জন্যই তারা বিক্ষোভ করেছে। রাস্তায় তো তাদেরও চলতে হবে, এটা তাদের রুটিরুজির ব্যপার। আমাদের দুই দিন মিটিং হবে কাল (আজ) এবং পরশুদিন। মিটিংয়ে বসে তারপর সিদ্ধান্ত হবে এবং আমরা গণমাধ্যমে জানাবো। মিটিং চলাকালীন দুইদিন কি ধর্মঘট থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন , বিষয়টি কালকে ( আজ) ঠিক হবে।
মানুষকে জিম্মি করে ধর্মঘট করবে এটা হতে পারে না: নাসিম
ওদিকে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশের মানুষেকে জিম্মি করে যারা পরিবহন ধর্মঘট করছে তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের জনগণকে যারা জিম্মি করছে, শক্ত হাতে তাদের মোকাবিলা করা হবে। ক্যাসিনোকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের যেমন কোনো ছাড় দেয়া হয়নি, তেমনি এদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। পরিবহন শ্রমিক নেতা ও মালিকদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর এ সদস্য বলেন, কোনো ঘাতক চালক নিজের ইচ্ছেমতো কাউকে হত্যা করবে, এটা দেশের জনগণ মেনে নেবে না। তারা এখন সুযোগ বুঝে ধর্মঘট করছে। যারা দেশ ও দেশের মানুষকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলছে, তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সড়ক পরিবহন আইন হওয়ার আগে শ্রমিক ও মালিকের স্বার্থ রক্ষার জন্য অনেক আলোচনা করা হয়েছে। এরপর এক বছর পর্যালোচনায় রেখে এই আইন পাস করা হয়েছে। এখন জনগণকে জিম্মি করে ধর্মঘট করবে,এটা হতে পারে না। সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি ফালগুনী হামিদের সভাপতিত্বে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতা। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটিরও প্রধান করা হয়েছিল তাকে। আরেকজন মশিউর রহমান রাঙ্গা। জাতীয় পার্টির মহাসচিব। বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ। কিন্তু তারও সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি পরিবহন মালিকদের সংগঠনের শীর্ষ নেতা।
সড়কে মৃত্যুর মিছিল চলছে অনেকদিন হলো। এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। নেয়া হয়েছে নানা উদ্যেগ। কিন্তু এসব উদ্যোগ কার্যকরে সবসময়ই বাধা এসেছে শ্রমিক-মালিকদের পক্ষ থেকে। আর এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন এই সংগঠন দুটির শীর্ষ নেতারা। বিশেষকরে শাজাহান খান ও মশিউর রহমান রাঙ্গা সবসময়ই ছিলেন আলোচনায়। গত বছর দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে স্কুল শিক্ষার্থীরা। সেসময় শাজাহান খানের একটি হাসিখুশি ছবি ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা শিক্ষার্থীদের আরও বিক্ষুদ্ধ করে তোলে। আন্দোলনের মুখেই সড়ক আইনে সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। নতুন আইন সবেমাত্র কার্যকর শুরু হয়েছে। এ আইনে শাস্তির মাত্রা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ নিয়ে সুযোগ রয়েছে আলোচনার। চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে আদালতেও।
সরকার সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী নেতা হিসেবে শাজাহান খান ও মশিউর রহমান রাঙ্গার সুযোগ রয়েছে সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার। কিন্তু সে পথে তারা হাটেননি। নেয়া হয়েছে সে পুরনো কৌশলই। অঘোষিত ধর্মঘটে জিম্মি করা হয়েছে জনগণকে। নিজেরা গাড়ি পরিচালনা না করেই শ্রমিকরা ক্ষ্যান্ত হননি। যারা রাস্তায় নেমেছেন তাদের নাজেহাল করা হয়েছে। মারধর আর লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন গাড়ি নিয়ে বের হওয়া চালকরা। এতো রীতিমতো নৈরাজ্য। আর এ নৈরাজ্যের পেছনে ইন্দনদাতা হিসেবে দুই শীর্ষ শ্রমিক ও মালিক নেতার দিকেই আঙ্গুল তুলছেন সবাই। শাজাহান খান ও মশিউর রহমান রাঙ্গা স্পষ্টতই ধর্মঘটের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। বিবিসি বাংলাকে তারা জানিয়েছেন, তাদের দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ধর্মঘট বা কর্মবিরতির কোন কর্মসূচি নেয়া হয়নি। কিন্তু তারা একইসঙ্গে এটাও জানিয়েছেন যে, শ্রমিকদের দাবিকে তারা সমর্থন করেন। সরকারের পক্ষ থেকে শুরুতে কঠোর অবস্থানের কথা বলা হলেও গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জনগণকে দুর্ভোগে না ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আপনারা জনগণকে শাস্তি দেবেন না। শাস্তির ভয়ে জনগণকে শাস্তি দেবেন না। জনগণকে দুর্ভোগে ফেলবেন না প্লিজ।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এবারই প্রথম নয়, প্রভাবশালী নেতাদের ইন্ধনে বারবার জনগণকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। যারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত তারা থেকে যাচ্ছেন আইনের উর্ধ্বে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, জনগণ আর কতবার এ ধরনের শাস্তি পাবেন?
এটাতো ধর্মঘট না: শাজাহান খান
ধর্মঘট তো ডাকে নাই। ধর্মঘট হচ্ছে নোটিশ দিয়ে, টাইম দিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে যেটা করে সেটাই হচ্ছে ধর্মঘট। আর এটা হচ্ছে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশ, বিক্ষিপ্তভাবে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছে। প্রচারের অভাব, অপপ্রচার প্রপাগান্ডাসহ এসমস্ত কারণেই এটা হয়েছে। মানবজমিনকে এসব কথা বলেন শাজাহান খান। ধর্মঘটে জনগণের ভোগান্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ থেকে আমরা আরো বেশি ভোগান্তির শিকার। শাস্তি দিবে আমাদের লোকজনদের। তবে আমাদের ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে সমর্থনও করিনি, বিরোধিতাও করিনি। সমর্থন জানাইনি এই জন্য, ফেডারেশনের মিটিং ছাড়া তো আমি সমর্থন করতে পারি না। আমরা ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মিটিং করে তারপর জানাবো। তবে বিরোধিতা না করারও যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কিছু ভুল ভ্রান্তি, ভুল ধারণাসহ আইনের কিছু অসঙ্গতি আছে এসব কারণে তাদের আমরা বিরোধিতাও করিনি।
তিনি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন ,তাদের প্রচারণারওও কিছু ঘাটতি রয়েছে। তাদের লিফলেটগুলোতে দেখা যায়, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যত কঠিন সাজাগুলো আছে সেগুলো তারা উপস্থাপন করেছে। এই আইনে ভালো দিকও তো আছে। সেগুলো কিন্তু কোনো জায়গায় বলা হয়নি। পথচারীদের নিয়ে আইনে যে শাস্তির বিধান রয়েছে সেগুলোও কিন্তু বলা হয়নি। এটা শ্রমিকদের অস্তিত্বের প্রশ্ন, কোন আইনে তাদের যাবজ্জীবন হবে, কোন আইনে তাদের আরও বড় শাস্তি হবে সেটা নিয়ে তো তারা উদ্বিগ্ন হবেই। তাছাড়া এখনো শ্রমিকরা এসব বিষয় নিয়ে পরিষ্কার না। এ জন্যই তারা বিক্ষোভ করেছে। রাস্তায় তো তাদেরও চলতে হবে, এটা তাদের রুটিরুজির ব্যপার। আমাদের দুই দিন মিটিং হবে কাল (আজ) এবং পরশুদিন। মিটিংয়ে বসে তারপর সিদ্ধান্ত হবে এবং আমরা গণমাধ্যমে জানাবো। মিটিং চলাকালীন দুইদিন কি ধর্মঘট থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন , বিষয়টি কালকে ( আজ) ঠিক হবে।
মানুষকে জিম্মি করে ধর্মঘট করবে এটা হতে পারে না: নাসিম
ওদিকে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশের মানুষেকে জিম্মি করে যারা পরিবহন ধর্মঘট করছে তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের জনগণকে যারা জিম্মি করছে, শক্ত হাতে তাদের মোকাবিলা করা হবে। ক্যাসিনোকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের যেমন কোনো ছাড় দেয়া হয়নি, তেমনি এদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। পরিবহন শ্রমিক নেতা ও মালিকদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর এ সদস্য বলেন, কোনো ঘাতক চালক নিজের ইচ্ছেমতো কাউকে হত্যা করবে, এটা দেশের জনগণ মেনে নেবে না। তারা এখন সুযোগ বুঝে ধর্মঘট করছে। যারা দেশ ও দেশের মানুষকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলছে, তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সড়ক পরিবহন আইন হওয়ার আগে শ্রমিক ও মালিকের স্বার্থ রক্ষার জন্য অনেক আলোচনা করা হয়েছে। এরপর এক বছর পর্যালোচনায় রেখে এই আইন পাস করা হয়েছে। এখন জনগণকে জিম্মি করে ধর্মঘট করবে,এটা হতে পারে না। সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি ফালগুনী হামিদের সভাপতিত্বে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
No comments