কাবিননামার ৫ নম্বর কলাম নারীর জন্য অপমানজনক by সুহাদা আফরিন
মুসলিম
বিয়ের ক্ষেত্রে কাবিননামার ৫ নম্বর কলামে বিয়ের কনে কুমারী, বিধবা বা
তালাকপ্রাপ্ত কি না তা জানতে চাওয়া হয়। তবে ছেলে বা বরের বেলায় এমন কিছু
উল্লেখ নেই। নারী ও মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এ ধরনের তথ্য দেওয়ার বিষয়টি
নারীর জন্য অপমানজনক এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। বিষয়টি গড়িয়েছে হাইকোর্ট
পর্যন্ত।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পক্ষ থেকে কাবিননামার ৫ নম্বর কলামের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
১৬ জুলাই হাইকোর্টে এ রিটের শুনানি হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবের মতামত জানতে চান। আদালত আজ ২২ জুলাই খতিবকে হাজির করে মতামত জানতে চেয়েছেন।
কাবিননামার এই ফরমটি মুসলিম পারিবারিক বিবাহ আইন ১৯৬১ সালের অরডিন্যান্সের আলোকে করা হয়েছে।
ব্লাস্টের পক্ষে শুনানিতে থাকা আইনুন নাহার সিদ্দিকা বললেন, ‘একজন মেয়ে কুমারী, বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত কি না, এটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এটা কাবিননামায় লেখার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। আমাদের কাবিননামায় ছেলেদের এ রকম কোনো কিছু লিখতে হয় না। শুধু নারীদের বেলাতেই এটা করা হয়েছে। তাই এটি চরম বৈষম্যমূলক। নারীদের জন্য অপমানজনক তো বটেই।’
আইনুন নাহার সিদ্দিকা বললেন, ‘মুসলিম বিবাহ হচ্ছে একটা চুক্তি। দুপক্ষ সমান হলে তখনই একটা চুক্তি হয়। সেখানে একজনের ব্যক্তিগত তথ্য কেন কাবিননামার মতো একটা পাবলিক ডকুমেন্টসে দেওয়া হবে? ছেলেদের বেলায় দিতে হচ্ছে না। তাই এটি জেন্ডার বৈষম্যের একটি উদাহরণ। এই যুগেও কাবিননামায় এটি বিদ্যমান থাকবে তা মানা যায় না।’
ব্লাস্টের আরেক আইনজীবী বেলায়েত হোসেন ৫ নম্বর কলামের বিষয়ে আলেমদের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। যেখানে আলেমরাই বলেছেন, কাবিননামায় এটা রাখার কোনো দরকার নেই। আলেমদের ইতিবাচক মন্তব্য পাওয়া গেছে। এখন শুধু চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষা।
দেশের বাইরের উদাহরণ দিয়ে আইনুন নাহার বললেন, পাকিস্তান ও ব্রিটেনের ফরমে ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই জানাতে হয় বিবাহিত না অবিবাহিত। কিন্তু কুমারী বা তালাকপ্রাপ্ত কিনা তা জানাতে হয় না। ব্লাস্টের পক্ষ থেকে এই বৈষম্য নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মকর্ত সাজিয়া আফরিন বললেন, কাবিননামার এই কলামের কোনো যৌক্তিকতা নেই। ছেলে বা মেয়ে যেকোনো মানুষের জন্যই এটা অসম্মানজনক।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বললেন, এই যুগেও কাবিননামায় এ ধরনের কথা লেখা থাকার বিষয়টি খুব অপমানজনক। সভ্য দেশে এগুলো থাকে না। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং চরম বৈষম্যমূলক।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পক্ষ থেকে কাবিননামার ৫ নম্বর কলামের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
১৬ জুলাই হাইকোর্টে এ রিটের শুনানি হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবের মতামত জানতে চান। আদালত আজ ২২ জুলাই খতিবকে হাজির করে মতামত জানতে চেয়েছেন।
কাবিননামার এই ফরমটি মুসলিম পারিবারিক বিবাহ আইন ১৯৬১ সালের অরডিন্যান্সের আলোকে করা হয়েছে।
ব্লাস্টের পক্ষে শুনানিতে থাকা আইনুন নাহার সিদ্দিকা বললেন, ‘একজন মেয়ে কুমারী, বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত কি না, এটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এটা কাবিননামায় লেখার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। আমাদের কাবিননামায় ছেলেদের এ রকম কোনো কিছু লিখতে হয় না। শুধু নারীদের বেলাতেই এটা করা হয়েছে। তাই এটি চরম বৈষম্যমূলক। নারীদের জন্য অপমানজনক তো বটেই।’
আইনুন নাহার সিদ্দিকা বললেন, ‘মুসলিম বিবাহ হচ্ছে একটা চুক্তি। দুপক্ষ সমান হলে তখনই একটা চুক্তি হয়। সেখানে একজনের ব্যক্তিগত তথ্য কেন কাবিননামার মতো একটা পাবলিক ডকুমেন্টসে দেওয়া হবে? ছেলেদের বেলায় দিতে হচ্ছে না। তাই এটি জেন্ডার বৈষম্যের একটি উদাহরণ। এই যুগেও কাবিননামায় এটি বিদ্যমান থাকবে তা মানা যায় না।’
ব্লাস্টের আরেক আইনজীবী বেলায়েত হোসেন ৫ নম্বর কলামের বিষয়ে আলেমদের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। যেখানে আলেমরাই বলেছেন, কাবিননামায় এটা রাখার কোনো দরকার নেই। আলেমদের ইতিবাচক মন্তব্য পাওয়া গেছে। এখন শুধু চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষা।
দেশের বাইরের উদাহরণ দিয়ে আইনুন নাহার বললেন, পাকিস্তান ও ব্রিটেনের ফরমে ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই জানাতে হয় বিবাহিত না অবিবাহিত। কিন্তু কুমারী বা তালাকপ্রাপ্ত কিনা তা জানাতে হয় না। ব্লাস্টের পক্ষ থেকে এই বৈষম্য নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মকর্ত সাজিয়া আফরিন বললেন, কাবিননামার এই কলামের কোনো যৌক্তিকতা নেই। ছেলে বা মেয়ে যেকোনো মানুষের জন্যই এটা অসম্মানজনক।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বললেন, এই যুগেও কাবিননামায় এ ধরনের কথা লেখা থাকার বিষয়টি খুব অপমানজনক। সভ্য দেশে এগুলো থাকে না। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং চরম বৈষম্যমূলক।
No comments