সমাজ এবং আমাদের দায়িত্ববোধ by মাহবুব এ রহমান
বিশ্ববিখ্যাত
দার্শনিক এরিস্টটল বলেছেন ‘মানুষ সামাজিক জীব’। মানুষ কখনো একা বাস করতে
পারে না। মানবসভ্যতার আদিকাল থেকেই মানুষ একে অন্যের সঙ্গে মিলেমিশে বা
সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে সমাজের। কিছুসংখ্যক মানুষ
একই উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে একত্রিত হয়ে বসবাসের নামই হলো সমাজ।
সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার সমাজের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে সামাজিক সম্পর্কের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ‘যে সব সামাজিক সম্পর্কের মাধ্যমে আমরা জীবনধারণ করি, সেসব সম্পর্কের সংগঠিত রূপ হলো সমাজ।’
সমাজবিজ্ঞানী জিসবার্টের সংজ্ঞানুযায়ী, ‘সমাজ হলো সামাজিক সম্পর্কের জটিল জাল, যে সম্পর্কের দ্বারা প্রত্যেক মানুষ তার সঙ্গীদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত’ মোটকথা আমরা এসব কথা বিশ্লেষণ করলে পাই যে, মানুষের পক্ষে একা বাস করা বা জীবনযাপন করা সম্ভব নয়। ফলে ধীরে ধীরে মানুষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য সমাজ সভ্যতা গড়ে তুলেছে। সমাজে মানুষ এমন সৌহার্দ্য আর সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকা উচিত যাতে একজনের সুখে-দুখে অন্যজন অংশীদার হতে পারে। একজনের বিপদে অন্যজন পাশে এসে সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে পারে। সমাজের এবং দেশের একজন সুনাগরিক হতে হলে সমাজের প্রতি রয়েছে দায়-দায়িত্ব বা কর্তব্যবোধ। একজন সুনাগরিক শুধু নিজের জন্য বা নিজের ভালোর জন্য চিন্তা করেন না, শুধু নিজের অগ্রগতি কিংবা উন্নতি চিন্তা করে না বরং নিজের অগ্রগতির পাশাপাশি সমাজের অন্য মানুষদেরকেও এগিয়ে নেওয়ার জোর প্রচেষ্টা চালান। পুরো সমাজকে এগিয়ে নিতে, উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে চেষ্টা করেন। আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো সমাজে বসবাস করি। প্রত্যেকই কোনো না কোনো সমাজের নাগরিক। একটি সমাজের নাগরিক হিসেবে সেই সমাজের প্রতি আমাদেরও রয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সামাজিক দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ। সমাজের একজন নাগরিক হিসেবে সবার উচিত শুধু নিজের কথা না ভেবে, শুধু নিজের ভালোর কথা চিন্তা না করে সমাজের ভালো চাওয়া এবং সমাজের উন্নতি কামনা করা। অনেক সময় সমাজের সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে নিজের একার ভালো বা উন্নতি বিসর্জন দিতে হয়। সমাজের জন্য ত্যাগ করতে হয়। তবেই একজন সুনাগরিক হওয়া সম্ভব। নচেত্ আমরা যে যেই সমাজেই বসবাস করি না কেন সমাজের প্রতি যদি দায়বোধ না থাকে তাহলে কোনোক্রমেই একজন সুনাগরিক কিংবা সামাজিক হওয়া সম্ভব নয়। একটি সমাজে সব ধরনের লোক থাকে। উঁচু-নিচু, চেনা-অচেনা কিংবা বিত্তবান বা বিত্তহীন। সকলের প্রতি বিবেক জাগ্রত রেখে কাজ করে যেতে পারলে তবেই সমাজের উন্নতি সম্ভব। সমাজের একজন নাগরিক হিসেবে সমাজের সবাইকে নিয়ে ভাবা উচিত। সবার উন্নতি এবং মঙ্গলের কথা চিন্তা করা কর্তব্য। নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যদেরও এগিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করা উচিত। সমাজের সকল মানুষ এগিয়ে গেলে তবেই সমাজ এগুবে। সমাজের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখার মাধ্যমেই আমাদের পক্ষে একজন প্রকৃত সামাজিক হয়ে ওঠা সম্ভব।
>>>লেখক :শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে
সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার সমাজের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে সামাজিক সম্পর্কের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ‘যে সব সামাজিক সম্পর্কের মাধ্যমে আমরা জীবনধারণ করি, সেসব সম্পর্কের সংগঠিত রূপ হলো সমাজ।’
সমাজবিজ্ঞানী জিসবার্টের সংজ্ঞানুযায়ী, ‘সমাজ হলো সামাজিক সম্পর্কের জটিল জাল, যে সম্পর্কের দ্বারা প্রত্যেক মানুষ তার সঙ্গীদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত’ মোটকথা আমরা এসব কথা বিশ্লেষণ করলে পাই যে, মানুষের পক্ষে একা বাস করা বা জীবনযাপন করা সম্ভব নয়। ফলে ধীরে ধীরে মানুষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য সমাজ সভ্যতা গড়ে তুলেছে। সমাজে মানুষ এমন সৌহার্দ্য আর সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকা উচিত যাতে একজনের সুখে-দুখে অন্যজন অংশীদার হতে পারে। একজনের বিপদে অন্যজন পাশে এসে সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে পারে। সমাজের এবং দেশের একজন সুনাগরিক হতে হলে সমাজের প্রতি রয়েছে দায়-দায়িত্ব বা কর্তব্যবোধ। একজন সুনাগরিক শুধু নিজের জন্য বা নিজের ভালোর জন্য চিন্তা করেন না, শুধু নিজের অগ্রগতি কিংবা উন্নতি চিন্তা করে না বরং নিজের অগ্রগতির পাশাপাশি সমাজের অন্য মানুষদেরকেও এগিয়ে নেওয়ার জোর প্রচেষ্টা চালান। পুরো সমাজকে এগিয়ে নিতে, উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে চেষ্টা করেন। আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো সমাজে বসবাস করি। প্রত্যেকই কোনো না কোনো সমাজের নাগরিক। একটি সমাজের নাগরিক হিসেবে সেই সমাজের প্রতি আমাদেরও রয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সামাজিক দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ। সমাজের একজন নাগরিক হিসেবে সবার উচিত শুধু নিজের কথা না ভেবে, শুধু নিজের ভালোর কথা চিন্তা না করে সমাজের ভালো চাওয়া এবং সমাজের উন্নতি কামনা করা। অনেক সময় সমাজের সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে নিজের একার ভালো বা উন্নতি বিসর্জন দিতে হয়। সমাজের জন্য ত্যাগ করতে হয়। তবেই একজন সুনাগরিক হওয়া সম্ভব। নচেত্ আমরা যে যেই সমাজেই বসবাস করি না কেন সমাজের প্রতি যদি দায়বোধ না থাকে তাহলে কোনোক্রমেই একজন সুনাগরিক কিংবা সামাজিক হওয়া সম্ভব নয়। একটি সমাজে সব ধরনের লোক থাকে। উঁচু-নিচু, চেনা-অচেনা কিংবা বিত্তবান বা বিত্তহীন। সকলের প্রতি বিবেক জাগ্রত রেখে কাজ করে যেতে পারলে তবেই সমাজের উন্নতি সম্ভব। সমাজের একজন নাগরিক হিসেবে সমাজের সবাইকে নিয়ে ভাবা উচিত। সবার উন্নতি এবং মঙ্গলের কথা চিন্তা করা কর্তব্য। নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যদেরও এগিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করা উচিত। সমাজের সকল মানুষ এগিয়ে গেলে তবেই সমাজ এগুবে। সমাজের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখার মাধ্যমেই আমাদের পক্ষে একজন প্রকৃত সামাজিক হয়ে ওঠা সম্ভব।
>>>লেখক :শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে
No comments