কাশ্মীরের পর পরবর্তী শিকার নেপাল? by আলী সুখানভের
সৌভাগ্য
বা দুর্ভাগ্য যাই হোক না কেন এই অত্যন্ত সভ্য ও মার্জিত বিশ্বে ওইসব দেশ
বা জাতিকে বেশি জ্ঞানী মনে করা হয় যারা প্রাণঘাতী যুদ্ধাস্ত্রের চেয়ে
বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী প্রপাগান্ডা মেশিনের পেছনে বেশি ব্যয় করে।
প্রপাগান্ডা এমন একটি জিনিস যা বাস্তবতা ব্যাপকভাবে আড়াল করে যা কখনো
ঘটেইনি, তা ফলাও করে প্রচার করতে সহায়তা করে। এই উদ্দেশ্যে কলম কেনা হয়,
কথা বিক্রি করা হয়। বুদ্ধিমান তারাই যারা কিছুই করে না, তবে সম্ভব সব ধরনের
চিৎকার চেঁচামেচি করে, কান ঝালাপালা শব্দে কথা বলে, অন্যদের নীরব করানোর
মাধ্যমে সহানুভূতি আদায় করে জয়ের সাফল্য লাভ করে। প্রতিযোগিতায় জয়ের এটিই
সবচেয়ে বিজ্ঞোজনোচিত পথ। সংক্ষেপে বলা যায়, চিৎকারই হলো বর্তমান দৃশ্যপটে
সবচেয়ে বড় হাতিয়ার, সবচেয়ে সফল হাতিয়ারও। গোয়েন্দা কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দল ও
থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলো প্রপাগান্ডা চালাতে বিভিন্ন দর্শন প্রচার করে থাকে।
আরো ভালোর আশা
প্রপাগান্ডা থেকে ফায়দা হাসিলের সবচেয়ে নজির হলো ভারত। প্রতি বছর এই দেশটিতে ধর্মের নামে নৃশংসভাবে শত শত লোককে হত্যা করা হয়। ভারতের সমাজে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। শিখ, খ্রিস্টান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা সবসময় ঘৃণা আর অবিচারের মেঘের আড়ালে থাকে। নিম্নবর্ণের হিন্দুদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অথচ প্রপাগান্ডায় বলা হয়, ভারত হলো সেক্যুলার দেশ। তারপর আরেকটি যাদুকরী স্লোগান হলো ‘শাইনিং ইন্ডিয়া’। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতি, শিক্ষার মতো ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও উন্নতির দাবি করা হয়। কিন্তু মানাবাধিকারের ব্যাপারে তা করা হয় অতি সামান্যই। ‘শাইনিং ইন্ডিয়ার’ কাশ্মীরে নিয়মিত লঙ্ঘন করা হয় মানবাধিকার। সেইসাথে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি ভারতের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির দিকেও তাকানো যেতে পারে।
সম্প্রতি এন পি উপাধ্যায়ের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে নেপালের বিভিন্ন পত্রিকায়। এর শিরোনাম ছিল ‘কাশ্মীরের পর নেপালই কি ভারতের পরবর্তী শিকার?’ এতে বলা হয়, রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস উইং (র-কে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে জঘন্য সন্ত্রাসী মেশিন হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আর এই সংগঠনটির উদগাতা ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার এ যাবতকালের সবচেয়ে ঔদ্ধত্য ও অগণতান্ত্রিক নারী ইন্দিরা গান্ধী। নেপালের বিভিন্ন দেশপ্রেমিক সার্কেলের ‘টক অব দি টাউন’ হলো র’-এর প্রধানের ২০১৯ সালের ২০ জুলাই কাঠমান্ডুতে এসে পৌঁছানো। তার তিন দিনের সফরের বেশির ভাগ সময় তিনি কাটিয়েছেন কাঠমান্ডুতেই। তবে এই তিন দিনেই তিনি পুরা দেশকে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল করে ফেলেছেন। বলা হয়ে থাকে, এই তিন দিনে তিনি ভারতের হয়ে লেখালেখি ও বক্তব্য রাখার জন্য অনেক লেখক ও টিভি অ্যাঙ্করকে কিনে ফেলেছেন। নেপালে সাধারণ অভিমত হলো এই যে মাওবাদী অ্যাক্টিভিস্টদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে নেপালে সন্ত্রাস রফতানি করতে চাইছে ভারত। নেপালি সমাজে ভারতের প্রভাব রুখে দেয়ার জন্য নেপালের দেশপ্রেমিক মহল সর্বাত্মক চেষ্টা করলেও ‘র’ সফল হয়েছে তাদের জঘন্য লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল করতে দেশটিতে একটি খুবই শক্তিশালী নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করতে।
নেপালে ভারতের হস্তক্ষেপ নতুন কিছু নয়। ২০১২ সালের অক্টোবরে শ্রীজনা শ্রেষ্ঠর বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয় ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যালার্ট (সাধারণভাবে ডিএসএ নামে পরিচিত) ম্যাগাজিনে। এই বিশ্লেষণে বলা হয়, এটা সত্য যে ভারত-নেপালের মধ্যকার ছিদ্রযুক্ত সীমান্ত মাওবাদী বিদ্রোহীদের এক দশক ধরে টিকে থাকতে সহায়তা করেছিল। আর এটাও সবার জানা যে নেপালি বিদ্রোহীরা ওই সময় ভারতের কাছ থেকে আশ্রয় ও নানা ধরনের সহায়তা পেয়েছিল। ভারতের কাছ থেকে নেপালি মাওবাদীরা কেমন সহায়তা পেত, তা নিয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্লেষণে নেপালের এক নিরাপত্তা বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে আরো বলা হয়, রাজতন্ত্র উৎখাতের জন্য মাওবাদীদের হাতিয়ার মনে করত ভারত। ধারণা করা হতো যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মাওবাদীরা সবসময় ব্যবহৃত হতো।
ভৌগোলিকভঅবে নেপাল ভূবেষ্টিত দেশ। এটি প্রধানত হিমালয়ের কোলে হলেও ইন্দো-গাঙ্গেয় অববাহিকায় অবস্থিত। নেপালের জনসংখ্যা প্রায় ২৬.৪ মিলিয়ন, এটি জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ৪৮তম বৃহত্তম দেশ, আয়তনের দিক থেকে ৯৩তম দেশ। উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী, নেপালের উত্তর সীমান্তে রয়েছে চীন, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে আছে ভারত। দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মাত্র ২৭ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ অবস্থিত। সিকিমের কারণে ভুটানের সাথে তার সীমান্ত নেই। বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০টি পর্বতের মধ্যে আটটিই আছে নেপালে। এর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টও রয়েছে। তিন দিক থেকে এই সুন্দর দেশটি ভারতের দ্বারা অবরুদ্ধ হওয়ায় নেপালের লোকজন দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের ওপর নির্ভরশীল। ভারত থেকেই দেশটি তার প্রয়োজনীয় পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য মৌলিক সরবরাহ নিয়ে আসে। প্রতিটি স্বাভাবিক দিনে পেট্রোলিয়ামজাতীয় সামগ্রী বোঝাই ৩০০টি ট্রাক ভারত থেকে নেপালে প্রবেশ করে। ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রীর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। এসব সরবরাহ অব্যাহত থাকবে না বন্ধ হবে তা পুরোপুরি নির্ভর করে ভারতের ওপর। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে নেপাল সবচেয়ে ভয়াবহ অবরোধের মুখে পড়ে। ভারত দুই মাস ধরে অবরোধ আরোপ করায় মারাত্মক জ্বালানি ও ওষুধের সঙ্কটে পড়ে নেপাল। সংক্ষেপে বলা যায়, ভারতীয় রুট দিয়ে নেপালে সব সরবরাহে অবরোধ আরোপ করে নেপালকে বিরানভূমিতে পরিণত করার অবস্থায় আছে ভারত। ভারতের হাতে এটিই সবচেয়ে বড় অস্ত্র এবং সম্ভব সব উপায়ে ভারত এই হাতিয়ারটি কাজে লাগাচ্ছে।
নেপালের সাথে উপনিবেশের মতো আচরণ করছে ভারত। ভারতের আধিপত্যমূলক নক্সা সন্দেহাতীতভাবে নেপালের সার্বভৌমত্বের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক হুমকি। প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে যে কাশ্মীরে সম্প্রতি যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত, তা নেপালেও প্রয়োগ করা হতে পারে। অনেকে মনে করতে পারেন, আইনগত ও সাংবিধানিকভাবে ভারতের পক্ষে প্রতিবেশী দেশের স্বাধীন মর্যাদা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। কিন্তু শক্তি বলে কথা। অধিকন্তু কাশ্মীরের ব্যাপারে ভারতের অন্যায় পদক্ষেপের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্মম নীরবতা মোদি সরকারকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে সাহসী করবে। ফলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, সেজন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
আরো ভালোর আশা
প্রপাগান্ডা থেকে ফায়দা হাসিলের সবচেয়ে নজির হলো ভারত। প্রতি বছর এই দেশটিতে ধর্মের নামে নৃশংসভাবে শত শত লোককে হত্যা করা হয়। ভারতের সমাজে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। শিখ, খ্রিস্টান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা সবসময় ঘৃণা আর অবিচারের মেঘের আড়ালে থাকে। নিম্নবর্ণের হিন্দুদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অথচ প্রপাগান্ডায় বলা হয়, ভারত হলো সেক্যুলার দেশ। তারপর আরেকটি যাদুকরী স্লোগান হলো ‘শাইনিং ইন্ডিয়া’। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতি, শিক্ষার মতো ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও উন্নতির দাবি করা হয়। কিন্তু মানাবাধিকারের ব্যাপারে তা করা হয় অতি সামান্যই। ‘শাইনিং ইন্ডিয়ার’ কাশ্মীরে নিয়মিত লঙ্ঘন করা হয় মানবাধিকার। সেইসাথে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি ভারতের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির দিকেও তাকানো যেতে পারে।
সম্প্রতি এন পি উপাধ্যায়ের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে নেপালের বিভিন্ন পত্রিকায়। এর শিরোনাম ছিল ‘কাশ্মীরের পর নেপালই কি ভারতের পরবর্তী শিকার?’ এতে বলা হয়, রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস উইং (র-কে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে জঘন্য সন্ত্রাসী মেশিন হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আর এই সংগঠনটির উদগাতা ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার এ যাবতকালের সবচেয়ে ঔদ্ধত্য ও অগণতান্ত্রিক নারী ইন্দিরা গান্ধী। নেপালের বিভিন্ন দেশপ্রেমিক সার্কেলের ‘টক অব দি টাউন’ হলো র’-এর প্রধানের ২০১৯ সালের ২০ জুলাই কাঠমান্ডুতে এসে পৌঁছানো। তার তিন দিনের সফরের বেশির ভাগ সময় তিনি কাটিয়েছেন কাঠমান্ডুতেই। তবে এই তিন দিনেই তিনি পুরা দেশকে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল করে ফেলেছেন। বলা হয়ে থাকে, এই তিন দিনে তিনি ভারতের হয়ে লেখালেখি ও বক্তব্য রাখার জন্য অনেক লেখক ও টিভি অ্যাঙ্করকে কিনে ফেলেছেন। নেপালে সাধারণ অভিমত হলো এই যে মাওবাদী অ্যাক্টিভিস্টদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে নেপালে সন্ত্রাস রফতানি করতে চাইছে ভারত। নেপালি সমাজে ভারতের প্রভাব রুখে দেয়ার জন্য নেপালের দেশপ্রেমিক মহল সর্বাত্মক চেষ্টা করলেও ‘র’ সফল হয়েছে তাদের জঘন্য লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল করতে দেশটিতে একটি খুবই শক্তিশালী নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করতে।
নেপালে ভারতের হস্তক্ষেপ নতুন কিছু নয়। ২০১২ সালের অক্টোবরে শ্রীজনা শ্রেষ্ঠর বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয় ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যালার্ট (সাধারণভাবে ডিএসএ নামে পরিচিত) ম্যাগাজিনে। এই বিশ্লেষণে বলা হয়, এটা সত্য যে ভারত-নেপালের মধ্যকার ছিদ্রযুক্ত সীমান্ত মাওবাদী বিদ্রোহীদের এক দশক ধরে টিকে থাকতে সহায়তা করেছিল। আর এটাও সবার জানা যে নেপালি বিদ্রোহীরা ওই সময় ভারতের কাছ থেকে আশ্রয় ও নানা ধরনের সহায়তা পেয়েছিল। ভারতের কাছ থেকে নেপালি মাওবাদীরা কেমন সহায়তা পেত, তা নিয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্লেষণে নেপালের এক নিরাপত্তা বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে আরো বলা হয়, রাজতন্ত্র উৎখাতের জন্য মাওবাদীদের হাতিয়ার মনে করত ভারত। ধারণা করা হতো যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মাওবাদীরা সবসময় ব্যবহৃত হতো।
ভৌগোলিকভঅবে নেপাল ভূবেষ্টিত দেশ। এটি প্রধানত হিমালয়ের কোলে হলেও ইন্দো-গাঙ্গেয় অববাহিকায় অবস্থিত। নেপালের জনসংখ্যা প্রায় ২৬.৪ মিলিয়ন, এটি জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ৪৮তম বৃহত্তম দেশ, আয়তনের দিক থেকে ৯৩তম দেশ। উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী, নেপালের উত্তর সীমান্তে রয়েছে চীন, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে আছে ভারত। দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মাত্র ২৭ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ অবস্থিত। সিকিমের কারণে ভুটানের সাথে তার সীমান্ত নেই। বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০টি পর্বতের মধ্যে আটটিই আছে নেপালে। এর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টও রয়েছে। তিন দিক থেকে এই সুন্দর দেশটি ভারতের দ্বারা অবরুদ্ধ হওয়ায় নেপালের লোকজন দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের ওপর নির্ভরশীল। ভারত থেকেই দেশটি তার প্রয়োজনীয় পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য মৌলিক সরবরাহ নিয়ে আসে। প্রতিটি স্বাভাবিক দিনে পেট্রোলিয়ামজাতীয় সামগ্রী বোঝাই ৩০০টি ট্রাক ভারত থেকে নেপালে প্রবেশ করে। ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রীর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। এসব সরবরাহ অব্যাহত থাকবে না বন্ধ হবে তা পুরোপুরি নির্ভর করে ভারতের ওপর। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে নেপাল সবচেয়ে ভয়াবহ অবরোধের মুখে পড়ে। ভারত দুই মাস ধরে অবরোধ আরোপ করায় মারাত্মক জ্বালানি ও ওষুধের সঙ্কটে পড়ে নেপাল। সংক্ষেপে বলা যায়, ভারতীয় রুট দিয়ে নেপালে সব সরবরাহে অবরোধ আরোপ করে নেপালকে বিরানভূমিতে পরিণত করার অবস্থায় আছে ভারত। ভারতের হাতে এটিই সবচেয়ে বড় অস্ত্র এবং সম্ভব সব উপায়ে ভারত এই হাতিয়ারটি কাজে লাগাচ্ছে।
নেপালের সাথে উপনিবেশের মতো আচরণ করছে ভারত। ভারতের আধিপত্যমূলক নক্সা সন্দেহাতীতভাবে নেপালের সার্বভৌমত্বের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক হুমকি। প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে যে কাশ্মীরে সম্প্রতি যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত, তা নেপালেও প্রয়োগ করা হতে পারে। অনেকে মনে করতে পারেন, আইনগত ও সাংবিধানিকভাবে ভারতের পক্ষে প্রতিবেশী দেশের স্বাধীন মর্যাদা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। কিন্তু শক্তি বলে কথা। অধিকন্তু কাশ্মীরের ব্যাপারে ভারতের অন্যায় পদক্ষেপের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্মম নীরবতা মোদি সরকারকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে সাহসী করবে। ফলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, সেজন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
No comments