সৌদি ও আমিরাতের ষড়যন্ত্র: ঐক্যবদ্ধ ইয়েমেন বলতে কিছু থাকবে না
সংযুক্ত
আরব আমিরাত একদিকে ইয়েমেনকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করছে অন্যদিকে
সৌদি আরব ইয়েমেনের বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ অব্যাহত রেখেছে।
ইয়েমেনের ব্যাপারে শুরু থেকেই আমিরাতের প্রধান টার্গেট হচ্ছে ওই দেশটিকে ভেঙে একটি অংশের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। আমিরাত বর্তমান ইয়েমেনকে ভেঙে ১৯৯০ এর দশকের আগের অবস্থায় অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণ ইয়েমেনে বিভক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৭ সালের মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্তর্বর্তী পরিষদ গঠন করে এবং এডেন বন্দরের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক গভর্নর ইদ্রিস আয্ যাবিদিকে এ পরিষদের প্রধান করা হয়। ইয়েমেনের পদত্যাগী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মানসুর হাদি ইদ্রিস আয্ যাদিবিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন।
বর্তমানে আমিরাত সরকার তাদের অনুগত ব্যক্তিদেরকে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী এডেনের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমিরাত যুবরাজের সাবেক উপদেষ্টা আব্দুল হক আব্দুল্লাহ বলেছেন, তার দেশ ইয়েমেনকে বিভক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি গত সোমবার টুইটার বার্তায় বলেছেন, "আজ থেকে ঐক্যবদ্ধ ইয়েমেন বলতে আর কিছু থাকবে না।"
আমিরাতের যুবরাজের সাবেক এ উপদেষ্টার এ ধরণের বক্তব্যের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ইয়েমেনের তথ্যমন্ত্রী মোয়াম্মার আল এরিয়ানা বলেছেন, "ইয়েমেনের ভৌগোলিক অবস্থান আলোচনার বিষয় হতে পারে না। এটা আমাদের জন্য আত্মমর্যাদার প্রশ্ন এবং ইয়েমেনের জনগণ তা মেনে নেবে না।" ইয়েমেনের একজন আইনজীবী মোহাম্মদ আল মাসুরি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, আমিরাতের ওই সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তারা ইয়েমেনকে খণ্ড-বিখণ্ড করার জন্যই এসেছে।
এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত যখন ইয়েমেনকে উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে তখন সৌদি আরব ইয়েমেনের আবাসিক এলাকায় ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ অব্যাহত রেখেছে। গত কয়েকদিনের হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। উত্তর ইয়েমেনের সাদা প্রদেশের একটি বাজারে সৌদি কামানের গোলার আঘাতে প্রায় ১৩ জন নিহত এবং ১১টি শিশুসহ বহু লোক আহত হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সৌদি আরব আবাসিক ও বাজার এলাকায় নিরীহ মানুষ হত্যা করে আসলে জনগণকে আনসারুল্লাহ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। তবে ইয়েমেনের ব্যাপারে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে স্বার্থগত দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এরই মধ্যে ইয়েমেন থেকে সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমিরাত। এ অবস্থায় সৌদি আরব বিমান হামলা চালিয়ে প্রমাণ করতে চায় তারা আমিরাতের সহযোগিতা ছাড়াই ইয়েমেনকে পরাজিত করতে কিংবা দখল করতে সক্ষম।
আমিরাত এমন সময় ইয়েমেনকে খণ্ডবিখণ্ড করার চেষ্টা করছে যখন সম্প্রতি তারা ইয়েমেন থেকে সেনা প্রত্যাহার কিংবা সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আমিরাত তাদের অনুগত মিলিশিয়া বাহিনীদেরকে দিয়েই ইয়েমেনকে বিভক্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়। অন্যদিকে সৌদি আরব বিমান হামলা বাড়িয়ে দিলেও ইয়েমেনে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় তারা এই যুদ্ধের চোরাবালি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
ইয়েমেনের ব্যাপারে শুরু থেকেই আমিরাতের প্রধান টার্গেট হচ্ছে ওই দেশটিকে ভেঙে একটি অংশের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। আমিরাত বর্তমান ইয়েমেনকে ভেঙে ১৯৯০ এর দশকের আগের অবস্থায় অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণ ইয়েমেনে বিভক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৭ সালের মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্তর্বর্তী পরিষদ গঠন করে এবং এডেন বন্দরের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক গভর্নর ইদ্রিস আয্ যাবিদিকে এ পরিষদের প্রধান করা হয়। ইয়েমেনের পদত্যাগী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মানসুর হাদি ইদ্রিস আয্ যাদিবিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন।
বর্তমানে আমিরাত সরকার তাদের অনুগত ব্যক্তিদেরকে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী এডেনের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমিরাত যুবরাজের সাবেক উপদেষ্টা আব্দুল হক আব্দুল্লাহ বলেছেন, তার দেশ ইয়েমেনকে বিভক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি গত সোমবার টুইটার বার্তায় বলেছেন, "আজ থেকে ঐক্যবদ্ধ ইয়েমেন বলতে আর কিছু থাকবে না।"
আমিরাতের যুবরাজের সাবেক এ উপদেষ্টার এ ধরণের বক্তব্যের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ইয়েমেনের তথ্যমন্ত্রী মোয়াম্মার আল এরিয়ানা বলেছেন, "ইয়েমেনের ভৌগোলিক অবস্থান আলোচনার বিষয় হতে পারে না। এটা আমাদের জন্য আত্মমর্যাদার প্রশ্ন এবং ইয়েমেনের জনগণ তা মেনে নেবে না।" ইয়েমেনের একজন আইনজীবী মোহাম্মদ আল মাসুরি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, আমিরাতের ওই সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তারা ইয়েমেনকে খণ্ড-বিখণ্ড করার জন্যই এসেছে।
এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত যখন ইয়েমেনকে উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে তখন সৌদি আরব ইয়েমেনের আবাসিক এলাকায় ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ অব্যাহত রেখেছে। গত কয়েকদিনের হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। উত্তর ইয়েমেনের সাদা প্রদেশের একটি বাজারে সৌদি কামানের গোলার আঘাতে প্রায় ১৩ জন নিহত এবং ১১টি শিশুসহ বহু লোক আহত হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সৌদি আরব আবাসিক ও বাজার এলাকায় নিরীহ মানুষ হত্যা করে আসলে জনগণকে আনসারুল্লাহ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। তবে ইয়েমেনের ব্যাপারে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে স্বার্থগত দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এরই মধ্যে ইয়েমেন থেকে সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমিরাত। এ অবস্থায় সৌদি আরব বিমান হামলা চালিয়ে প্রমাণ করতে চায় তারা আমিরাতের সহযোগিতা ছাড়াই ইয়েমেনকে পরাজিত করতে কিংবা দখল করতে সক্ষম।
আমিরাত এমন সময় ইয়েমেনকে খণ্ডবিখণ্ড করার চেষ্টা করছে যখন সম্প্রতি তারা ইয়েমেন থেকে সেনা প্রত্যাহার কিংবা সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আমিরাত তাদের অনুগত মিলিশিয়া বাহিনীদেরকে দিয়েই ইয়েমেনকে বিভক্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়। অন্যদিকে সৌদি আরব বিমান হামলা বাড়িয়ে দিলেও ইয়েমেনে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় তারা এই যুদ্ধের চোরাবালি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
No comments