১০ বছরের শিশুর কোলে জন্ম নিলো আরেক শিশু by নূর ইসলাম
মাত্র ১০ বছর বয়সী এক শিশু মা হয়েছে। শিশুটি আজ সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৩রা সেপ্টেম্বর গভীররাতে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় যশোরের মণিরামপুর উপজেলার অন্তঃসত্ত্বা সেই শিশু। কমবয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় গর্ভের সন্তান ও তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত ছিল না। গত ৫ই সেপ্টেম্বর তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। ৬ই সেপ্টেম্বর রাতে তাকে ফের ভর্তি করা হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু সাংবাদিকদের বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টায় মেয়েটি একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেছে। ডা. নীলুফার ইয়াসমীন এমিলির নেতৃত্বে সিজার করা হয়। বাচ্চার ওজন হয়েছে আড়াই কেজি। বর্তমানে তারা দুজনই ভাল আছে। তবে, দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া প্রসূতি ও তার বাচ্চার ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এদিকে, এক শিশু আরেক শিশু প্রসব করায় মোটেই খুশি নন তার পরিবারের সদস্যরা। কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে মেয়েটির বাবা বলেন, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। ভাবতে পারছি না। কী করবো? কোথায় যাবো?
মেয়েটির দাদি বলেন, মা-সন্তান দুজনই শিশু। তাদের কী হবে? কী পরিচয়ে তারা বেড়ে উঠবে?
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার বলেন, অভিযুক্তের ডিএনএ স্যাম্পল সংরক্ষণ করা আছে। শিশুটির ডিএনএ স্যাম্পল নিয়ে ঢাকায় পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেয়েটির বাবা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার তাহেরপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া (৫৬) পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তা। তিনি সেখানে ভাড়া বাসায় থাকেন। শিশুটির মায়ের সঙ্গে বাবার তালাক হয়ে যাওয়ার পর সে যশোর শহরে তার নানাবাড়িতে থাকতো। গত বছর তার মেয়েকে বাসায় কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া করাবেন বলে গোলাম কিবরিয়া যশোর থেকে মণিরামপুরে নিয়ে যান। মেয়েটি তাকে নানা বলে ডাকতো। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাড়ি ফাঁকা থাকায় কিবরিয়া তার মেয়েকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হলে সে বাধা দেয়। এরপর তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি পরে কিবরিয়ার স্ত্রী রওশনআরাকে জানালে তিনি বিষয়টি কাউকে না করে। এরপর কয়েকদফা তাকে ধর্ষণ করা হয়। সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখ রাতে আবারও তাকে ধর্ষণ করা হয়। প্রায় ৩ মাস আগে মেয়েটির শরীর খারাপ করলে তাকে যশোরের একজন পল্লী চিকিৎসককে দেখানো হয়। ডাক্তার প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে জানান মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। পরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনো করে দেখা যায় সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর ১লা জুলাই মেয়েটির বাবা মণিরামপুর থানায় একটি মামলা করেন (মামলা নম্বর ০২/০১.০৭.১৯)। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ ধর্ষক কিবরিয়াকে গ্রেপ্তাার করে জেলহাজতে পাঠায়। বর্তমানে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।
মণিরামপুর থানার এসআই এবং এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সৌমেন বিশ্বাস বলেন, ৪ঠা সেপ্টেম্বর দুপুরে আমি যশোর জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলাম। মেয়েটি ৩৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। সে ও তার গর্ভের শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডাক্তাররা তাকে খুলনায় রেফার করেন। কিন্তু মেয়ের পরিবার আরও দু’দিন দেখতে চান। এরই মধ্যে আজ সকালে একটি পুত্র সন্তানের মা হয়েছে বলে শুনেছি।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত কিবরিয়াকে ১লা জুলাই গ্রেপ্তাার করা হয়। বর্তশানে জেলহাজতে রয়েছে। তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। এখন শিশুটির ডিএনএ সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। পরীক্ষা রিপোর্ট পাওয়ার এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৩রা সেপ্টেম্বর গভীররাতে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় যশোরের মণিরামপুর উপজেলার অন্তঃসত্ত্বা সেই শিশু। কমবয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় গর্ভের সন্তান ও তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত ছিল না। গত ৫ই সেপ্টেম্বর তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। ৬ই সেপ্টেম্বর রাতে তাকে ফের ভর্তি করা হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু সাংবাদিকদের বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টায় মেয়েটি একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেছে। ডা. নীলুফার ইয়াসমীন এমিলির নেতৃত্বে সিজার করা হয়। বাচ্চার ওজন হয়েছে আড়াই কেজি। বর্তমানে তারা দুজনই ভাল আছে। তবে, দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া প্রসূতি ও তার বাচ্চার ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এদিকে, এক শিশু আরেক শিশু প্রসব করায় মোটেই খুশি নন তার পরিবারের সদস্যরা। কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে মেয়েটির বাবা বলেন, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। ভাবতে পারছি না। কী করবো? কোথায় যাবো?
মেয়েটির দাদি বলেন, মা-সন্তান দুজনই শিশু। তাদের কী হবে? কী পরিচয়ে তারা বেড়ে উঠবে?
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার বলেন, অভিযুক্তের ডিএনএ স্যাম্পল সংরক্ষণ করা আছে। শিশুটির ডিএনএ স্যাম্পল নিয়ে ঢাকায় পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেয়েটির বাবা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার তাহেরপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া (৫৬) পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তা। তিনি সেখানে ভাড়া বাসায় থাকেন। শিশুটির মায়ের সঙ্গে বাবার তালাক হয়ে যাওয়ার পর সে যশোর শহরে তার নানাবাড়িতে থাকতো। গত বছর তার মেয়েকে বাসায় কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া করাবেন বলে গোলাম কিবরিয়া যশোর থেকে মণিরামপুরে নিয়ে যান। মেয়েটি তাকে নানা বলে ডাকতো। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাড়ি ফাঁকা থাকায় কিবরিয়া তার মেয়েকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হলে সে বাধা দেয়। এরপর তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি পরে কিবরিয়ার স্ত্রী রওশনআরাকে জানালে তিনি বিষয়টি কাউকে না করে। এরপর কয়েকদফা তাকে ধর্ষণ করা হয়। সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখ রাতে আবারও তাকে ধর্ষণ করা হয়। প্রায় ৩ মাস আগে মেয়েটির শরীর খারাপ করলে তাকে যশোরের একজন পল্লী চিকিৎসককে দেখানো হয়। ডাক্তার প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে জানান মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। পরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনো করে দেখা যায় সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর ১লা জুলাই মেয়েটির বাবা মণিরামপুর থানায় একটি মামলা করেন (মামলা নম্বর ০২/০১.০৭.১৯)। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ ধর্ষক কিবরিয়াকে গ্রেপ্তাার করে জেলহাজতে পাঠায়। বর্তমানে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।
মণিরামপুর থানার এসআই এবং এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সৌমেন বিশ্বাস বলেন, ৪ঠা সেপ্টেম্বর দুপুরে আমি যশোর জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলাম। মেয়েটি ৩৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। সে ও তার গর্ভের শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডাক্তাররা তাকে খুলনায় রেফার করেন। কিন্তু মেয়ের পরিবার আরও দু’দিন দেখতে চান। এরই মধ্যে আজ সকালে একটি পুত্র সন্তানের মা হয়েছে বলে শুনেছি।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত কিবরিয়াকে ১লা জুলাই গ্রেপ্তাার করা হয়। বর্তশানে জেলহাজতে রয়েছে। তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। এখন শিশুটির ডিএনএ সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। পরীক্ষা রিপোর্ট পাওয়ার এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
No comments