চীন ও ভারতের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় সাহসী হয়েছে মিয়ানমার by মাউং জারনি
২৫
আগস্ট রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের শরণার্থীরা রোহিঙ্গা গণহত্যার দ্বিতীয়
বর্ষ স্মরণ করেছে। দুই বছর আগের এই দিনে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের
সামরিক বাহিনী নতুন করে গণহত্যা আর সহিংসতা শুরু করেছিল।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই গণহত্যার জন্য দায়িদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য খুব সামান্যই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের প্রসিকিউটরের অফিস এই অপরাধের ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করতে বদ্ধপরিকর বলে জানা গেছে।
ভবিষ্যতে ট্রাইবুনালে বিচারে সহায়তায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ২৮ মিলিয়ন ডলার বাজেটসহ একটি ইন্টারন্যাশনাল ইনডিপেন্ডেন্ট মেকানিজম তৈরি করেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।
একই সাথে জেনোসাইড কনভেনশানের অধীনে নিজেদের বাধ্যবাধকতা পূরণে মিয়ানমার ব্যার্থ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আন্তর্জাতিক আহ্বান এসেছে।
এই পদক্ষেপগুলো স্বাগত জানানোর মতো হলেও তথাকথিত ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়’ রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষা এবং তাদেরকে নিরাপত্তা ও মর্যাদাপূর্ণ আবাসনের নিশ্চয়তা দিতে ব্যার্থ হয়েছে। মিয়ানমারে যারা রয়ে গেছে, তাদেরকে বিভিন্ন ক্যাম্পে আটক জীবন কাটাতে হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ তাদের কোন ধরণের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে না। অন্যদিকে বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানরত শরণার্থীরা ভয়াবহ পরিবেশের মধ্যে বাস করছে এবং জোরপূর্বক প্রত্যাবাসনের হুমকির মধ্যে রয়েছে তারা।
জাতিসংঘ এবং বিশেষ করে সিকিউরিটি কাউন্সিলে মিয়ানমারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রক্ষক হিসেবে কাজ করছে চীন। চীন নিজেও কয়েক মিলিয়ন জাতিগত উইঘুরদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।
বেইজিং উইঘুরদের বিভিন্ন বন্দিশিবিরে রাখছে যেটাকে কমিউনিস্ট কর্তৃপক্ষ নাম দিয়েছে ‘ভোকেশনাল ট্রেনিং স্কুল’ বা ‘রি-এডুকেশান ক্যাম্প’। এটাও এক ধরণের গণহত্যার ইঙ্গিতবাহী। বেইজিং একই সাথে উইঘুর ভাষা ব্যবহারের উপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং পুরো দেশে সম্প্রতি মুসলিম ও আরব প্রতীক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
একইভাবে, ভারত ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অধীনে সাম্প্রতিককালে চরম মুসলিম-বিরোধী হয়ে উঠেছে। নয়াদিল্লীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রকাশ্যে মুসলিমদের ‘উঁইপোকা’ সম্মোধন করেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয় গ্রহণকারীদের জোর করে ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন বিজেপি উগ্র হিন্দু জাতীয়বাদে বিশ্বাসী। হিন্দু ভোটাদের আস্থায় নিতে তারা মূলত ভারতীয় মুসলিমদেরকে টার্গেট করেছে। ভারতের সর্বসাম্প্রতিক নির্বাচনের পর মোদি ও বিজেপির ক্ষমতা আরও বেড়েছে। ক্ষমতায় আসার পর তাদের দুটি সিদ্ধান্ত হিন্দু জাতীয়তাবাদের উত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
প্রথমত, আসামে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স গঠন করে ওই রাজ্যের বহু মিলিয়ন মুসলিমকে রাষ্ট্রহীন করার পর তাদেরকে বন্দিশিবিরে পাঠানো হচ্ছে, যেটা জার্মানির নাৎসিবাদের কথা মনে করিয়ে দেয়।
দ্বিতীয়ত, চলতি মাসে মুসলিম সংখ্যাগুরু জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে সেটাকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে। সেখানকার সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে এবং যে কোন ধরণের প্রতিবাদকে সেখানে কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে।
এই সব ঘটনার ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিরব রয়েছে। এটা মিয়ানমার সরকারের অবস্থানকে আরও জোরালো করবে, যদিও দোষিদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য তাদের উপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। ভারতে ও চীনে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের ঘটনা মিয়ানমারের জন্য একটা উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এবং তারা মনে করছে যে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা যেতে পারে এবং বৈশ্বিক জনমত কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই গণহত্যার জন্য দায়িদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য খুব সামান্যই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের প্রসিকিউটরের অফিস এই অপরাধের ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করতে বদ্ধপরিকর বলে জানা গেছে।
ভবিষ্যতে ট্রাইবুনালে বিচারে সহায়তায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ২৮ মিলিয়ন ডলার বাজেটসহ একটি ইন্টারন্যাশনাল ইনডিপেন্ডেন্ট মেকানিজম তৈরি করেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।
একই সাথে জেনোসাইড কনভেনশানের অধীনে নিজেদের বাধ্যবাধকতা পূরণে মিয়ানমার ব্যার্থ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আন্তর্জাতিক আহ্বান এসেছে।
এই পদক্ষেপগুলো স্বাগত জানানোর মতো হলেও তথাকথিত ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়’ রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষা এবং তাদেরকে নিরাপত্তা ও মর্যাদাপূর্ণ আবাসনের নিশ্চয়তা দিতে ব্যার্থ হয়েছে। মিয়ানমারে যারা রয়ে গেছে, তাদেরকে বিভিন্ন ক্যাম্পে আটক জীবন কাটাতে হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ তাদের কোন ধরণের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে না। অন্যদিকে বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানরত শরণার্থীরা ভয়াবহ পরিবেশের মধ্যে বাস করছে এবং জোরপূর্বক প্রত্যাবাসনের হুমকির মধ্যে রয়েছে তারা।
জাতিসংঘ এবং বিশেষ করে সিকিউরিটি কাউন্সিলে মিয়ানমারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রক্ষক হিসেবে কাজ করছে চীন। চীন নিজেও কয়েক মিলিয়ন জাতিগত উইঘুরদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।
বেইজিং উইঘুরদের বিভিন্ন বন্দিশিবিরে রাখছে যেটাকে কমিউনিস্ট কর্তৃপক্ষ নাম দিয়েছে ‘ভোকেশনাল ট্রেনিং স্কুল’ বা ‘রি-এডুকেশান ক্যাম্প’। এটাও এক ধরণের গণহত্যার ইঙ্গিতবাহী। বেইজিং একই সাথে উইঘুর ভাষা ব্যবহারের উপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং পুরো দেশে সম্প্রতি মুসলিম ও আরব প্রতীক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
একইভাবে, ভারত ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অধীনে সাম্প্রতিককালে চরম মুসলিম-বিরোধী হয়ে উঠেছে। নয়াদিল্লীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রকাশ্যে মুসলিমদের ‘উঁইপোকা’ সম্মোধন করেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয় গ্রহণকারীদের জোর করে ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন বিজেপি উগ্র হিন্দু জাতীয়বাদে বিশ্বাসী। হিন্দু ভোটাদের আস্থায় নিতে তারা মূলত ভারতীয় মুসলিমদেরকে টার্গেট করেছে। ভারতের সর্বসাম্প্রতিক নির্বাচনের পর মোদি ও বিজেপির ক্ষমতা আরও বেড়েছে। ক্ষমতায় আসার পর তাদের দুটি সিদ্ধান্ত হিন্দু জাতীয়তাবাদের উত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
প্রথমত, আসামে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স গঠন করে ওই রাজ্যের বহু মিলিয়ন মুসলিমকে রাষ্ট্রহীন করার পর তাদেরকে বন্দিশিবিরে পাঠানো হচ্ছে, যেটা জার্মানির নাৎসিবাদের কথা মনে করিয়ে দেয়।
দ্বিতীয়ত, চলতি মাসে মুসলিম সংখ্যাগুরু জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে সেটাকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে। সেখানকার সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে এবং যে কোন ধরণের প্রতিবাদকে সেখানে কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে।
এই সব ঘটনার ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিরব রয়েছে। এটা মিয়ানমার সরকারের অবস্থানকে আরও জোরালো করবে, যদিও দোষিদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য তাদের উপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। ভারতে ও চীনে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের ঘটনা মিয়ানমারের জন্য একটা উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এবং তারা মনে করছে যে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা যেতে পারে এবং বৈশ্বিক জনমত কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
No comments