নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি ফখরুলের
খুলনা
সিটি নির্বাচনে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন দাবি
করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই
নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করার যোগ্য
নয়। যারা একটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে না,
জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে পারে না, তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে
পরিচালনা করবে? আমরা সেই জন্য বারবার করে বলছি, এই নির্বাচন কমিশনের শুধু
পদত্যাগই নয়, পুনর্গঠন চাই। আমরা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে ভেঙে দিয়ে
পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছি। গতকাল দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা
শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ দাবি জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ আওয়ামী
লীগ আবার ক্ষমতায়, তারা ফের ভিন্নমতকে পদদলিত করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে।
খুলনার নির্বাচন আপনারা দেখেছেন। সেই নির্বাচনেও তারা (সরকার) সেখানকার
মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। পত্র-পত্রিকায় এসেছে, আজকে নতুন
কায়দায় নতুন রূপে ভোট ডাকাতি শুরু হয়েছে। সত্যিই খুলনায় ভোট ডাকাতি হয়েছে
নতুন কায়দায়, নতুন রূপে। ফের শুরু হয়েছে ভোটকেন্দ্র দখলের রাজনীতি। এখন
সবাই দেখে সবকিছু সুন্দর ও সুষ্ঠু হচ্ছে; কিন্তু সুকৌশলে জনগণের ভোটাধিকার
হরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন যে
সুষ্ঠু হতে পারে না- খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তা আবারো প্রমাণ হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার দ্রুত মুক্তি দাবি করে মির্জা
আলমগীর বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে
দূরে রাখতে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা। সেজন্য তাকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো
হয়েছে। খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকার পরও সরকার তার চিকিৎসার জন্য কোনো
পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা বারবার এ বিষয়ে সরকারকে অবহিত করলেও তারা কোনো
কর্ণপাত করছে না। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে ‘সুচিকিৎসা না দিয়ে’ কারাগারে আটকে
রাখা হয়েছে। আমরা দ্রুত তার মুক্তি দাবি করছি। এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম
মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,
খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ এমরান সালেহ
প্রিন্স ও কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments