যেখানে এক হলেন আরিফ-কামরান by ওয়েছ খছরু
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEigvqdGGKkhRkpj_nXUwF-y7lpChPRwWV9SfY4Uo2tSQrUa2cJlK6sl27Aqkjk1irbujuS0M_GJhPbCUGzK20-wp7OF_8HudkqA8wKOYPEUuFzL1tJwskbFDiPN2WCO1Ai5NxRNJfOMXnY/s400/%25E0%25A6%25AF%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2596%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%258F%25E0%25A6%2595+%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8+%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25AB-%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8.jpg)
বন্দরবাজারে
এক হলেন আরিফ ও কামরান। দু’জনই দাঁড়িয়ে থেকে কাজ শেষ করলেন। ডিভাইডার
ইস্যুতে অ্যাকশনে ছিলেন কামরান। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ছিলেন আন্দোলনে।
দিয়েছিলেন আলটিমেটামও। সেই আলটিমেটামে কাজও হয়েছে। উঠে গেল বন্দরবাজারের
ডিভাইডার। আর সেই ডিভাইডার উচ্ছেদে অবশেষে এক হলেন আরিফ ও কামরান। আরিফুল
হক চৌধুরী সিলেটের বর্তমান মেয়র। আর বদরউদ্দিন আহমদ কামরান সিলেটের সাবেক
মেয়র। আরিফ যখন কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারান্তরীণ ছিলেন তখন সিলেটের পুলিশ ও
সিটি করপোরেশন মিলে বন্দরবাজারের করিম উল্লাহ মার্কেটের সামনে ডিভাইডার
নির্মাণ করে। করিম উল্লাহ মার্কেটের সামনে হচ্ছে বন্দরবাজারের মূল পয়েন্ট।
পাশেই সিলেটের পাইকারী আড়ত মহাজনপট্টি, কালিঘাট ও লালদিঘির পাড়। ট্রাকযোগে
পণ্য পরিবহন হয় ওই এলাকা থেকে। এ কারণে বন্দরবাজারে যানজট লেগেই থাকতো।
পুলিশের কাছে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বন্দরবাজারের পয়েন্ট। প্রায় দুই বছর
আগে ব্যবসায়ীদের বাধা উপেক্ষা করে বন্দরবাজারে ডিভাইডার দেয়ার পর থেকে
নাখোশ ছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তারা কিছুই করতে পারছিলেন না। সাম্প্রতিক
সময়ে তাদের সঙ্গে এসে যুক্ত হন ছড়ারপাড়, মাছিমপুর এলাকার বাসিন্দারা। শুরু
করেন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন
আহমদ কামরান। এটি কামরানেরও এলাকা। ফলে কামরান তার নিজ এলাকার মানুষের
পক্ষে মাঠে নামেন। প্রায় ১০ দিন আগে তারা আলটিমেটাম দেন ডিভাইডার অপসারণের।
এই আলটিমেটামে টনক নড়ে সিটি করপোরেশন ও পুলিশের। কামরান ব্যবসায়ী ও
এলাকাবাসীর সঙ্গ নেয়ার কারণে আন্দোলন তীব্র হয়। এ কারণে গত বুধবার রাতে
আলোচিত ওই ডিভাইডার সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেখানে স্বয়ং উপস্থিত
ছিলেন সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। পাশাপাশি আরিফুল হক
চৌধুরীও সেখানে উপস্থিত হন। ছিলেন বন্দরবাজার এলাকার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
সকলের উপস্থিতিতে বন্দরবাজারের ডিভাইডার সরিয়ে নেয়া হয়। সিলেট সিটি
করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন- স্থানীয় ব্যবসায়ী ও
এলাকার মানুষ ওই ডিভাইডার নিয়ে কষ্টে ছিলেন। এলাকার মানুষ জরুরি প্রয়োজনে
সহজে যাতায়াত করতে পারছিলেন না। ডিভাইডার অপসারণের মাধ্যমে এলাকার মানুষের
দুর্ভোগ লাঘব হলো বলে জানান তিনি। আর বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজের
কাঁধে ডিভাইডারের দোষ নিতে চাচ্ছেন না। তিনি এলাকার মানুষের সঙ্গে একমত
রয়েছেন। সিলেটের বন্দরবাজারের ডিভাইডার অপসারণ করা হলেও জেল রোডের মুখে
থাকা ডিভাইডার রয়েই গেছে। সেটি নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ আছে বলে
জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। এদিকে, চৌহাট্টা-রিকাবীবাজার সড়কের দরগাহ
ফটকে রয়েছে একটি ডিভাইডার। ওই ডিভাইডারও এলাকার মানুষের কাছে দুর্ভোগের
কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দরগাহে ঢুকতে গেলে চৌহাট্টা কিংবা রিকাবীবাজার এলাকা
পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। এতে করে চৌহাট্টা ও রিকাবীবাজারে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে
যানজট লেগে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষ ওই ডিভাইডার অপসারণেরও দাবি
জানিয়ে আসছেন।
No comments