লিবিয়া স্টাইলে উত্তর কোরিয়াকে শেষ করে দেয়ার হুমকি ট্রাম্পের
পারমাণবিক
অস্ত্র ত্যাগ না করলে লিবিয়ার মতো করে উত্তর কোরিয়াকে শেষ করে দেয়ার হুমকি
দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন,
পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করলে কিম জং উনকে ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা দেয়া হবে।
আর এতে সম্মত না হলে লিবিয়ার সাবেক নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফির মতো করে তাকে
শেষ করে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এসব কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে আল
জাজিরা।
খবরে বলা হয়, ১২ই জুন সিঙ্গাপুরে কিমের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বসার বিষয়ে এখনো আশাবাদী ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, নির্ধারিত বৈঠক সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলে উত্তর কোরিয়া সুরক্ষা পাবে। যা হবে খুবই শক্তিশালী। কিম তার দেশেই অবস্থান করবেন। দেশও চালাবেন তিনি। তার দেশ অনেক ধনী হবে। কিন্তু বৈঠক যদি কোন কারণে বানচাল হয়ে যায়, তাহলে কিমকে লিবিয়ার মোয়াম্মার গাদ্দাফির মতো ভাগ্য বরণ করতে হবে। যিনি বিদ্রোহীদের হাতে ক্ষমতা হারিয়ে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেন, লিবিয়ার পরিণতি দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমাদের সঙ্গে সমঝোতা না করলে কি ঘটে। ট্রাম্প-কিম বৈঠক বাতিলের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক হুমকির প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। এর আগে পিয়ংইয়ং বলেছে, পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করার দাবিতে একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত কোন বৈঠকে তাদের কোন আগ্রহ নেই। অবস্থার পরিবর্তন না হলে তারা বৈঠকের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।
এদিকে, কোরিয়া উপদ্বীপকে কিভাবে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করা হবে সে বিষয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট জন বোল্টন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য লিবিয়াকে অনুসরণ করার আহবান জানান। কিন্তু বোল্টনের এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্পের শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টার প্রস্তাব খুবই হাস্যকর।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে লিবিয়ার সাবেক নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন। ওই চুক্তি অনুযায়ী লিবিয়া পারমাণবিক কার্যক্রম ও রাসায়ণিক অস্ত্র ত্যাগ করে। বিনিময়ে তাদেরকে অবরোধ থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
খবরে বলা হয়, ১২ই জুন সিঙ্গাপুরে কিমের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বসার বিষয়ে এখনো আশাবাদী ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, নির্ধারিত বৈঠক সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলে উত্তর কোরিয়া সুরক্ষা পাবে। যা হবে খুবই শক্তিশালী। কিম তার দেশেই অবস্থান করবেন। দেশও চালাবেন তিনি। তার দেশ অনেক ধনী হবে। কিন্তু বৈঠক যদি কোন কারণে বানচাল হয়ে যায়, তাহলে কিমকে লিবিয়ার মোয়াম্মার গাদ্দাফির মতো ভাগ্য বরণ করতে হবে। যিনি বিদ্রোহীদের হাতে ক্ষমতা হারিয়ে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেন, লিবিয়ার পরিণতি দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমাদের সঙ্গে সমঝোতা না করলে কি ঘটে। ট্রাম্প-কিম বৈঠক বাতিলের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক হুমকির প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। এর আগে পিয়ংইয়ং বলেছে, পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করার দাবিতে একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত কোন বৈঠকে তাদের কোন আগ্রহ নেই। অবস্থার পরিবর্তন না হলে তারা বৈঠকের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।
এদিকে, কোরিয়া উপদ্বীপকে কিভাবে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করা হবে সে বিষয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট জন বোল্টন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য লিবিয়াকে অনুসরণ করার আহবান জানান। কিন্তু বোল্টনের এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্পের শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টার প্রস্তাব খুবই হাস্যকর।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে লিবিয়ার সাবেক নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন। ওই চুক্তি অনুযায়ী লিবিয়া পারমাণবিক কার্যক্রম ও রাসায়ণিক অস্ত্র ত্যাগ করে। বিনিময়ে তাদেরকে অবরোধ থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
No comments