খোদায়ি বিধানেই ফিলিস্তিনের মুক্তি অনিবার্য: খামেনেয়ী
খোদায়ি
বিধানের আলোকে অবশেষে শত্রুদের কবল থেকে ফিলিস্তিন মুক্ত হবে বলে ইসলামি
প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আবারও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ফিলিস্তিনের মুক্তির বিষয়টি যে সুনিশ্চিত ও অনিবার্য সে বিষয়ে প্রায়ই
বক্তব্য রেখে আসছেন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম নেতা ও আলেম
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।
ইরানের সর্বোচ্চ এই নেতা গতকালও (বৃহস্পতিবার) এমনই এক বক্তব্য রেখে বলেছেন, খোদায়ি বিধানের আলোকে শত্রুদের নাগপাশ থেকে ফিলিস্তিন মুক্ত হবে এবং এই বাস্তবতা পাল্টে দেয়ার জন্য মার্কিন সরকারসহ ফিলিস্তিনের শত্রুদের নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বায়তুল মুকাদ্দাসই হবে স্বাধীন ও মুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী। খোদায়ি বিধান ও বাস্তবতার মোকাবেলায় মার্কিন সরকার ও তার সেবাদাসরা কিছুই করতে পারবে না বলে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা গতকাল রাজধানী তেহরানে পবিত্র কুরআনের ক্বারিদের সঙ্গে এক বৈঠকে আরও বলেছেন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞসহ মুসলিম বিশ্বের সংকটগুলোর কারণ হল পবিত্র কুরআন থেকে মুসলমানদের দূরে সরে যাওয়া। তিনি বলেন, মার্কিন সরকারসহ বহু পশ্চিমা সরকার ইহুদিবাদীদের নৃশংস নানা অপরাধের শরিক। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী মুসলিম জাতি ও সরকারগুলোকে ইহুদিবাদী অপরাধযজ্ঞের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগেও তিনি বার বার বলেছেন যে ইসরাইল খুব বেশি দিন টিকে থাকবে না। আগামী ২৫ বছরের আগেই ইসরাইল ধ্বংস হবে বলেও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছিলেন, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ও বর্তমানে স্বাধীন কয়েকটি মুসলিম দেশ যে স্বাধীন হবে এটা কিছুকাল আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এর আগে বলেছিলেন, সংগ্রামী মুসলিম জাতিগুলো খুব শিগগিরই তাদের প্রথম কিবলা পবিত্র কুদসকে মুক্ত করে সেখানে জামায়াতে নামাজ আদায় করবে এবং আমরা সবাই সেই সুদিন দেখতে পাব।
সম্প্রতি ইসরাইল প্রতিষ্ঠার ৭০ তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের স্বদেশের ফিরে আসার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ব্যাপক ও অভূতপূর্ব গণ-বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনিরা। উপনিবেশবাদী ব্রিটিশ ও মার্কিন সাম্রাজ্যের মদদসহ জবর-দখল এবং গণহত্যা ও সন্ত্রাসের মত নানা অবৈধ পন্থায় ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ১৪ মে। এই দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা নাক্বা বা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।
কিন্তু গত ১৪ মে তথা ফিলিস্তিনের বিপর্যয় দিবসে আবারও সভ্যতার মুখে কলঙ্কের কালিমা লেপে দিয়ে ইহুদিবাদী দখলদার সেনারা অর্ধ ডজন শিশুসহ অন্তত ৬৩ ফিলিস্তিনিকে শহীদ করে। হানাদার ইসরাইলি সেনাদের হামলায় আহত হয় দুই হাজারেরও বেশি প্রতিবাদী ফিলিস্তিনি।
এ দিনেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে মুসলমানদের প্রথম কিবলার শহর অধিকৃত বায়তুল মুকাদ্দাস বা জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করা হয়। এই উদ্যোগের প্রতিবাদেই ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ হয়ে উঠছিল অনেক বেশি ব্যাপক ও উত্তাল। এখন থেকে কয়েক মাস আগে বিশ্ববাসীর নিন্দা ও প্রতিবাদকে উপেক্ষা করে ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকার বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।
প্রায় ৮০ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীর নিজ ভূখণ্ডে ফিরে যাওয়ার দাবিতে গাজা ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা গত ৩০ মার্চ থেকে ইসরাইল-বিরোধী শান্তিপূর্ণ মিছিল করে আসছিল। ফিলিস্তিনিদের এই অভূতপূর্ব বিক্ষোভ ও গণ-মিছিল বিশ্ব-জনমতের ব্যাপক সমর্থন পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে দখলদার ইসরাইল। তাই প্রথম থেকেই এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ওপর গুলি চালানোর পদক্ষেপ নিয়ে ইসরাইল এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ জন ফিলিস্তিনিকে শহীদ করেছে। এ ছাড়াও আহত করেছে প্রায় ৭ হাজার ফিলিস্তিনিকে।
খোদায়ি বিধান অনুযায়ী সব জুলুমই এক দিন শেষ হবে। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি জবরদখল ও সেখানে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদী গণহত্যা অভিযানও শেষ হতে বাধ্য।
মুসলিম বিশ্ব এক হলে বহু আগেই খতম হয়ে যেত বহিরাগত ইহুদিবাদীদের এই নব্য-উপনিবেশ ও তাদের নেতৃত্বাধীন প্রকৃত হলোকাস্ট। মুসলিম বিশ্ব যাতে এক না হতে পারে সে জন্য তাদের মধ্যে জাতিগত, ধর্মীয় ও নানা ধরনের কোন্দল বাধিয়ে রেখেছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো। আইএসআইএল বা দায়েশ, আলকায়দা ও তালেবানের মত তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো তাদেরই সৃষ্টি।
যাই হোক ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের প্রেক্ষাপটে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ডাকে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসির জরুরি শীর্ষ বৈঠক ডাকা হয়েছে। মুসলিম বিশ্ব এবার হয়তো ফিলিস্তিনি প্রসঙ্গে আগের চেয়েও কিছুটা বেশি সক্রিয় হবে- মুক্তিকামী ও ন্যায়বিচারের সমর্থক বিশ্ব-জনমত এটাই আশা করছে। ফিলিস্তিনি নেতা ও হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াও ওআইসির কাছে পাঠানো এক বাণীতে ফিলিস্তিনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে আরব ও মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ এই নেতা গতকালও (বৃহস্পতিবার) এমনই এক বক্তব্য রেখে বলেছেন, খোদায়ি বিধানের আলোকে শত্রুদের নাগপাশ থেকে ফিলিস্তিন মুক্ত হবে এবং এই বাস্তবতা পাল্টে দেয়ার জন্য মার্কিন সরকারসহ ফিলিস্তিনের শত্রুদের নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বায়তুল মুকাদ্দাসই হবে স্বাধীন ও মুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী। খোদায়ি বিধান ও বাস্তবতার মোকাবেলায় মার্কিন সরকার ও তার সেবাদাসরা কিছুই করতে পারবে না বলে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা গতকাল রাজধানী তেহরানে পবিত্র কুরআনের ক্বারিদের সঙ্গে এক বৈঠকে আরও বলেছেন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞসহ মুসলিম বিশ্বের সংকটগুলোর কারণ হল পবিত্র কুরআন থেকে মুসলমানদের দূরে সরে যাওয়া। তিনি বলেন, মার্কিন সরকারসহ বহু পশ্চিমা সরকার ইহুদিবাদীদের নৃশংস নানা অপরাধের শরিক। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী মুসলিম জাতি ও সরকারগুলোকে ইহুদিবাদী অপরাধযজ্ঞের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগেও তিনি বার বার বলেছেন যে ইসরাইল খুব বেশি দিন টিকে থাকবে না। আগামী ২৫ বছরের আগেই ইসরাইল ধ্বংস হবে বলেও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছিলেন, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ও বর্তমানে স্বাধীন কয়েকটি মুসলিম দেশ যে স্বাধীন হবে এটা কিছুকাল আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এর আগে বলেছিলেন, সংগ্রামী মুসলিম জাতিগুলো খুব শিগগিরই তাদের প্রথম কিবলা পবিত্র কুদসকে মুক্ত করে সেখানে জামায়াতে নামাজ আদায় করবে এবং আমরা সবাই সেই সুদিন দেখতে পাব।
সম্প্রতি ইসরাইল প্রতিষ্ঠার ৭০ তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের স্বদেশের ফিরে আসার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ব্যাপক ও অভূতপূর্ব গণ-বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনিরা। উপনিবেশবাদী ব্রিটিশ ও মার্কিন সাম্রাজ্যের মদদসহ জবর-দখল এবং গণহত্যা ও সন্ত্রাসের মত নানা অবৈধ পন্থায় ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ১৪ মে। এই দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা নাক্বা বা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।
কিন্তু গত ১৪ মে তথা ফিলিস্তিনের বিপর্যয় দিবসে আবারও সভ্যতার মুখে কলঙ্কের কালিমা লেপে দিয়ে ইহুদিবাদী দখলদার সেনারা অর্ধ ডজন শিশুসহ অন্তত ৬৩ ফিলিস্তিনিকে শহীদ করে। হানাদার ইসরাইলি সেনাদের হামলায় আহত হয় দুই হাজারেরও বেশি প্রতিবাদী ফিলিস্তিনি।
এ দিনেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে মুসলমানদের প্রথম কিবলার শহর অধিকৃত বায়তুল মুকাদ্দাস বা জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করা হয়। এই উদ্যোগের প্রতিবাদেই ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ হয়ে উঠছিল অনেক বেশি ব্যাপক ও উত্তাল। এখন থেকে কয়েক মাস আগে বিশ্ববাসীর নিন্দা ও প্রতিবাদকে উপেক্ষা করে ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকার বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।
প্রায় ৮০ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীর নিজ ভূখণ্ডে ফিরে যাওয়ার দাবিতে গাজা ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা গত ৩০ মার্চ থেকে ইসরাইল-বিরোধী শান্তিপূর্ণ মিছিল করে আসছিল। ফিলিস্তিনিদের এই অভূতপূর্ব বিক্ষোভ ও গণ-মিছিল বিশ্ব-জনমতের ব্যাপক সমর্থন পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে দখলদার ইসরাইল। তাই প্রথম থেকেই এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ওপর গুলি চালানোর পদক্ষেপ নিয়ে ইসরাইল এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ জন ফিলিস্তিনিকে শহীদ করেছে। এ ছাড়াও আহত করেছে প্রায় ৭ হাজার ফিলিস্তিনিকে।
খোদায়ি বিধান অনুযায়ী সব জুলুমই এক দিন শেষ হবে। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি জবরদখল ও সেখানে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদী গণহত্যা অভিযানও শেষ হতে বাধ্য।
মুসলিম বিশ্ব এক হলে বহু আগেই খতম হয়ে যেত বহিরাগত ইহুদিবাদীদের এই নব্য-উপনিবেশ ও তাদের নেতৃত্বাধীন প্রকৃত হলোকাস্ট। মুসলিম বিশ্ব যাতে এক না হতে পারে সে জন্য তাদের মধ্যে জাতিগত, ধর্মীয় ও নানা ধরনের কোন্দল বাধিয়ে রেখেছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো। আইএসআইএল বা দায়েশ, আলকায়দা ও তালেবানের মত তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো তাদেরই সৃষ্টি।
যাই হোক ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের প্রেক্ষাপটে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ডাকে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসির জরুরি শীর্ষ বৈঠক ডাকা হয়েছে। মুসলিম বিশ্ব এবার হয়তো ফিলিস্তিনি প্রসঙ্গে আগের চেয়েও কিছুটা বেশি সক্রিয় হবে- মুক্তিকামী ও ন্যায়বিচারের সমর্থক বিশ্ব-জনমত এটাই আশা করছে। ফিলিস্তিনি নেতা ও হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াও ওআইসির কাছে পাঠানো এক বাণীতে ফিলিস্তিনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে আরব ও মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
No comments