সোমার বিষয়ে ঢাকায় তদন্ত শুরু অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের
হত্যাচেষ্টার
অভিযোগে অস্ট্রেলিয়া পুলিশের হাতে আটক মোমেনা সোমার বিষয়ে তদন্ত করতে
ঢাকায় এসেছে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তারা
ইতিমধ্যে ঢাকায় জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করা পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট কাউন্টার
টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যদের
সঙ্গে বৈঠক করেছেন। উভয়পক্ষই মোমেনা ও তার বোন আসমাউল হুসনার বিষয়ে
তথ্য-আদান প্রদান করেছেন। অস্ট্রেলিয়ায় মোমেনা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার
সিটিটিসির কর্মকর্তারা মোমেনার মিরপুরের বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে সিটিটিসির
কর্মকর্তাদের ছুরি দিয়ে আঘাতের কথা জানানো হয়েছে তাদের। মোমেনাকে সরাসরি
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিটিসিটির একটি প্রতিনিধি দল অস্ট্রেলিয়া যাবেন বলে
অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি দলকে অবহিত করা হয়েছে।
গত ৯ই ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে রগার সিঙ্গারাভেলু নামে এক ব্যক্তির ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় মোমেনা সোমা।
এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে সেই দেশের পুলিশ। পুলিশের ধারণা, আইএসে অনুপ্রাণিত হয়ে এই হামলা চালিয়েছে মোমেনা।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি নারী জঙ্গি ধরা পড়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হলে ঢাকার সিটিটিসির কর্মকর্তরা গত ১১ই ফেব্রুয়ারি রাতে মিরপুর থানাধীন পূর্ব কাজীপাড়ার ৩৫৫/১ নম্বর মোমেনার বাসায় যায়। সেখানে তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে সিটিটিসির এক কর্মকর্তার ওপর ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালায় মোমেনার বোন সুমনা। পরে তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের ডিসি মো. মহিবুল ইসলাম খান গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানান, মোমেনার বিষয়ে তদন্ত করার জন্য অস্ট্রেলিয়া পুলিশের দুই সদস্যের দল ঢাকায় এসেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের মত বিনিময় হয়েছে। আমরা মোমেনার বিষয়ে তাদের তথ্য দিয়েছি। মোমেনা কিভাবে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছে তা আমাদের কাছে তারা জানতে চেয়েছিল। আমরা তাদের বলেছি, মোমেনা অন্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে জঙ্গিবাদে লিপ্ত হয়েছে। তিনি আরো জানান, আমরা অস্ট্রেলিয়া গিয়ে মোমেনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো বলে জানিয়েছি। তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হবে কিভাবে নতুন ধারার জঙ্গিবাদের সঙ্গে মোমেনা জড়িত হয়েছে।
সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে দুই বোন। প্রথমে বড় বোন মোমেনা সোমা ও পরবর্তী সময়ে বড় বোনের হাত ধরে ছোট বোন সুমনাও জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে। তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএসে যোগ দেয়া একাধিক বাংলাদেশি জঙ্গির যোগাযোগ ছিল। নজিবুল্লাহ আনসারী নামে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে মোমেনা সোমার বিয়ের কথা ঠিক হয়েছিল। নজিবুল্লাহ সিরিয়ায় চলে যাওয়ার পর তার আর কোনো খোঁজ নেই। সিরিয়ায় যাওয়া আরেক আইএস জঙ্গি গাজী সোহানের সঙ্গেও মোমেনা আর সুমনার যোগাযোগ ছিল।
সূত্র জানায়, ২০১২ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বদলে যেতে থাকে মোমেনা সোমা। ২০১৩-২০১৪ সালে সে পুরোপুরি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ২০১৪ সালেই তার সঙ্গে নজিবুল্লাহ আনসারী ও গাজী সোহানের সঙ্গে পরিচয় হয়। তখন ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয়ার জন্য ও কথিত জিহাদের জন্য যোদ্ধা পাঠাতে সক্রিয় ছিল একটি গ্রুপ। তাদের অনেকের সঙ্গেই মোমেনা সোমার যোগাযোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, মোমেনা ও নজিবুল্লাহ আনসারী একে অপরকে পছন্দ করতো। তাদের মধ্যে সম্পর্কও ছিল। দু’জনে একসঙ্গে সিরিয়ায় যেতে চেয়েছিল। কিন্তু, তাদের বিয়েতে অমত দেয় পরিবার। পরবর্তী সময়ে নজিবুল্লাহ সিরিয়ায় চলে গেলে মোমেনা সোমাও সেখানে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এমনকি ঢাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে যখন তার বিয়ের কথা হয়, তখনও পাত্রপক্ষকে বিয়ের শর্ত হিসেবে মুসলিম কোনো দেশে নিয়ে যাওয়ার শর্তজুড়ে দিয়েছিল মোমেনা।
সূত্র জানায়, মোমেনা সোমার সঙ্গে তার এক ফুফাত ভাইয়ের বিয়ের কথা হয়েছিল। তাকেও সে একই কথা বলেছে। এমনকি পাত্রপক্ষের জন্য তার যে জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করা হয়েছিল সেখানেও শর্ত হিসেবে বিয়ের পর তাকে কোনো একটি মুসলিম দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা লেখা ছিল।
গত ৯ই ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে রগার সিঙ্গারাভেলু নামে এক ব্যক্তির ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় মোমেনা সোমা।
এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে সেই দেশের পুলিশ। পুলিশের ধারণা, আইএসে অনুপ্রাণিত হয়ে এই হামলা চালিয়েছে মোমেনা।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি নারী জঙ্গি ধরা পড়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হলে ঢাকার সিটিটিসির কর্মকর্তরা গত ১১ই ফেব্রুয়ারি রাতে মিরপুর থানাধীন পূর্ব কাজীপাড়ার ৩৫৫/১ নম্বর মোমেনার বাসায় যায়। সেখানে তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে সিটিটিসির এক কর্মকর্তার ওপর ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালায় মোমেনার বোন সুমনা। পরে তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের ডিসি মো. মহিবুল ইসলাম খান গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানান, মোমেনার বিষয়ে তদন্ত করার জন্য অস্ট্রেলিয়া পুলিশের দুই সদস্যের দল ঢাকায় এসেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের মত বিনিময় হয়েছে। আমরা মোমেনার বিষয়ে তাদের তথ্য দিয়েছি। মোমেনা কিভাবে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছে তা আমাদের কাছে তারা জানতে চেয়েছিল। আমরা তাদের বলেছি, মোমেনা অন্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে জঙ্গিবাদে লিপ্ত হয়েছে। তিনি আরো জানান, আমরা অস্ট্রেলিয়া গিয়ে মোমেনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো বলে জানিয়েছি। তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হবে কিভাবে নতুন ধারার জঙ্গিবাদের সঙ্গে মোমেনা জড়িত হয়েছে।
সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে দুই বোন। প্রথমে বড় বোন মোমেনা সোমা ও পরবর্তী সময়ে বড় বোনের হাত ধরে ছোট বোন সুমনাও জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে। তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএসে যোগ দেয়া একাধিক বাংলাদেশি জঙ্গির যোগাযোগ ছিল। নজিবুল্লাহ আনসারী নামে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে মোমেনা সোমার বিয়ের কথা ঠিক হয়েছিল। নজিবুল্লাহ সিরিয়ায় চলে যাওয়ার পর তার আর কোনো খোঁজ নেই। সিরিয়ায় যাওয়া আরেক আইএস জঙ্গি গাজী সোহানের সঙ্গেও মোমেনা আর সুমনার যোগাযোগ ছিল।
সূত্র জানায়, ২০১২ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বদলে যেতে থাকে মোমেনা সোমা। ২০১৩-২০১৪ সালে সে পুরোপুরি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ২০১৪ সালেই তার সঙ্গে নজিবুল্লাহ আনসারী ও গাজী সোহানের সঙ্গে পরিচয় হয়। তখন ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয়ার জন্য ও কথিত জিহাদের জন্য যোদ্ধা পাঠাতে সক্রিয় ছিল একটি গ্রুপ। তাদের অনেকের সঙ্গেই মোমেনা সোমার যোগাযোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, মোমেনা ও নজিবুল্লাহ আনসারী একে অপরকে পছন্দ করতো। তাদের মধ্যে সম্পর্কও ছিল। দু’জনে একসঙ্গে সিরিয়ায় যেতে চেয়েছিল। কিন্তু, তাদের বিয়েতে অমত দেয় পরিবার। পরবর্তী সময়ে নজিবুল্লাহ সিরিয়ায় চলে গেলে মোমেনা সোমাও সেখানে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এমনকি ঢাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে যখন তার বিয়ের কথা হয়, তখনও পাত্রপক্ষকে বিয়ের শর্ত হিসেবে মুসলিম কোনো দেশে নিয়ে যাওয়ার শর্তজুড়ে দিয়েছিল মোমেনা।
সূত্র জানায়, মোমেনা সোমার সঙ্গে তার এক ফুফাত ভাইয়ের বিয়ের কথা হয়েছিল। তাকেও সে একই কথা বলেছে। এমনকি পাত্রপক্ষের জন্য তার যে জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করা হয়েছিল সেখানেও শর্ত হিসেবে বিয়ের পর তাকে কোনো একটি মুসলিম দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা লেখা ছিল।
No comments