অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে কমছে ‘শ্রবণ শক্তি’ by সুদীপ অধিকারী
অতিরিক্ত
মোবাইল ফোনের ব্যবহারে দেখা দিচ্ছে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। মোবাইল
ফোন থেকে নির্গত ক্ষতিকর রেডিয়েশনের প্রভাবে দিনকে দিন কমে যাচ্ছে মানুষের
শ্রবণশক্তি। চিকিৎসকরা বলছেন, বর্তমানে তাদের কাছে কানের সমস্যা নিয়ে আসা
রোগীর সংখ্যা অতীতের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের
বিষয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোল্যারিংগোলজি-হেড অ্যান্ড
নেক সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক মো. মনজুরুল আলম বলেন, মোবাইল ফোনে
কথা বলার সময়ে যে রেডিয়েশন নির্গত হয়, মূলত সেটাই আমাদের মানব শরীরের জন্য
অত্যন্ত ক্ষতিকর। এজন্য মোবাইল ফোনে বেশি সময় ধরে কথা বললে, রেডিয়েশন
নির্গত হওয়ার কারণে বেশি ক্ষতিসাধন হবে। তিনি বলেন, অতিরিক্ত মোবাইল ফোনে
কথা বললে শ্রবণ শক্তি কম হওয়া, কানে ও মাথায় ব্যথা হওয়া, অস্বস্তি বোধসহ
নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অসীম কুমার বিশ্বাস বলেন, মোবাইল ফোনে কথা বললে অবশ্যই কানে সমস্যা হতে পারে। তবে এটা নির্ভর করে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময়ের ওপরে। তিনি বলেন, প্রতিদিনই আমাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের রোগী আসে। যার মধ্যে বেশিরভাগ রোগীর বক্তব্য, তারা আগের তুলনায় কানে কম শোনেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই এক কানের তুলনায় অন্য কানে কম শোনেন। অনেকেই আবার বলেন, আমি কানে আনইজি ফিল করছি। আর এই সবই হচ্ছে অতিরিক্ত মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে। দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোনে কথা বললে স্থায়ীভাবে শ্রবণ শক্তি হ্রাস পেতে পারে বলেও জানান এই চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, এই মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে শুধু যে মাথার ওপর প্রভাব পড়ছে তা নয়, এটা নারীদের গর্ভকালীন থাকার সময়ে বাচ্চার ওপরও প্রভাব ফেলে। প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন রাখার জন্য পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যাও কমে যেতে পারে। মোবাইল নেটওয়ার্কের ক্ষতিকর রেডিয়েশনের ফলে বুক পকেটে রাখা মোবাইল ফোনে হতে পারে হার্টের সমস্যা। রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব মোবাইল ফোন শরীর থেকে দূরে রাখা, গর্ভকালীন সময়ে দীর্ঘ সময় মোবাইলে কথা না বলা, শিশুদের কাছ থেকে ফোন যথাসম্ভব দূরে রাখাসহ নানা পরামর্শও দেন তিনি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর ডিসেম্বর ২০১৭ তথ্য মতে জানা যায়, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৪ কোটি ৫ লাখ (১৪৫.১১৫ মিলিয়ন) মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে প্রায় ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধাও ভোগ করছেন।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অসীম কুমার বিশ্বাস বলেন, মোবাইল ফোনে কথা বললে অবশ্যই কানে সমস্যা হতে পারে। তবে এটা নির্ভর করে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময়ের ওপরে। তিনি বলেন, প্রতিদিনই আমাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের রোগী আসে। যার মধ্যে বেশিরভাগ রোগীর বক্তব্য, তারা আগের তুলনায় কানে কম শোনেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই এক কানের তুলনায় অন্য কানে কম শোনেন। অনেকেই আবার বলেন, আমি কানে আনইজি ফিল করছি। আর এই সবই হচ্ছে অতিরিক্ত মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে। দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোনে কথা বললে স্থায়ীভাবে শ্রবণ শক্তি হ্রাস পেতে পারে বলেও জানান এই চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, এই মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে শুধু যে মাথার ওপর প্রভাব পড়ছে তা নয়, এটা নারীদের গর্ভকালীন থাকার সময়ে বাচ্চার ওপরও প্রভাব ফেলে। প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন রাখার জন্য পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যাও কমে যেতে পারে। মোবাইল নেটওয়ার্কের ক্ষতিকর রেডিয়েশনের ফলে বুক পকেটে রাখা মোবাইল ফোনে হতে পারে হার্টের সমস্যা। রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব মোবাইল ফোন শরীর থেকে দূরে রাখা, গর্ভকালীন সময়ে দীর্ঘ সময় মোবাইলে কথা না বলা, শিশুদের কাছ থেকে ফোন যথাসম্ভব দূরে রাখাসহ নানা পরামর্শও দেন তিনি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর ডিসেম্বর ২০১৭ তথ্য মতে জানা যায়, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৪ কোটি ৫ লাখ (১৪৫.১১৫ মিলিয়ন) মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে প্রায় ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধাও ভোগ করছেন।
No comments