সিলেটে ১৪ মাসে ৪৭ জনের মৃত্যু: পাথর কোয়ারি যেন মৃত্যুকূপ by ওয়েছ খছরু
সিলেটের
বাপার সেক্রেটারি আব্দুল করিম কীম সম্প্রতি তার ফেসবুক আইডির স্ট্যাটাসে
লিখেছেন- ‘গুনে দেখলাম... ২রা জানুয়ারি থেকে ২৬শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫৫
দিনে সিলেটের পাথর কোয়ারিতে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।’ বাপার হিসাবে এ মৃত্যু
সংখ্যা দুই মাসের। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। অনেক লাশের হদিস মেলেনি, গুম
করে ফেলা হয়েছে। পাথরখেকোরা মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রায় সময়ই গুম করে ফেলে
লাশ। এটি জানে পুলিশও। প্রায়ই পুলিশ অভিযান চালিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
কখনো পারে, আবার কখনো পারে না। সর্বশেষ গত রোববার রাতে কোম্পানীগঞ্জে ৬ পাথর শ্রমিক নিহত হয়েছেন। কিন্তু লাশ যেহেতু ৫টি উদ্ধার হয়েছে এ কারণে পুলিশের হিসাব মতে মারা গেছে ৫ জন। আরও একজন শ্রমিককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পর তিনি মারা যান। ওই লাশ গোপনে সরিয়ে ফেলেছে পাথরখেকোরা। কোনো হদিস মিলেনি। তেমনিভাবে জাফলং ও বিছনাকান্দিতে লাশ গুমের উৎসব চলছে। মৃত্যুর উপত্যকায় পরিণত হয়েছে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো। নির্বিচারে প্রকৃতি উজাড় করে দেয়ার কারণে প্রকৃতি এখন রূদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। এ কারণে পাথর কোয়ারিগুলোয় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে- সিলেটের পাথর কোয়ারগুলোয় ১৪ মাসে অন্তত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অর্ধশতাধিকে। গুম হওয়া অনেক লাশের কোনো হদিস না পাওয়ায় প্রকৃত হিসাব মিলে না। এবার শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় জড়িয়ে গেলো কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আমজদের নামও। তার গর্তে পড়ে রোববার রাতে ৬ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর নানা নাটকীয়তা হয়েছে। মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জ পুলিশ কোনো ছাড় দেয়নি। উপজেলা প্রশাসনও ছিল কঠোর। শেষ পর্যন্ত গর্তের মালিক হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা আলী আমজদকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে পুলিশ কোম্পানীগঞ্জের শারপিন টিলা নিয়ে পাথরখেকোদের তালিকা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু কালাইরাগের কোনো তালিকা এখনো প্রকাশ হয়নি। জনবসতিপূর্ণ কালাইরাগ এখন বিরানভূমি। গর্তে ভরে গেছে চারদিক। বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় মানুষের পূর্বপুরুষের ভিটেতে গর্ত করে পাথর তুলছে। রাতারাতি কোটিপতি বনে যাচ্ছে তারা। শারপিন টিলার চেয়ে কালাইরাগের ট্রাজেডিও কম নয়। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কালাইরাগের পাথরখেকোদের তালিকা করা হচ্ছে না। পরিবেশের মামলায়ও কালাইরাগের পাথরখেকোদের নাম উঠে আসেনি। এ কারণে বেপরোয়া কালাইরাগের পাথরখেকোরা। পাথর উত্তোলনের সব নিয়ম ভঙ্গ করে তারা রাতের আঁধারে কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছিল। রাতের আঁধারে জেনারেট দিয়ে পাথর লুটপাটের ঘটনা এবারই প্রথম। শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে কোম্পানীগঞ্জের শ্রমিক সংগঠনগুলো। তারাও এবার নেমে এসেছে রাস্তায়। গত মঙ্গলবার কোম্পানীগঞ্জে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সমাবেশ থেকে তারা পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও জাফলং এলাকায় পাথর কোয়ারিতে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক কাজ করে। অতিরিক্ত টাকার লোভ দেখিয়ে পাথর কোয়ারিতে তাদের নামানো হয়। শ্রমিকদের লোভ দেখানো হয়, কোয়ারির যত গভীরে যাবে, মজুরিও তত বেশি পাবে। টাকার লোভে কোয়ারির গর্তে নেমে পাহাড় খুঁড়েন শ্রমিকরা। পাহাড় কেটে পাথর নিয়ে উপরে আসার সময় পাড় ধসে তারা প্রাণ হারান। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সূত্র জানিয়েছে, পাথর তোলার সময় শারপিন টিলা, জাফলং, বিছানাকান্দি, লোভাছড়া ও বাংলাটিলাতে ২০১৭ সালের ২৩শে জানুয়ারি থেকে এ বছরের ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৭ জন শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া ২৫শে ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জে পাঁচজন, জৈন্তাপুরের শ্রীপুরে একজন এবং ২৪শে ফেব্রুয়ারি কানাইঘাটের লোভাছড়ায় গর্ত ধসে ফরমান উল্লাহ নামের আরেক শ্রমিক নিহত হন। বসে নেই প্রশাসন। তারা প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও গোয়াইনঘাটের ইউএনও ঘন ঘন অভিযান পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে এ দুটি উপজেলায় শত টাকা যান্ত্রিক মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। একের পর এক মামলায় বিপর্যস্ত করা হয়েছে পাথরখেকোদের। গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরপরও পাথরখেকোরা দমছে না। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত দিলীপ কান্তি নাথ জানিয়েছেন- যখনই ঘটনা ঘটে পুলিশ প্রথমে লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। যাতে কেউ লাশ গুম করতে পারে সেদিকে পুলিশ সবার আগে নজর দেয়। এরপর পুলিশ কারো মুখে দিকে তাকিয়ে যারা প্রকৃত দোষী তাদেরকেই মামলার আসামি করে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। সুতরাং প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো গাফিলতি করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। সিলেটের পাথর কোয়ারিতে মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে উদ্যোগের অন্ত নেই। বাপা-বেলাসহ কয়েকটি সংগঠন নিয়মিত কার্যক্রম করছে। তারাও হাঁপিয়ে উঠেছেন। প্রশাসন সঠিক উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে দাবি ওই সংগঠনের নেতাদের। এ কারণে তারা অনেক সময় প্রশাসনের চক্ষুশূলে পরিণত হন। সিলেটের ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, পর্যটন ও পাথর ব্যবসা এক সঙ্গে চলছে। দুটিতেই কোনো নিয়মকানুন মানা হচ্ছে না। এতে করে প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে। পাথরও লুটপাট করা হচ্ছে। বিষয়টির সমাধানে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান তারা।
শারপিন টিলায় অভিযান: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় টিলা কেটে গর্ত করে এবং মেশিনের সাহায্যে অবৈধ পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করেছে। সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশারাফুল আলমের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেটের পরিদর্শক আবুল মুনসুর মোল্লা এবং পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন। অভিযানে ১২টি বোমা মেশিন ধ্বংসসহ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া শ্রমিকদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাথর উত্তোলন থেকে বিরত থাকার জন্য স্থানীয় শাহ আরেফিন বাজার, নারায়ণপুর এবং টিলা এলাকায় সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্স অভিযান আরো জোরদার করা হবে বলে গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আবুল লাইছ।
কখনো পারে, আবার কখনো পারে না। সর্বশেষ গত রোববার রাতে কোম্পানীগঞ্জে ৬ পাথর শ্রমিক নিহত হয়েছেন। কিন্তু লাশ যেহেতু ৫টি উদ্ধার হয়েছে এ কারণে পুলিশের হিসাব মতে মারা গেছে ৫ জন। আরও একজন শ্রমিককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পর তিনি মারা যান। ওই লাশ গোপনে সরিয়ে ফেলেছে পাথরখেকোরা। কোনো হদিস মিলেনি। তেমনিভাবে জাফলং ও বিছনাকান্দিতে লাশ গুমের উৎসব চলছে। মৃত্যুর উপত্যকায় পরিণত হয়েছে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো। নির্বিচারে প্রকৃতি উজাড় করে দেয়ার কারণে প্রকৃতি এখন রূদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। এ কারণে পাথর কোয়ারিগুলোয় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে- সিলেটের পাথর কোয়ারগুলোয় ১৪ মাসে অন্তত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অর্ধশতাধিকে। গুম হওয়া অনেক লাশের কোনো হদিস না পাওয়ায় প্রকৃত হিসাব মিলে না। এবার শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় জড়িয়ে গেলো কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আমজদের নামও। তার গর্তে পড়ে রোববার রাতে ৬ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর নানা নাটকীয়তা হয়েছে। মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জ পুলিশ কোনো ছাড় দেয়নি। উপজেলা প্রশাসনও ছিল কঠোর। শেষ পর্যন্ত গর্তের মালিক হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা আলী আমজদকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে পুলিশ কোম্পানীগঞ্জের শারপিন টিলা নিয়ে পাথরখেকোদের তালিকা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু কালাইরাগের কোনো তালিকা এখনো প্রকাশ হয়নি। জনবসতিপূর্ণ কালাইরাগ এখন বিরানভূমি। গর্তে ভরে গেছে চারদিক। বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় মানুষের পূর্বপুরুষের ভিটেতে গর্ত করে পাথর তুলছে। রাতারাতি কোটিপতি বনে যাচ্ছে তারা। শারপিন টিলার চেয়ে কালাইরাগের ট্রাজেডিও কম নয়। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কালাইরাগের পাথরখেকোদের তালিকা করা হচ্ছে না। পরিবেশের মামলায়ও কালাইরাগের পাথরখেকোদের নাম উঠে আসেনি। এ কারণে বেপরোয়া কালাইরাগের পাথরখেকোরা। পাথর উত্তোলনের সব নিয়ম ভঙ্গ করে তারা রাতের আঁধারে কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছিল। রাতের আঁধারে জেনারেট দিয়ে পাথর লুটপাটের ঘটনা এবারই প্রথম। শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে কোম্পানীগঞ্জের শ্রমিক সংগঠনগুলো। তারাও এবার নেমে এসেছে রাস্তায়। গত মঙ্গলবার কোম্পানীগঞ্জে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সমাবেশ থেকে তারা পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও জাফলং এলাকায় পাথর কোয়ারিতে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক কাজ করে। অতিরিক্ত টাকার লোভ দেখিয়ে পাথর কোয়ারিতে তাদের নামানো হয়। শ্রমিকদের লোভ দেখানো হয়, কোয়ারির যত গভীরে যাবে, মজুরিও তত বেশি পাবে। টাকার লোভে কোয়ারির গর্তে নেমে পাহাড় খুঁড়েন শ্রমিকরা। পাহাড় কেটে পাথর নিয়ে উপরে আসার সময় পাড় ধসে তারা প্রাণ হারান। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সূত্র জানিয়েছে, পাথর তোলার সময় শারপিন টিলা, জাফলং, বিছানাকান্দি, লোভাছড়া ও বাংলাটিলাতে ২০১৭ সালের ২৩শে জানুয়ারি থেকে এ বছরের ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৭ জন শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া ২৫শে ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জে পাঁচজন, জৈন্তাপুরের শ্রীপুরে একজন এবং ২৪শে ফেব্রুয়ারি কানাইঘাটের লোভাছড়ায় গর্ত ধসে ফরমান উল্লাহ নামের আরেক শ্রমিক নিহত হন। বসে নেই প্রশাসন। তারা প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও গোয়াইনঘাটের ইউএনও ঘন ঘন অভিযান পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে এ দুটি উপজেলায় শত টাকা যান্ত্রিক মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। একের পর এক মামলায় বিপর্যস্ত করা হয়েছে পাথরখেকোদের। গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরপরও পাথরখেকোরা দমছে না। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত দিলীপ কান্তি নাথ জানিয়েছেন- যখনই ঘটনা ঘটে পুলিশ প্রথমে লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। যাতে কেউ লাশ গুম করতে পারে সেদিকে পুলিশ সবার আগে নজর দেয়। এরপর পুলিশ কারো মুখে দিকে তাকিয়ে যারা প্রকৃত দোষী তাদেরকেই মামলার আসামি করে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। সুতরাং প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো গাফিলতি করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। সিলেটের পাথর কোয়ারিতে মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে উদ্যোগের অন্ত নেই। বাপা-বেলাসহ কয়েকটি সংগঠন নিয়মিত কার্যক্রম করছে। তারাও হাঁপিয়ে উঠেছেন। প্রশাসন সঠিক উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে দাবি ওই সংগঠনের নেতাদের। এ কারণে তারা অনেক সময় প্রশাসনের চক্ষুশূলে পরিণত হন। সিলেটের ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, পর্যটন ও পাথর ব্যবসা এক সঙ্গে চলছে। দুটিতেই কোনো নিয়মকানুন মানা হচ্ছে না। এতে করে প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে। পাথরও লুটপাট করা হচ্ছে। বিষয়টির সমাধানে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান তারা।
শারপিন টিলায় অভিযান: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় টিলা কেটে গর্ত করে এবং মেশিনের সাহায্যে অবৈধ পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করেছে। সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশারাফুল আলমের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেটের পরিদর্শক আবুল মুনসুর মোল্লা এবং পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন। অভিযানে ১২টি বোমা মেশিন ধ্বংসসহ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া শ্রমিকদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাথর উত্তোলন থেকে বিরত থাকার জন্য স্থানীয় শাহ আরেফিন বাজার, নারায়ণপুর এবং টিলা এলাকায় সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্স অভিযান আরো জোরদার করা হবে বলে গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আবুল লাইছ।
No comments