সব দলকে নির্বাচনে আনতে বার্নিকাটের ভূমিকা চান তোফায়েল: নির্বিঘ্নে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে
যুক্তরাষ্ট্রের
মতো সবাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল
আহমেদ আগামী নির্বাচনে সব দলকে আনতে দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া
বার্নিকাটকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অন্যদের মতো আমরা
সবাই চাই আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। যাদের রেজিস্ট্রেশন আছে তারা
সবাই নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের
অধীনে নির্বাচন হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে
অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়-মার্শা বার্নিকাটের
বুধবারের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে
আয়োজিত ২৫তম ইউএস ট্রেড শো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। একই
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট।
মেলা পরিদর্শন শেষে তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের বিষয়ে বার্নিকাটের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্তগুলো কেবল ভোটের দিন নয়, সব সময়ই নিশ্চিত করতে হয়। তিনি বলেন, সবাই যাতে অংশ নিতে পারে, সবাই যাতে সভা, সমাবেশ, বৈঠক করতে পারে, সবাই যেন নির্বিঘ্নে তাদের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারে- সেটাও নিশ্চিত করতে হয়।
বুধবার বার্নিকাটের দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমরা সবাই চাই। সকল দল যাদের নির্বাচন কমিশনের রেজিস্ট্রেশন আছে তারা সকলেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু নির্বাচনটা হতে হবে সংবিধান অনুযায়ী। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে, সরকার তার দৈনন্দিন কাজ করবে। বাণিজ্যমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন হয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকার্টের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, সকল দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সে ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে আমি মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছি।
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসতে অনেকের আপত্তি আছে- এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আপত্তি আছে কার? সংবিধানের বাইরে তো কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আমরা তো কাউকে নিশ্চিত করে দিতে পারবো না যে আপনি ক্ষমতায় চলে যান। বিএনপি’র দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তারা ভুল করেছে, আশা করি আগামী নির্বাচনে সকলে অংশগ্রহণ করবেন। আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল বলেন, আমি জানি না, মন্তব্য করা আমার ঠিক হবে কি না। আমি আশা করবো, আপনি (বার্নিকাট) এমন একটি ভূমিকা নেবেন, যাতে সব দল সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠেয় আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করা বৃটিশ হাইকমিশনারকেও একই আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য) অনুরোধ করব, তারা যেন সব দলকে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে বলেন। এই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহযোগিতায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ-অ্যামচেম ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশে ইউএস ট্র্রেড শো’র আয়োজন করে আসছে। সে সময় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র এক বিলিয়ন ডলার যা গত আড়াই দশকে বেড়ে হয়েছে সাত বিলিয়ন ডলার। তিনদিনের এ মেলায় দেশি-বিদেশি ৪৩টি স্টলে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫০টি কোম্পানির পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। কৃষি থেকে শুরু করে ভোগ্যপণ্য, এমনকি গাড়ি নির্মাতাদেরও অংশগ্রহণ রয়েছে এ প্রদর্শনীতে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনীতে ঢুকতে ৩০ টাকা দিয়ে টিকেট কিনতে হবে। তবে স্কুল ইউনিফর্মে বা স্কুলের পরিচয়পত্র নিয়ে গেলে টিকেট কাটতে হবে না।
মেলা পরিদর্শন শেষে তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের বিষয়ে বার্নিকাটের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্তগুলো কেবল ভোটের দিন নয়, সব সময়ই নিশ্চিত করতে হয়। তিনি বলেন, সবাই যাতে অংশ নিতে পারে, সবাই যাতে সভা, সমাবেশ, বৈঠক করতে পারে, সবাই যেন নির্বিঘ্নে তাদের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারে- সেটাও নিশ্চিত করতে হয়।
বুধবার বার্নিকাটের দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমরা সবাই চাই। সকল দল যাদের নির্বাচন কমিশনের রেজিস্ট্রেশন আছে তারা সকলেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু নির্বাচনটা হতে হবে সংবিধান অনুযায়ী। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে, সরকার তার দৈনন্দিন কাজ করবে। বাণিজ্যমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন হয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকার্টের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, সকল দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সে ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে আমি মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছি।
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসতে অনেকের আপত্তি আছে- এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আপত্তি আছে কার? সংবিধানের বাইরে তো কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আমরা তো কাউকে নিশ্চিত করে দিতে পারবো না যে আপনি ক্ষমতায় চলে যান। বিএনপি’র দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তারা ভুল করেছে, আশা করি আগামী নির্বাচনে সকলে অংশগ্রহণ করবেন। আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল বলেন, আমি জানি না, মন্তব্য করা আমার ঠিক হবে কি না। আমি আশা করবো, আপনি (বার্নিকাট) এমন একটি ভূমিকা নেবেন, যাতে সব দল সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠেয় আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করা বৃটিশ হাইকমিশনারকেও একই আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য) অনুরোধ করব, তারা যেন সব দলকে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে বলেন। এই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহযোগিতায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ-অ্যামচেম ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশে ইউএস ট্র্রেড শো’র আয়োজন করে আসছে। সে সময় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র এক বিলিয়ন ডলার যা গত আড়াই দশকে বেড়ে হয়েছে সাত বিলিয়ন ডলার। তিনদিনের এ মেলায় দেশি-বিদেশি ৪৩টি স্টলে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫০টি কোম্পানির পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। কৃষি থেকে শুরু করে ভোগ্যপণ্য, এমনকি গাড়ি নির্মাতাদেরও অংশগ্রহণ রয়েছে এ প্রদর্শনীতে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনীতে ঢুকতে ৩০ টাকা দিয়ে টিকেট কিনতে হবে। তবে স্কুল ইউনিফর্মে বা স্কুলের পরিচয়পত্র নিয়ে গেলে টিকেট কাটতে হবে না।
লিসা কার্টিস ঢাকা আসছেন আজ
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা লিসা কার্টিস তিন
দিনের সফরে ঢাকা আসছেন আজ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ মার্কিন
রাষ্ট্রদূত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানিয়েছেন শুক্রবার দিনের শুরুতে ঢাকায়
পৌঁছাবেন তিনি। বাংলাদেশে ছুটির ওই দিনে তিনি কক্সবাজার যাবেন। সেখানে
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং মাঠ পর্যায়ে কাজ করা দেশি-বিদেশি উন্নয়ন
কর্র্মীদের সঙ্গে তার মতবিনিময় হবে। শনিবার ঢাকায় ফিরে পররাষ্ট্র সচিবের
সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবেন। রাজধানীর একটি হোটেলে সেই বৈঠক হবে; যা
নৈশভোজের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।
ওই ভোজ-বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে। পরদিন রোববার প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় থাকছেন না। বিধায় রোববার তার সাক্ষাৎ পাওয়া প্রায় অনিশ্চিত। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সূচি নিশ্চিত হয়নি বলে জানায় সেগুনবাগিচা। তবে রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল অব তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে তার বৈঠক হবে। এছাড়া দূতাবাসের আয়োজনে নাগরিক সমাজের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ওই প্রতিনিধির সফরে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সহযোগিতা জোরদার করা নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুটি শুরুত্ব পাবে। এ নিয়ে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর আমাদের কঠিন চাপ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন, হোয়াইট হাউস, মার্কিন আইন প্রণেতারা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সরব রয়েছেন। তিনি বলেন, রাখাইনে জাতিগত নিধন বন্ধে আমরা সোচ্চার। আমরা বাস্তুচ্যুতদের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন চাই।
এদিকে ওয়াশিংটন থেকে প্রাপ্ত খবরে জানানো হয়েছে- হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক নিরাপত্তা উপদেষ্টা লিসা কার্টিস তার সপ্তাহব্যাপী দক্ষিণ এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশে পৌঁছাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র সময় গত রোববার পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করার মাধ্যমে লিসা কার্টিস এ সফর শুরু হয়েছে। মূলত গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাবুলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মেলন ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন আফগানিস্তান’-এ অংশগ্রহণের জন্য দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চলমান দক্ষিণ এশিয়া সফর। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ বিশ্বের মোট ২৫টি দেশ অংশ নেয়। আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই প্রচেষ্টা ‘কাবুল প্রসেস’ নামে পরিচিত। এর আগে গত বছরের জুন মাসে ‘কাবুল প্রসেস-১’ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে লিসা কার্টিস প্রথমবারের মতো ট্রাম্প প্রশাসনের আফগান নীতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেন। বাংলাদেশ সফরে লিসা কার্টিস-এর আলোচনায় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। এই অঞ্চলের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বর্তমান সরকারের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলবেন লিসা। এতে রোহিঙ্গা সংকট, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি, সন্ত্রাসবাদ, সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রমিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো উঠবে। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাইরেও আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তায় উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী নিয়েও আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল বলছে, আগামী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরবেন লিসা। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে লিসা কার্টিস একমাত্র পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক, বাংলাদেশ নিয়ে যার পেশাগত গবেষণার অভিজ্ঞতা রয়েছে। লিসা কার্টিস আমেরিকার কনজারভেটিভ থিংক ট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের এশিয়া প্রোগ্রামের পরিচালক ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে দীর্ঘ ১৬ বছর দক্ষিণ এশিয়া গবেষণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করেছেন। উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসনের বর্তমান পদে যোগদানের আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি গবেষকদের পাবলিক পলিসি থিঙ্ক ট্যাংক ‘আর্চার ব্লাড সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি’ কর্তৃক কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক সেমিনারে মূলবক্তা হিসেবে কথা বলেন লিসা। এটি ছিল লিসার সর্বশেষ বেসরকারি প্রোগ্রাম। ওই সেমিনারে লিসা বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গণতন্ত্রের অভাবে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।’
ওই ভোজ-বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে। পরদিন রোববার প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় থাকছেন না। বিধায় রোববার তার সাক্ষাৎ পাওয়া প্রায় অনিশ্চিত। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সূচি নিশ্চিত হয়নি বলে জানায় সেগুনবাগিচা। তবে রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল অব তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে তার বৈঠক হবে। এছাড়া দূতাবাসের আয়োজনে নাগরিক সমাজের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ওই প্রতিনিধির সফরে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সহযোগিতা জোরদার করা নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুটি শুরুত্ব পাবে। এ নিয়ে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর আমাদের কঠিন চাপ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন, হোয়াইট হাউস, মার্কিন আইন প্রণেতারা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সরব রয়েছেন। তিনি বলেন, রাখাইনে জাতিগত নিধন বন্ধে আমরা সোচ্চার। আমরা বাস্তুচ্যুতদের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন চাই।
এদিকে ওয়াশিংটন থেকে প্রাপ্ত খবরে জানানো হয়েছে- হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক নিরাপত্তা উপদেষ্টা লিসা কার্টিস তার সপ্তাহব্যাপী দক্ষিণ এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশে পৌঁছাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র সময় গত রোববার পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করার মাধ্যমে লিসা কার্টিস এ সফর শুরু হয়েছে। মূলত গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাবুলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মেলন ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন আফগানিস্তান’-এ অংশগ্রহণের জন্য দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চলমান দক্ষিণ এশিয়া সফর। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ বিশ্বের মোট ২৫টি দেশ অংশ নেয়। আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই প্রচেষ্টা ‘কাবুল প্রসেস’ নামে পরিচিত। এর আগে গত বছরের জুন মাসে ‘কাবুল প্রসেস-১’ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে লিসা কার্টিস প্রথমবারের মতো ট্রাম্প প্রশাসনের আফগান নীতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেন। বাংলাদেশ সফরে লিসা কার্টিস-এর আলোচনায় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। এই অঞ্চলের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বর্তমান সরকারের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলবেন লিসা। এতে রোহিঙ্গা সংকট, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি, সন্ত্রাসবাদ, সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রমিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো উঠবে। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাইরেও আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তায় উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী নিয়েও আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল বলছে, আগামী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরবেন লিসা। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে লিসা কার্টিস একমাত্র পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক, বাংলাদেশ নিয়ে যার পেশাগত গবেষণার অভিজ্ঞতা রয়েছে। লিসা কার্টিস আমেরিকার কনজারভেটিভ থিংক ট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের এশিয়া প্রোগ্রামের পরিচালক ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে দীর্ঘ ১৬ বছর দক্ষিণ এশিয়া গবেষণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করেছেন। উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসনের বর্তমান পদে যোগদানের আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি গবেষকদের পাবলিক পলিসি থিঙ্ক ট্যাংক ‘আর্চার ব্লাড সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি’ কর্তৃক কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক সেমিনারে মূলবক্তা হিসেবে কথা বলেন লিসা। এটি ছিল লিসার সর্বশেষ বেসরকারি প্রোগ্রাম। ওই সেমিনারে লিসা বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গণতন্ত্রের অভাবে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।’
No comments